ভ্যাক্সিন রেসে আরও একধাপ এগোল ভারত! অক্সফোর্ডের পর এবার নোভাভ্যাক্সের সঙ্গে চুক্তি সিরাম-এর
অক্সফোর্ডের ভ্যাক্সিন তৈরি ও বাজারজাত করার চুক্তি হয়েছিল আগেই এবার। আরও একটি সংস্থার সঙ্গে করোনা প্রতিষেধক নিয়ে একই রকম চুক্তি করল পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট। করোনা প্রতিষেধক তৈরি ও বাজারজাত করার জন্য ভারতের সিরাম ইনস্টিটিউট অব ইন্ডি়য়ার সঙ্গে চুক্তি সই করল নোভাভ্যাক্স।

টীকা নিয়ে আশার কথা শুনিয়েছে নোভাভ্যাক্স
নিজেদের টীকার পরীক্ষা নিয়ে ইতিমধ্যেই আশার কথা শুনিয়েছে নোভাভ্যাক্স। সংস্থার তরফে জানানো হয়েছে, প্রতিষেধক তৈরির জন্য প্রথম ধাপে যাদের ওপর পরীক্ষা করা হয়েছিল, তাদের দেহে অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। আরও বড় আকারে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষায় যেতে চায় তারা। সেপ্টেম্বরের মধ্যে তৃতীয় পর্যায়ের পরীক্ষা শুরুর পরিকল্পনা রয়েছে নোভাভ্যাক্সের।

অক্সফোর্ডের সঙ্গে সিরামের চুক্তি
এর আগে গত মে মাসে ভারতের পুনেতে অবস্থিত সিরাম ইনস্টিটিউটে এসে পৌঁছায় একটি সিল করা স্টিলের বাক্স। বাক্সটি এসেছিল অক্সফোর্ড থেকে। আর বাক্সের মধ্যে ছিল এক মিলিলিটারের ছোট্ট একটা শিশিতে কিছু কোষ জাতীয় পদার্থ। এই পদার্থই বর্তমানে বিশ্বকে আলো দেখআনো অক্সফোর্ড ভ্যাকসিনের নমুনা। আর এই আগাম সাহায্যকে কাজে লাগিয়েই ভারত আশা করছে এই ভ্যাকসিন রেসে এগিয়ে থাকার।

ভ্যাকসিন নিয়ে ফাটকা খেলা?
এই শিশির পদার্থটিকেই সিরাম ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানীরা পরিণত করছে কয়েক কোটি ভ্যাকসিন। তবে এই ভ্যাকসিন এখনও পরীক্ষিত নয়। চলছে পর্যালোচনা। তবে তার আগের থেকেই এই উৎপাদন শুরুর জুয়া খেলেছে পুনের সংস্থাটি। যদি ফাটকা লেগে যায় তবে ভারতে বিশাল স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলবেন সবাই।

জারি রয়েছে ভ্যাকসিন রেস
ব্রিটেন, ভারত, আমেরিকা-সহ বিশ্বের বহু দেশে টিকা আবিষ্কারের জন্য গবেষণা চলছে। বেশ খানিকটা এগিয়ে গিয়েছে অক্সফোর্ডের টিকা পরীক্ষাও। এদিকে করোনার বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অক্সফোর্ডকে টেক্কা দিয়ে ক্লিনিকাল ট্রায়াল শেষ করেছে রাশিয়ার গামালেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তৈরি করা এই টীকা। গোচা বিশ্বেই এখন চলছে ভ্যাকসিন রেস।

বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন তৈরির সংস্থা ভারতেই
অক্সফোর্ড ও তার সহকারী অ্যাস্ট্রাজংনেকা এই ভ্যাকসিন প্রস্তুতের জন্য পুনের সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়ার সঙ্গে চুক্তি করে রেখেছে। পুনের এই ইনস্টিটিউট বিশ্বের বৃহত্তম ভ্যাকসিন তৈরির সংস্থা। অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজ়েনেকার ভ্যাকসিন তার চূড়ান্ত ধাপে সফল হলেই সিরাম ইনস্টিটিউট অফ ইন্ডিয়া সেই টিকা বানাতে পারবে। মানবদেহে এই টিকার প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে।
'কোরোনিল' চুরি? ১০ লক্ষ টাকা জরিমানা বাবা রামদেবের পতঞ্জলিকে