দাদাকে মারের বদলা, ৭ বছরের শিশু খুন করল ৫ বছরের শিশুকে
সাত বছরের শিশুর হাতে পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু। নিজের দাদাকে মারের বদলা নিতে এমন প্রতিশোধমূলক ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। ঘটনায় হতবাক অনেকেই।
সাত বছরের শিশুর হাতে পাঁচ বছরের শিশুর মৃত্যু। নিজের দাদাকে মারের বদলা নিতে এমন প্রতিশোধমূলক ঘটনা উত্তরপ্রদেশের আগ্রায়। ঘটনায় হতবাক অনেকেই।
আগ্রার শাস্ত্রিপূরম। এখানেই পরিবারের সহ্গে থাকত আয়ূষ। অভিযুক্ত বিবেক( নাম পরিবর্তিত) এলাকার বাসিন্দা। সপ্তাহ দুই আগে, বিবেকের বড় ভাই অমিত( নাম পরিবর্তিত) আয়ুষের সঙ্গে খেলছিল। এই সময় দুজনে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়ে। এই সময় আয়ুষ অমিতকে পাথর দিয়ে আঘাত করে বলে অভিযোগ। মাথায় গুরুতর আঘাত পায় অমিত। এর পরেই বাড়ি ফিরে যায় অমিত। ছোট্ট বিবেক সব ঘটনার কথা জানতে পারে এবং তখনই সে প্রতিশোধের ছক তৈরি করে ফেলে।
পুলিশ জানিয়েছে আয়ুষ এবং বিবেক দুজনেই বন্ধু। দাদার সঙ্গে ঝামেলার পরের দিন বিবেক আয়ুষকে চকোলেট দেওয়ার লোভ দেখিয়ে স্থানীয় বাজারের দিকে নিয়ে যায়। রাস্তায় ড্রেনের মধ্যে আায়ুষকে ফেলে দেয় বিবেক।
আয়ুষকে খুঁজে ব্যর্থ হয়ে পরিবার পুলিশের দ্বারস্থ হয়।
যেহেতু
আয়ুষকে
বিবেকের
সঙ্গেই
দেখা
গিয়েছিল,
সেজন্য
বিবেককেই
জিজ্ঞাসাবাদ
শুরু
করে
পুলিশ।
কিন্তু
তদন্তকারীদেরও
বিপথে
চালিত
করে
বিবেক।
এমনটাই
জানিয়েছেন
তদন্তকারী
আধিকারিক
শ্লোক
কুমার।
বিবেক
পুলিশকে
জানায়,
আয়ুষকে
সে
এক
মহিলার
সঙ্গে
মহম্মদপুর
এলাকায়
দেখেছিল।
কিন্তু
সেখানে
অভিযান
চালিয়েও
কিছুই
পায়নি
পুলিশ।
ঘটনাটিকে অপরহরণ ভেবে তদন্ত শুরু করে পুলিশ। কিন্তু তাতেও আয়ুষের কোনও খোঁজ পাওয়া যায়নি। এরমধ্যে বিবেক বারবার তার বয়ান বদল করতে থাকেন। বিবেককে জোর করতেই আসল সত্যটি বেরিয়ে আসে। বিবেকের দাদা অমিতও পরে ঘটনাটি স্বীকার করে নেয়।
এরপরেই আয়ুষের দেহের খোঁজ শুরু করে পুলিশ। ঘটনাস্থল, যেখানে থেকে আযুষকে ঠেলে ফেলা হয়, সেখান থেকে প্রায় ১০০ মিটার দূরে আয়ূষের পচাগলা দেহ উদ্ধার হয়।
আয়ুষের বাবা এলাকার ই-রিক্সা চালক এবং বিবেকের বাবা স্থানীয় কারখানার শ্রমিক।