
ফের শেয়ার বাজারে ধাক্কা, ১০০০ পয়েন্ট পড়ল সেনসেক্স
ফের শেয়ার বাজারে ধাক্কা। ১০০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার হাজার। দিনের শুরুতেই বড় ধাক্কা দালাল স্ট্রিটে। গত কয়েকদিন ধরে শেয়ার বাজার একটু হলেও ভাল অবস্থায় ছিল। কিন্তু শুক্রবার সকাল থেকে দালাল স্ট্রিটে হাওযা খারাপ দিকেই ছিল বাজার খুলতেই পড়তে শুরু করে সেনসেক্স। এক ধাক্কায় ১০০০ পয়েন্ট পড়ল শেয়ার বাজার। সবচেয়ে বেশি শেয়ারের দর পড়েছে জোম্যাটোর। প্রায় ৬ শতাংশ দাম পড়েছে অনলাইন ফুড ডেলিভারি অ্যাপ জোম্যাটোর।

শেয়ার বাজারের এই পতনে যেসব সংস্থার শেয়ারের দাম পড়েছে সেই তালিকায় রয়েছে ইনফোসিস। ইনফোসিসের শেয়ারের দর সবচেয়ে বেশি পড়েছে। তার পরেই রয়েছে ইউপ্রো। এছাড়া টেক মাহিন্দ্রা, এইচ সিএল টেক, এইচডিএফসি, বাজাজ ফিনান্স, এম অ্যান্ড এম এবং বাজাজ ফিনসার্ভ। একের পর এক বড় বড় তথ্য প্রযু্ক্তি সংস্থার শেয়ারের দামের পতন কপালে ভাঁজ ফেলেছে উদ্যোগপতিতের। তবে আশ্চর্য জনক ভাবে জ্যোম্যাটোর শেয়ারের দাম কমেছে। ৬ শতাংশ দাম পড়েছে জ্যোম্যাটোর শেয়ারের দর।
এই মন্দার বাজারেও লাভ কুড়িয়েছে এনটিপিসি এবং নেসলে ইন্ডিয়া। এই দুই সংস্থার শেয়ারের দাম চড়েছে। ৩০টি সংস্থার শেয়ারের দাম ৪৬০.০৬ পয়েন্টে গিয়ে থেমেছে। অর্থাৎ এই কোম্পানি গুলির শেয়ারের দর অনেকই ভাল অবস্থায় রয়েছে। এদিকে শেয়ার বাজারের উল্টো স্রোতে বইছে নিফটি। সেখানে কিন্তু অবস্থা রীতিমত ভাল। নিফটি সকাল থেকে চাঙ্গা। ১৪২.০৫ পয়েন্ট চড়েছে নিফটি।
করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের কারণে গত ২ বছর ধরে ভাল অবস্থায় নেই ভারতের শেয়ার বাজার। গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখার কথা ঘোষণা করেছে। দেশের বাণিজ্য চাঙ্গা রাখতেই রেপোরেট অপরিবর্তিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আরবিআই। গত ২ বছর ধরে রপোরেট অপরিবর্তিত রয়েছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতেই এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে রিজার্ভ ব্যাঙ্ক। বাণিজ্য ধাক্কা অনেকটাই সামলে উঠেছে ভারত। এমনই দাবি করেছেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন। তিনি জানিয়েছেন দেশের জিডিপি বৃদ্ধি ৯.২ ছিল ২০২২ অর্থবর্ষে। সেটা ২০২৩ অর্থবর্ষে ৮-৮.২ থাকবে। অন্যদিকে গতকাল রিজার্ভ ব্যাঙ্ক গতকাল দেশের জিডিপি বৃদ্ধির যে পূর্বাভাস দিয়েছিল সেটা ৭.৮ শতাংশ। অর্থাৎ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর পূর্বাভাসের তুলনায় কম বলে জানানো হয়েছে।