কুপওয়ারায় ভুয়ো সংঘর্ষের ঘটনায় সাত ফৌজির যাবজ্জীবন
২০১০ সালে কুপওয়ারা জেলার মাচিল এলাকায় নিয়ন্ত্রণরেখার ধারে গুলি করে মারা হয় তিন কাশ্মীরি যুবককে। এঁরা হলেন মহম্মদ শফি, শেহজাদ আহমেদ ও রিয়াজ আহমেদ। ৪ নম্বর রাজপুত রেজিমেন্টের দুই অফিসার যথাক্রমে কর্নেল ডি কে পাঠানিয়া এবং মেজর উপিন্দর সিং এই অভিযানে নেতৃত্ব দেন। এই ঘটনার পর উত্তাল হয়ে ওঠে গোটা কাশ্মীর। নিরাপত্তাবাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে মারা যান ১১০ জন। অভিযোগ ওঠে, এরা নিরীহ গ্রামবাসী। সরকার থেকে পুরস্কার পাওয়ার লোভে সেনাবাহিনীর ওই দুই অফিসার ও তাদের শাগরেদরা তিনজন নিরীহ যুবককে গুলি করে মারে। তার পর শবগুলির পাশে একে-৪৭ রাইফেল রেখে দিয়ে প্রমাণ করার চেষ্টা করে যে, তারা ছিল সন্ত্রাসবাদী। সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে ঢোকার চেষ্টা করছিল।
কাশ্মীর পুলিশ অবশ্য প্রথমেই একটি এফআইআর রুজু করেছিল। সেনা কর্তপক্ষের কাছে অনুরোধ করেছিল, তদন্ত করে এদের শাস্তি দেওয়ার। চার বছর ধরে তদন্ত চালায় সেনাবাহিনী। অবশেষে ওই দুই অফিসার এবং পাঁচ সেনাকে দোষী সাব্যস্ত করে সামরিক আদালত। বিচারে তাদের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। দিল্লির সেনাভবনকে সামরিক আদালত তাদের সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিয়েছে।
ওয়াকিবহাল মহলের দাবি, সামনে জম্মু-কাশ্মীরের ভোট। এ কথা মাথায় রেখে দিল্লির কর্তাদের চাপেই ভোটে আগে শাস্তি ঘোষণা করে দিল সেনাবাহিনী। এর ফলে ভোটপ্রচারে বিজেপির সুবিধা হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।