মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিতে মাওবাদী হামলায় নিহত সাত পুলিশকর্মী
পুলিশ সূত্রে খবর, এদিন সকাল পৌনে দশটা নাগাদ গড়চিরোলি জেলার চামোরশি তালুকের পবিমুরান্দা ও মুরমুরি গ্রামের মাঝে জঙ্গলঢাকা রাস্তায় এই ঘটনা ঘটে। মহারাষ্ট্র পুলিশের একটি দল তখন রুটিনমাফিক টহলে বেরিয়েছিল। তখনই ল্যান্ডমাইনটি ফাটে। পুলিশের গাড়িটি বিস্ফোরণের ধাক্কায় শূন্যে উঠে যায়। আগুন ধরে যায় তাতে। ঘটনাস্থলেই মারা যান সাত পুলিশকর্মী। বাকিরা জখম অবস্থাতেও গুলি চালাতে থাকেন। মাওবাদী গেরিলারা পাল্টা গুলি চালাতে চালাতে পালিয়ে যায়। খবর পেয়ে বিরাট পুলিশবাহিনী ঘটনাস্থলে যায়। জখমদের হেলিকপ্টারে তুলে নাগপুরে নিয়ে আসা হয় চিকিৎসার জন্য।
সাম্প্রতিককালে ছত্তিশগড় ও ঝাড়খণ্ডেও হামলা চালিয়েছে মাওবাদীরা। গত ১১ মার্চ ছত্তিশগড়ের সুকমা জেলায় মাওবাদী হামলায় প্রাণ হারান ১৫ জন পুলিশকর্মী। গত ২৪ এপ্রিল ঝাড়খণ্ডের সিকারিপাড়া ব্লকে মাওবাদী হামলায় নিহত হন আটজন। এঁদের মধ্যে পাঁচজন পুলিশকর্মী এবং তিনজন ভোটকর্মী। তাঁরা যে বাসে যাচ্ছিলেন, সেই বাস লক্ষ করে মাওবাদীরা গুলি চালালে এই ঘটনা ঘটে।
ছত্তিশগড়, ঝাড়খণ্ড এবং ওডিশার বিস্তীর্ণ এলাকার মতো মহারাষ্ট্রের গড়চিরোলিও মাওবাদী-অধ্যুষিত এলাকা হিসাবে পরিচিত। গড়চিরোলি মহারাষ্ট্রের অন্যতম পিছিয়ে পড়া জেলা। পাহাড়-জঙ্গলে ঘেরা। তাই হামলা চালিয়ে গা-ঢাকা দিতে বিন্দুমাত্র অসুবিধা হয় না মাওবাদীদের। রবিবারের ঘটনায় হামলাকারীদের সন্ধানে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ।
ভোটের মরশুমে মাওবাদীরা এর আগেও বিভিন্ন জায়গায় ভোটকর্মী ও পুলিশদের ওপর হামলার ছক কষেছিল। কিন্তু সব জায়গায় তারা সফল হয়নি। ঝাড়খণ্ড, ছত্তিশগড়, ওডিশা ইত্যাদি রাজ্যের বিভিন্ন গ্রামে মাওবাদীরা ভোট বয়কটের জন্য পোস্টার সাঁটিয়ে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ। তাই মাওবাদী প্রভাবিত অঞ্চলগুলিতে সুষ্ঠুভাবে ভোট করানোটা ছিল প্রশাসনের কাছে একটা চ্যালেঞ্জ।