শেয়ার বাজারে টানা ধস! গত ৬ মাসের উপার্জিত মুনাফা ৬ দিনেই খোয়ালেন বিনিয়োগকারীরা
করোনা ধাক্কা প্রাথমিক ভাবে সামলে বে ভালোই গতি ধরেছিল শেয়ার বাজার। তবে সেই উর্ধ্বমুখী শেয়ার বাজারে লাগে শনির দশা। এবং এর জেরেই গত ৬ দিনে প্রায় ২৫০০ পয়েন্ট পতন হয় সেনসেক্সের। শুধুমাত্র এদিনই এক ধাক্কায় ১১০০ পয়েন্ট পড়ে যায় সেনসেক্স। এর জেরে গত ছয় মাসে শেয়ার বাজারে যাঁরা সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেছেন তাঁরাই সবচেয়ে বেশি খোয়ালেন শেষ ছয় দিনে।
১১০০ পয়েন্ট পতন সেনসেক্সে
বৃহস্পতিবার দুপুর দুটো নাগাদও সেনসেক্সের কাঁটা ৭০০ পয়েন্ট পতন হয় লালের ঘরে ছিল। তবে শেষ একঘণ্টার লেনদেনে আরও পতন শুরু হয় শেয়ার বাজারে। প্রায় ৪০০ পয়েন্ট সেনসেক্স পড়ে শেষ দেড় ঘণ্টার ব্যবধানে। বুধবার বাজার বন্ধের সময় সেনসেক্স ছিলো ৩৭,৬৬৮.৪২ পয়েন্টে। আর বৃহস্পতিবারের ধসের পর বাজার শেষ হয় ৩৬,৫৫৩.৬০ পয়েন্টে।
নিফটি ১১ হাজারের গণ্ডির নিচে
একইভাবে বুধবার বাজার বন্ধের সময় নিফটি ছিল ১১,১৩১.৮৫ পয়েন্টে। এদিন সকালে নিফটি খোলে ১১,০১১ পয়েন্টে। ডে হাই করে ১১,০১৫.৩০ পয়েন্ট এবং ডে লো ১১ হাজার ভেঙে ১০,৮০৫.৫৫ পয়েন্টে। আগস্ট মাসের ৩ তারিখের পর এদিনই প্রথম নিফটি ১১ হাজারের গণ্ডির নিচে নামল।
টানা ছয় দিন ধরে শেয়ার বাজারে পতন
টানা ছয় দিন ধরে শেয়ার বাজারে পতন লক্ষ্য করা গিয়েছে। এর জেরে গত ছয় মাসে শেয়ার বাজারে যাঁরা সবচেয়ে বেশি উপার্জন করেছেন তাঁরাই সবচেয়ে বেশি খোয়ালেন শেষ ছয় দিনে। বিনিয়োগকারীদের প্রায় ১০ লক্ষ কোটি টাকা এই ধসের জেরে ধুয়ে মুছে সাফ হয়ে গিয়েছে।
অর্থনৈতিক পুনরুত্থান কবে হবে?
ফের বিশ্বজুড়ে করোনা সংক্রমণ মাথাচাড়া দেওয়ায় অর্থনৈতিক পুনরুত্থান নিয়ে অনিশ্চয়তা দেখা দিয়েছে। আর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে বাজারে। এদিকে একমাসের মধ্যে সব থেকে নিচে নামে ভারতীয় মুদ্রার দাম। এদিন টাকার দাম কমে ডলার পিছু ৭৩.৯৬-এ দাঁড়ায়। এদিকে অপরিশোধিত তেলের দাম বিশ্ব বাজারে রয়েছে ৪০ ডলার প্রতি ব্যারেল।