For Quick Alerts
ALLOW NOTIFICATIONS  
For Daily Alerts
Oneindia App Download

মুসলিম মেয়ের সঙ্গে সম্পর্ক, খুন যুবক, গ্রেফতার ৭

Array

Google Oneindia Bengali News

মঙ্গলবার, মহারাষ্ট্র পুলিশ আহমেদনগরের শ্রীরামপুর থেকে দীপক বারদে নামে এক হিন্দু যুবককে হত্যার অভিযোগে সাতজনকে গ্রেপ্তার করেছে। তাঁর দোষ কী? সে সানিয়া শেখ নামে এক মুসলিম তরুণীকে নিয়ে করেছিল। এর জন্যই তাঁকে খুন করা হয়েছে বলে মনে করছে পুলিশ।

বাড়ি থেকে পালিয়ে

বাড়ি থেকে পালিয়ে

মাসখানেক আগেই দীপক সানিয়াকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালিয়ে গিয়েছিল। সেই কারণে অভিযুক্তরা দীপককে হত্যা করে। এই ঘটনায় গ্রেফতার করা সকল আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ। জানা গিয়েছে যে, অভিযুক্তরা, যারা মেয়েটির আত্মীয়, তারা দীপককে নৃশংসভাবে হত্যা করে এবং তার লাশ গোদাবরী নদীতে ফেলে দেয়।

পুলিশ মামলাটি তদন্ত করে নদীতে তার লাশের সন্ধান করছে। মৃত ব্যক্তি আদিবাসী এবং ভিল সম্প্রদায়ের । আহমেদনগর জেলার শ্রীরামপুর তালুকের ভোকার গ্রামের বাসিন্দা ছিল সে। ৩১ অগাস্ট থেকে নিখোঁজ ছিল সে এবং মৃতের বাবা রাওসাহেব বারদে শ্রীরামপুর থানায় একটি এফআইআর দায়ের করার পরে ঘটনাটি প্রকাশ্যে আসে।

পরিবারের সন্দেহ

পরিবারের সন্দেহ

দীপকের পরিবারের সন্দেহ, এক মাস আগে বাড়ি থেকে পালিয়ে যাওয়ায় ওই মহিলার পরিবারের সদস্যরা তাঁদের ছেলএকে খুন করেছে। এফআইআর-এ বাবা রাওসাহেব বারদে উল্লেখ করেছেন যে সানিয়ার পরিবারের সদস্যরা খুনের উদ্দেশ্য নিয়ে দীপককে অপহরণ করেছিল। তিনি বলেন, তার ছেলে কোনও কাজে পুনে গিয়েছিল এবং সেখান থেকে আর ফিরে আসেনি। দীপকের বাবা বলেন, "দীপক আমার সাথে শেষ কথা বলেছিল রাত সাড়ে ৮টায় এবং পরের দিন আমাদের গ্রামের কয়েকজন লোক আমাকে জানায় যে সানিয়ার বাবা মজনু শেখ এবং চাচা ইমরান আমার ছেলেকে অপহরণ করেছে।"

"আমি ভেবেছিলাম তারা আমার ছেলেকে ধরেছে কারণ ও তাদের মেয়েকে নিয়ে পালিয়েছিল। আমি শ্রীরামপুর তালুকা থানায় গিয়েছিলাম কিন্তু পুরো বিষয়টি বলিনি, কারণ আমি মনে করেছি যে এই ক্ষেত্রে, পুনেতে অভিযোগ দায়ের করা হবে।" তিনি আরও বলেন যে দীপককে জোর করে ভোকার গ্রামে মজনুর বাড়িতে নিয়ে আসা হয়েছিল এবং নির্মমভাবে হত্যা করা হয়।

তদন্ত শুরু

তদন্ত শুরু

পুলিশ মামলার তদন্ত শুরু করে এবং জানতে পারে যে দীপক এবং সানিয়া শেখ এক মাস আগে একে অপরকে বিয়ে করার জন্য বাড়ি থেকে পালি, য়ে গিয়েছিল। তবে পুলিশের কাছে এমন কোনও প্রমাণ নেই যে তারা একে অপরকে বিয়ে করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, "সানিয়া নামে ওই মহিলার বক্তব্য এখনও রেকর্ড করা হয়নি। কিন্তু তাদের মধ্যে সম্পর্ক ছিল এবং তারা আগে একসঙ্গে পালিয়ে গিয়েছিল"

এদিকে, নিহতের বাবা রাওসাহেব বলেছেন যে দুজনে একসাথে পালিয়ে গিয়েছিল কিন্তু পরে গ্রামে ফিরে আসে কারণ সানিয়ার পরিবারের সদস্যরা তাদের সম্পর্ক নিয়ে খুশি ছিল না। দীপকের বাবার দায়ের করা অভিযোগের ভিত্তিতে, পুলিশ এর আগে সানিয়ার বাবা মজনু শেখ, চাচা ইমরান এবং পরিবারের সদস্য সামির শেখ এবং আজিজ শেখ সহ চারজনকে গ্রেপ্তার করেছিল। তাদের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪২, ৩৬৪ (অপহরণ বা হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ), ৩৪ ধারা এবং এসসি ও এসটি (অত্যাচার প্রতিরোধ) আইনের ধারাগুলির অধীনে একটি মামলাও দায়ের করা হয়েছিল।

 কী বলছে বিজেপি বিধায়ক?

কী বলছে বিজেপি বিধায়ক?

এর আগে, বিজেপি বিধায়ক নীতেশ রানে ঘটনাটি জানতে পেরে শ্রীরামপুর পুলিশকে এই মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত করতে বলেছিলেন। রানে বলেছিলেন, "দীপককে হত্যা করা হয়েছে কারণ সে হিন্দু ছিল। যারা হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকদের টার্গেট করে তাদের আমরা রেহাই দেব না। দীপকের মতো নির্যাতিতদের জন্য আমরা হিন্দুদের একত্রিত হওয়া উচিত। আমাদের শক্তি দেখাতে হবে। অভিযুক্তদের গ্রেফতার করা হলেও দীপক এখনও নিখোঁজ। আমরা এটা সহ্য করব না। মামলার পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত হওয়া উচিত এবং দীপক ও তার পরিবারের ন্যায়বিচার পাওয়া উচিত।"

প্রাথমিক তদন্তের পরে, মহারাষ্ট্র পুলিশ আরও তিনজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং আইনের প্রাসঙ্গিক ধারায় সাত অভিযুক্তের বিরুদ্ধে মামলা করেছে। তবে পুলিশ এখনও গোদাবরী নদীতে নিহতের লাশ খুঁজছে এবং মামলার আরও তদন্ত করছে।

English summary
in a hindu youth murder case seven arrested by police
চটজলদি খবরের আপডেট পান
Enable
x
Notification Settings X
Time Settings
Done
Clear Notification X
Do you want to clear all the notifications from your inbox?
Settings X