'হাই প্রোফাইল ব্যাঙ্ক জালিয়াতির তালিকা পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীকে', বিস্ফোরক রঘুরাম রাজন
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির একের পর এক ঘটনায় জেরবার ভারতীয় অর্থনীতি। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া থেকে মেহুল চোকসি, একর পর এক নাম এই জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত।
ব্যাঙ্ক জালিয়াতির একের পর এক ঘটনায় জেরবার ভারতীয় অর্থনীতি। নীরব মোদী, বিজয় মালিয়া থেকে মেহুল চোকসি, একর পর এক নাম এই জালিয়াতি মামলায় অভিযুক্ত। একাধিক প্রতারণা ও ব্যাঙ্ক জালিয়াতির মামলায় যখন বিরোধিদের তোপের মুখে কোণঠাসা কেন্দ্রীয় সরকার, তখন ব্য়াঙ্ক জালিয়াতদের নিয়ে বড়সড় বোমা ফাটালেন প্রাক্তন আরবিআই গভর্নর রঘুরাম রাজন।
রঘুরাম রাজন জানিয়েছেন, হাই প্রোফাইন ব্যাঙ্ক জালিয়াতিকাণ্ডের তালিকা আরবিআইয়ের তরফে পাঠানো হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। এমনই তথ্য তিনি পার্লামেন্টারি প্যানেলকে জানিয়েছেন। বিজেপি নেতা মুরলী মনোহর যোশীর নেতৃত্বাধীন এই প্যানেলকে রঘুরাম জানান, পবালিক সেক্টর ব্যাঙ্কিং সিস্টেমে সবচেয়ে বেশি প্রতারণা চলেছে। তিনি জানান, তাঁর গর্ভনর থাকা অবস্থায় আরবিআইয়ের তরফে জালিয়াতি রুখতে একটি সেল গঠিত হয়। সেই 'সেল'ই হাই প্রোফাইল জালিয়াতি কাণ্ডের তালিকা পাঠায় প্রধানমন্ত্রীর দফতরে। তবে সেই তালিকা পাঠানোর পরও কোনও কাজের কাজ হয়নি বলে জানান রাজন।
এছাডা়ও এই কমিটিকে 'ব্যাড লোন' সম্পর্কেও বহু তথ্য জানান রাজন। তিনি বলেন, কংগ্রেসের নেতৃত্বাধীন ইউপিএ সরকারর আমলেই অর্থাৎ ২০০৬ থেকে ২৯৯৮ সালের মধ্যে ভুয়ো ঋণ বিষয়ক ঘটনা সামনে আসেত থাকে। আর সেই সময় অর্থনৈতিক পরিকাঠামো ছিল বেশ পোক্ত। সেই সময়ে বিভিন্ন ব্যাঙ্ক প্রতারণার শিকার হতে থাকে ধীরে ধীরে। এছাড়াও এদিন 'নন পারফর্মিং অ্যাসেট' সম্পর্কেও একাধিক তথ্য প্রদান করেন রঘুরাম রাজন। উল্লেখ্য, পার্লামেন্টারি কমিটির আমন্ত্রণেই এদিন তিনি এই বৈঠকে যোগ দেন।