Sensex: চার দিনে ১৬০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার বাজার, ১২ লক্ষ কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা
Sensex: চার দিনে ১৬০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার বাজার, ১২ লক্ষ কোটি টাকা হারালেন বিনিয়োগকারীরা
চিনে করোনা সংক্রমণ বাড়তে শুরু করেছে। তার আঁচ পড়েছে ভারতীয় অর্থনীতিতে। গত চারদিনে ১৬০০ পয়েন্ট পড়েছে শেয়ার বাজার। বিপুল ধসে কয়েক লক্ষ কোটি টাকা জলে গিয়েছে বিনিয়োগকারীরদের। গত চার দিনে প্রায় ১২ লক্ষ কোটি টাকা শেয়ার বাজারে হারিয়েছেন বিনিয়োগকারীরা। বছর শেষে এই ধাক্কা সামলে উঠবেন কীভাবে তাই নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন তাঁরা। শুক্রবার সকালেও মন্দা ছিল শেয়ার বাজার। ৭৫০ পয়েন্ট পড়েছিল সেনসেক্স। নিফটির অবস্থাও করুন।
শেয়ার বাজারে ধাক্কা
গতকাল দিন ধরে লাগাতার নিম্নমুখী শেয়ার বাজার। শুক্রবার বাজার খুলতেই সূচক নিম্নমুখী হয়েছিল। বেলা গড়াতেই শেয়ার বাজার ৭৫০ পয়েন্ট পড়ে যায়। গত চার দিন ধরে লাগাতার নিম্নমুখী রয়েছে শেয়ার বাজার। একাধিক কোম্পানির শেয়ার দাম পড়তে শুরু করেছে। একাধিক ভারতীয় কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়তে শুরু করেছে। গত চার দিন ধরে লাগাতার শেয়ার বাজারের পতনের জেরে বিপুল ক্ষতির মুখে একাধিক কোম্পানি। শেয়ার বাজারের কারবারিরা চার দিনে ১২ লক্ষ কোটি টাকার লোকসানের শিকার হয়েছেন।
কেন এই অবস্থা
স্থিতিশীল অবস্থা থেকে ফের শেয়ার বাজারের এই ধসের নেপথ্যে রয়েছে চিনের করোনা সংক্রমণ। করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট BF.7 থাবা বসিয়েছে চিনের একাধিক জায়গায়। সংক্রমণ মারাত্মক আকার নিয়েছে। সাংহাইয়ের স্বাস্থ্য পরিষেবা যাকে বলে ভেঙে পড়েছে। এই ভ্যারিয়েন্টের সংক্রমণে জানুয়ারির শেষে ১০ লক্ষ মানুষের মৃত্যু হতে পারে চিনে। এমনই আশঙ্কার কথা শুনিয়েছেন গবেষকরা। চিনের এই বিপুল হারে ছড়িয়ে পড়া করোনা সংক্রমণে কারণেই শেয়ার বাজারের এই অবস্থা বলে মনে করছেন অর্থনীতিবিদরা। ইতিমধ্যেই চিন থেকে আসা একাদিক সামগ্রির উপরে নজরদারি শুরু হয়ে গিয়েছে। আন্তর্জাতিক উড়ানে শুরু হয়ে গিয়েছে নজরদারি।
তেলের দাম বৃদ্ধি
শেয়ার বাজারের েই ধসের অরেকটি কারণ তেলের দাম বৃদ্ধি। আবারও তেলের দাম বাড়তে শুরু করেছে বিশ্ববাজারে। অপরিশোধিত তেলের দাম ব্যারেল পিছু ৮৮ সেন্ট হয়ে গিয়েছে। আমেরিকার অপরিশোধিত তেলের দামও বাড়তে শুরু করেছে। সেটাও ব্যারেল প্রতি ৭৮ ডলার থেকে বেড়ে ৯২ সেন্টে চলে গিয়েছে। কাজেই অনেকটাই দামি হয়ে গিয়েছে অপরিশোধিত তেলের দাম।
আমেরিকায় কর্মসংস্থানের সংকট
সম্ভবত ২০২৩ সালের শুরু থেকেই আমেরিকায় রিসেশন শুরু হয়ে যাবে। ইতিমধ্যেই আমেরিকার একাধিক জায়গায় চাকরির সংকট তৈরি হয়ে গিয়েছে। সেকারণে বিনিয়োগে ঘাটতি দেখা দিয়েছে। মার্কিন ফোডারেল ব্যঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে রোপোরেট বাড়িয়েছে। তার প্রভাবেও অনেকটা ধাক্কা খাচ্ছে শেয়ার বাজার। অর্থাৎ দেশিয় থেকে বিদেশি বিনিয়োগকারীর সংখ্যা কমে যাওয়াতেই শেয়ার বাজারে ধস নামছে বলে মনে করা হচ্ছে।
বঙ্গ বিজেপিতে ভরসা নেই! পঞ্চায়েত ভোটের প্রচারেও ভরসা সেই মোদীই