শেয়ার বাজারে বিপুল ধস, ১৩০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স
শেয়ার বাজারে বিপুল ধস, ১৩০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স
সোমবার বাজার খুলতেই শেয়ারবাজারে ধস নামতে শুরু করে। এক ধাক্কায় ১৩০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ারবাজার। সােমবার বাজার খোলার পড়েই শুরু হয়ে যায় রক্তক্ষরণ। ধস নেমেছে নিফটিতেও।
শেয়ার বাজারে ধস
শেয়ার বাজারে বিপুল ধস নামল সপ্তাহের প্রথম িদনেই। সকালে ২শতাংশ কমেই খুলেছিল শেয়ার বাজার। তারপর আর ঘুরে দাঁড়ায়নি সেনসেক্স। এক ধাক্কায় ১৩০০ পয়েন্ট পড়েছে সেনসেক্স। আমেরিকার ফেডারেল ব্যাঙ্ক মুদ্রাস্ফীতি িনয়ন্ত্রণে একের পর এক পদক্ষেপ করতে শুরু করাতেই শেয়ার বাজারে এই ধস বলে মনে করা হচ্ছে। ইতিমধ্যেই মার্কিন ফেডারেল ব্যাঙ্কের প্রধান ফের সুদ বাড়ানোর ইঙ্গিত দিয়েছে। সকাল সাড়ে ৯টাতেই শেয়ার বাজার পড়তে শুরু করেছিল। ২.২৩ শতাংশ পড়েছে শেয়ার বাজার।
কোন কোন শেয়ারের দামে পতন
একাধিক কোম্পানির শেয়ারর দামে পতন ধরা পড়েছে। সেই তালিকায় রয়েছে, টেক মাহিন্দ্রা, ইনফোসিস, এইচসি এল টেকনোলজিস, টাটা কনসাল্টেন্সি, উইপ্রো, টাটা স্টিল, এইচডিএফসি ব্যাঙ্ক। একাধিক নামি কোম্পানির শেয়ারের দাম পড়েছে। তাতে মাথায় হাত ব্যবসায়ীদের। হঠাৎ করে শেয়ার বাজারে পতনের নেপথ্য ফের আন্তর্জাতিক কারণ বলে মনে করছেন গবেেষকরা। অর্থনীতিবদরা জানিয়েছেন মার্কিন ফেডারেল ব্যাঙ্ক রেপোরেট বাড়ানোর পর প্রথম শুরু হয়েছিল শেয়ার বাজারে পতন।
টাকার দামে পতন
টাকার দামেও পতন হয়েছে। ১ ডলারের দাম এখন ৮০ টাকা। শেয়ার বাজারে পতনের কারণেই টাকার দামেপতন বলে মনে করা হচ্ছ। শেয়ার বাজারের বিপুল ধস নেমেছে সকাল থেকে। তার নেপথ্যে রয়েছে ফেডারেল ব্যাঙ্কের সুদ বাড়ােনার ইঙ্গিত। এক ধাক্কায় ৩১ পয়সা দাম বেড়েছে টাকার। সর্বকালীর রেকর্ড দাম বেড়েছে টাকার দামে। তার সঙ্গে অপরিশোধিত তেলের দাম বেড়ে যাওয়ার কারণেই টাকার দাম বেড়েেছ বলে মনে করা হচ্ছে।
অর্থনীতিতে ধাক্কা
একদিকে শেয়ার বাজারে ধস। আরেকদিকে টাকার দামে পতন দফায় দফায় দুই ক্ষেত্রেই বিপুল ধাক্কা এসেছে দেশের অর্থনীতিতে। করোনা কালের ধাক্কা সামলে কিছুটা হলেও চাঙ্গা হয়েছিল দশের অর্থনীতি। কিন্তু ইউক্রেন রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে বিপুল ধাক্কা আসে আন্তর্জাতিক বাণিজ্যে। অপরিশোধিত তেলের দাম বিপুল হারে বেড়ে গিয়েছিল। তার জেরে একের পর এক ধাক্কা আসতে শুরু করে অর্থনীতি।