বাজেটের আগেই চনমনে শেয়ার বাজার, একধাক্কায় ৫৮২ পয়েন্ট চড়ল সেনসেক্স, নিফটি চড়ল ১৫৬ পয়েন্ট
বাজেটের আগেই চনমনে শেয়ার বাজার, একধাক্কায় ৫৮২ পয়েন্ট চড়ল সেনসেক্স, নিফটি চড়ল ১৫৬ পয়েন্ট
আর কিছুক্ষণ পরেই বাজেট পেশ করবেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তার আগেই চাঙ্গা শেয়ারবাজার। এক ধাক্কায় শেয়ার বাজার চড়ল ৫৮২.৮৫ পয়েন্ট। বাজেটের প্রস্তুতি প্রায় সারা। বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সপ্তাহ পর্যন্ত শেয়ার বাজারের অভিমুখ নিম্নমুখী ছিল। বাজেট অধিবেশন শুরুর দিন থেকেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছে শেয়ার বাজার। গতকাল থেকে শুরু হয়েছে বাজেট অধিবেশন। গতকালই শেয়ার বাজার চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল।
মঙ্গলবার বাজেট পেশ করার দিন। সেদিনই শেয়ার বাজার খোলার সঙ্গে সঙ্গেই চাঙ্গা হয়ে উঠেছিল শেয়ারবাজার। বাজার খুলতেই একাধিক শেয়ারের দাম চড়তে শুরু করে। সেনসেক্স ৫৮২ পয়েন্ট বেড়েছে। সেই সঙ্গে নিফটিও চাঙ্গা হয়ে উঠেছে। ১৫৬ পয়েন্ট চড়ল নিফটি। বেলা যত গড়াচ্ছে তত উর্ধ্বমুখী হচ্ছে শেয়ারবাজার। এখনও পর্যন্ত ৭০০ পয়েন্ট চড়েছে শেয়ার বাজার।
শেয়ার বাজারের এই উর্ধ্বগতিতে সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে টাটা স্টিল এবং এইচসিএল টেক। ৩০টি শেয়ারের মধ্যে যেগুলি সবচেয়ে বেশি লাভবান হয়েছে তার মধ্যে রয়েছে, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ব্যাঙ্ক, আইসিআইসিআই, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক, ইনফোসিস, সান ফার্মা, কোটাক ব্যাঙ্ক, অ্যাক্সিস ব্যাঙ্ক, বাজাজ ফিনসার্ভ, আলট্রাটেক সিমেন্ট, লার্সেন অ্যান্ড টুব্র। এই সংস্থার শেয়ারগুলি ১ থেকে ২ শতাংশ বেড়েছে। নিফটিতে ব্রিটানিয়ার শেয়ারের দাম ২ শতাংশ বেড়েছে। এদিকে আবার ডঃ রেড্ডির শেয়ারের দাম অনেকটাই কমেছে। নিফটিতে আবার ধাক্কা খেয়েছে বিপিিসএল, আইওসি, ওএনজিসি, এবং টাট মোটরসের শেয়ারের দাম কমেছে।
গত ১০ বছরে বাজেট পেশের দিন নিফটি নিম্নমুখী ছিল। কিন্তু এই বছরে শেয়ার বাজারের সঙ্গে সঙ্গে নিফটিও অনেকটাই চড়েছে। গতকাল আর্থিক সমীক্ষা পেশের সময় কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নের কথা বলেছেন। তিনি বলেছেন ২০২৩ সালে দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৮-৮.৫ শতাংশের কাছাকাছি থাকবে। অর্থাৎ দেশের অর্থনীতি যে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে করোনা পরিস্থিতির ধাক্কা কাটিয়ে তার ইঙ্গিত দিয়েছেন তিনি। সেকারণেই হয়তো শেয়ার বাজারে ধীরে ধীরে আগ্রহ ফিরে আসছে। কারণ করোনা সংক্রমণের প্রথম বছরে শেয়ার বাজারের পরিস্থিতি ভীষণই খারাপ হয়ে গিয়েছিল।