মুদ্রাস্ফীতি আরবিআইয়ের সহনশীলতা স্তরের নীচে, এক লাফে ৪০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স
মুদ্রাস্ফীতি আরবিআইয়ের সহনশীলতা স্তরের নীচে, এক লাফে ৪০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স
গতকালই সিপিআই রিপোর্ট অনুযায়ী মুদ্রাস্ফীতির পরিসংখ্যান সামনে এসেছে। তা ১১ মাসের মধ্যে সর্বনিম্ন স্থানে নেমেছে এবার। তার প্রভাব পড়তে শুরু করল শেয়ার বাজারে। মঙ্গলবার শেয়ার বাজারে খুশির আমেজ। একলাফে ৪০০ পয়েন্ট বাড়ল সেনসেক্স। নিফটিও খানিকটা বৃদ্ধি পাওয়ায় ভারতীয় স্টক মার্কেট চাঙ্গা।
ভারতীয় ইক্যুইটি বেঞ্চমার্কগুলি মঙ্গলবার ব়্যালি করে দেখেছে, মুদ্রাস্ফীতি ১১ মাসের সর্বনিম্ন এবং রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার সহনশীলতরা স্তরের নীচে নেমেছে। যা কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক থেকে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিকে সমর্থন করছে। তারপর ভারতীয় শেয়ার বাজারেও দেখা গিয়েছে উচ্চগতি। বিএসই সেনসেক্স সূচক ৪০২.৭৩ পয়েন্ট বেড়ে ৬২,৫৩৩.৩০-এ বন্ধ হয়েছে এবং বৃহত্তর এনএসই নিফটি সূচক ১১০.৮৫ পয়েন্ট বেড়ে বা ১৮,৬০৮-এ শেষ হয়েছে।
সোমবার প্রকাশিত ডেটায় দেখা যায়, খুচরো মুল্যাস্ফীতি ১১ মাসের সর্বনিম্ন ৫.৮৮ শতাংশে নেমে গিয়েছে। এবং ডিসেম্বর ২০২১ থেকে প্রথমবার আরবিআইয়ের লক্ষ্যমাত্রা ২ থেকে ৬ শতাংশের উপরের প্রান্তের নীচে নেমে গিয়েছে। এর ফলে আরবিআই ভবিষ্যতের হার বৃদ্ধির গতি কমিয়ে দেবে। বুধবার ফেডারেল রিজার্ভের বৈঠকেই এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হবে।
বিশ্বের বৃহত্তম অর্থনীতি এই বছর মূল্যস্ফীতির সর্বনিম্ন স্তরের রেকর্ড করবে এমন প্রত্যাশা সত্ত্বেও, মার্কিন সূচক ফিউচার এবং ইউরোপীয় শেয়ারগুলি স্থিতিশীল ছিল। তার ফলে ভারতীয় শেয়ার বাজার ঊর্ধ্বমুখী হয়। সেনসেক্স ও নিফটিও বাড়তে শুরু করে। বাজার বন্ধ হয় আশাব্যাঞ্জক রেজাল্ট দিয়ে।
এখানে উল্লেখ্য, ভারতের খুচরা মুল্যস্ফীতি নভেম্বরে এক ধাক্কায় অনেকটাই নেমে যায়। কনডিউমার্স প্রাইস ইনডেক্স বা সিপিআই রিপোর্ট অনুযায়ী, এই মুল্যস্ফীতি ১১ মাসের সর্বনিম্ন। কনজিউমার প্রাইস ইনডেক্স দ্বারা পরিমাপিত খুচরো মূল্যস্ফীতি নভেম্বরে নেমে আসে ৫.৮৮ শতাংশে। ভারতের খুচরো মূল্যস্ফীতি অক্টোবরে ৬.৭৭ শতাশ ছিল।
পৃথকভাবে ভারতের ফ্যাক্টরি আউটপুট ইনডেক্স অফ ইন্ডাস্ট্রিয়াল প্রোডাকশনের মাধ্যমে পরিমাপ করে দেখা গিয়েছে অক্টোবরে চার শতাংশ সংকোচন হয়েছে। পরিসংখ্যান ও কর্মসূচি বাস্তবায়ন মন্ত্রকের দ্বারা প্রকাশিত দুটি পৃথক তথ্য সোমবার প্রকাশিত হয়েছে। খুচরো মুদ্রাস্ফীতি ২০২১ সালের ডিসেম্বরের পর থেকে সর্বনিম্ন স্তরে চলে এসেছে। সিপিআই ২০২২ সালের ক্যালেন্ডার বছরে প্রথমবারের মতো রিজার্ভ ব্যাঙ্ক অফ ইন্ডিয়ার ঊর্ধ্ব মার্জিনে ৬ শতাংশের নীচে এসেছে। সরকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ককে বাধ্যতামূলক করেছে ২০২৬ সালের মার্চে শেষ হওয়া পাঁচ বছরের মেয়াদে উভয় দিকে ২ শতাংশের মার্জিন-সহ খুচরো মুল্যস্ফীতি ৪ শতাংশে বজায় রাখা।
ভারতীয় নোট থেকে কি মহাত্মা গান্ধীর ছবি মুছে ফেলবে সরকার? হঠাৎ হাজির বিতর্ক