ইটভাটায় ভয়াবহ বিস্ফোরণ প্রাণ কেড়ে নিল মালিক-সহ সাতজনের, ধ্বংসস্তূপে আটকে ২০
হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইটভাটা। সাতজনের মৃত্যু হল মর্মান্তিক এই ঘটনায়। এছাড়াবহু কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার মতিগড়ের রামগড়ওয়া এলাকার এক ইটভাটায় এই ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার।
হঠাৎ ভয়াবহ বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ইটভাটা। সাতজনের মৃত্যু হল মর্মান্তিক এই ঘটনায়। এছাড়াবহু কর্মী নিখোঁজ রয়েছেন। বিহারের পূর্ব চম্পারণ জেলার মতিগড়ের রামগড়ওয়া এলাকার এক ইটভাটায় এই ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার। এই ঘটনায় মৃতদের মধ্যে রয়েছেন ইটাভাটার মালিক মহম্মদ ইশারও।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে ইটভাটায় বিস্ফোরণের ঘটনায় সাতজনের প্রাণ গিয়েছে। ১০ জন গুরুতর জখম হয়েছেন। আরও অন্তত ২০ জন নিখোঁজ বলে জানা গিয়েছে। এই ঘটনার পরই বিহারের বিশাল পুলিশ বাহিনী নিয়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ সুপার ঘটনাস্থলে পৌঁছন। তাঁদের নেতৃত্বে উদ্ধার অভিযান চলে।
ঘটনায় জখম কর্মীদের স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ঘটনার পরই দমকলের দুটি ইঞ্জিন ঘটনাস্থলে যায়। পুলিশ রাতভর তল্লাশি চালিয়েছে নিখোঁজ ব্যক্তিদের খোঁজে। দুর্ঘটনাস্থলে কেউ আটকে রয়েছেন কি না, তার তল্লাশি চছে শনিবারও। কীভাবে এই বিস্ফোরণের ঘটনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
এই মর্মান্তিক ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার। তিনি বলেন, ভগবান যেন মৃতদের পরিবারকে দুঃখ সহ্য করার শক্তিদান করেন। সরকারি আধিকারিকদের নির্দেশ দেন যাতে সকলের যথাযথ চিকিৎসা হয়। কোনও জায়গায় যেন খামতি না থাকে। তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের সাহায্যের আশ্বাস দিয়েছেন।
প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছে রামগড়ওয়ার নাররগিরি গ্রামের ওই ইটভাটার একটি চিমনিতে ইট পোড়ানোর সময় আগুন ছড়িয়ে পড়ে। তা থেকেই এই বিস্ফোরণ। সেইসময় ঘটনাস্থলে কর্মীদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন ইটভাটার মালিকও। তাঁরও মৃত্যু হয় ঘটনায়। বিস্ফোরণের সময় ঘটনাস্থলে প্রায় ৪০ জন উপস্থিত ছিলেন বলে জানা গিয়েছে।
ইটভাটায় ভয়াবহ এই বিস্ফোরমের খবর পাওয়া মাত্রই ঘটনাস্থলে আসে স্থানীয় পুলিশ বাহিনী। তারপর জেলা পুলিশ সুপার, জেলাশাসক-সহ একাধিক আধিকারিক উপস্থিত হন। দমকল-সহ ১০টি অ্যাম্বুল্যান্স পাঠানো হয়। ঘটনাস্থল থেকে সাতটি মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। ১৩ জনকে গুরুতর জখম অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছে হাসপাতালে।
যদিও সরকারি হিসেবে বলা হচ্ছে ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে এবং ১০ জন গুরুতর জখম। স্থানীয়দের দাবি, ইটভাটার ওই ধ্বংসস্তূপে এখনও ২০ জন চাপা পড়ে রয়েছেন। পুলিশ তৎপর হয়েছে সেই দাবির সত্যতা নিরূপণের। যদি কেউ ধ্বংসস্তূপে আটকে থাকে তাদের উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।
যারা মারা গিয়েছেন তাদের বেশিরভাগ শ্রমিক শ্রেণির। ঘটনাস্থলে আলোর ব্যবস্থা না থাকায় সন্ধ্যার পর থেকে উদ্ধারকাজ চালাচতে সমস্যা হয়। রাতে উদ্ধার কাজ চালানো দুষ্কর হয়ে যায়। শনিবার সকাল থেকে ফেরে উদ্ধারকার্য শুরু হয়েছে।