সুপ্রিম কোর্টে অনিয়মের অভিযোগের মধ্যে এই পর্যায়টিও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ
সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন থেকে সিনিওরিটি শুরু হয়। যদি একইসঙ্গে দুজন বিচারপতি শপথ নেন, তাহলে, যিনি আগে শপথ নেন, তুলনার বিচারে তিনিই সিনিয়র হয়ে যান।
সুপ্রিমকোর্টে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন থেকে সিনিওরিটি শুরু হয়। যদি একইসঙ্গে দুজন বিচারপতি শপথ নেন, তাহলে, যিনি আগে শপথ নেন, তুলনার বিচারে তিনিই সিনিয়র হয়ে যান।
হাইকোর্টের বিচারপতিদের ক্ষেত্রে সিনিওরিটির বিষয়টি বেশ সংবেদনশীল। বিচারপতিদের ক্যারিয়ারেও বিষয়টি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কেননা বিষয়টি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হওয়ার ক্ষেত্রে তা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সুপ্রিম কোর্টের ক্ষেত্রেও বিষয়টি প্রায়ই এক।
এমনও অনেক দৃষ্টান্ত আছে যেখানে, হাইকোর্টের বিচারপতিকে প্রধান বিচারপতি না করেই সরাসরি সুপ্রিম কোর্টে নিয়োগ করা হয়েছে।
সুপ্রিমকোর্টের ক্ষেত্রে বিচারপতি হিসেবে শপথ নেওয়ার দিন থেকে সিনিওরিটি শুরু হয়। যদি একইসঙ্গে দুজন বিচারপতি শপথ নেন, তাহলে, যিনি আগে শপথ নেন, তুলনার বিচারে তিনিই সিনিয়র হয়ে যান।
প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্রের বিরুদ্ধে কথা বলা বিচারপতি চেলামেশ্বরকে হাইকোর্টে নিয়োগ করা হয় ১৯৯৭ সালের ২৩ জুন। বর্তমান প্রধান বিচারপতি দীপক মিশ্র হাইকোর্টে নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৯৯৬-এর ১৭ জানুয়ারি। হাইকোর্টের বিচারপতি হিসেবে খেহর নিযুক্ত হয়েছিলেন ১৯৯৯-এর ৮ ফেব্রুয়ারি। চেলামেশ্বরকে গুয়াহাটি হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ করা হয়, ২০০৭-এর ৩ মে। অন্যদিকে, বিচারপতি খেহর হাইকোর্টের প্রধান বিচারপিতর পদ পেয়েছিলেন ২০০৯-এর ২৯ নভেম্বর এবং বর্তমানে সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি মিশ্র হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতির পদ পেয়েছিলেন ২০০৯-এর ২৩ ডিসেম্বর।
কিন্তু বিচারপতি চেলামেশ্বরের দুবছরের ওপর সিনিওরিটি কলেজিয়ামের দ্বারা খারিজ হয়ে যায়। কলেজিয়ামের মাধ্যমে বিচারপতি খেহর সুপ্রিম কোর্টে নিযুক্ত হন ২০১১-র ১৩ সেপ্টেম্বর। এর প্রায় একমাস পরে ২০১১-র ১০ অক্টোবর সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি হিসেবে যোগ দেন দীপক মিশ্র এবং চেলামেশ্বর।
এক্ষেত্রেও বিচারপতি চেলামেশ্বরের আগেই শপথ নেন বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন দীপক মিশ্র। ফলে তিনি সিনিওরিটির দিক থেকে এগিয়ে যান।
বিষয়টি নিয়ে বলতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্টের প্রাক্তন বিচারপতি রুমা পালের উদাহরণ টেনেছেন বিচারপতি চেলামেশ্বর। বলেন, কলেজিয়াম কোটারির মতোই।
সিনিওরিটিতে অন্যান্য সুযোগও রয়েছে। সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি-সহ প্রথম তিনজন হাইকোর্টগুলির বিচারপতি নিয়োগের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেন।