বিদ্যুৎ প্রকল্প আদানিকে দিতে চাপ মোদীর! অভিযোগ অস্বীকার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
প্রবল আর্থিক সংকটে ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ভারতকে (india)। সেই পরিস্থিতিতে বিদেশি রাষ্ট্রের জন্যই শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার ব্যাপারে অভিযোগ উঠতে শুরু
প্রবল আর্থিক সংকটে ভারতের প্রতিবেশী শ্রীলঙ্কা (Srilanka)। সাহায্য নিয়ে পাশে দাঁড়াতে দেখা গিয়েছে ভারতকে (india)। সেই পরিস্থিতিতে বিদেশি রাষ্ট্রের জন্যই শ্রীলঙ্কার আর্থিক পরিস্থিতি ভেঙে পড়ার ব্যাপারে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছে। চিনের বিরুদ্ধে অভিযোগের পরে সেই অভিযোগের তির এবার ভারতের (india) প্রধানমন্ত্রীর দিকে। তবে দেশ হিসেবে নয়, ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী (Narendra modi) শ্রীলঙ্কার একটি বিদ্যুৎ প্রকল্পের ভার আদানি গোষ্ঠীর হাতে তুলে দিতে সেদেশের প্রেসিডেন্ট (President) রাজাপক্ষেকে (Rajapaksa) চাপ দিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন এক শীর্ষস্থানীয় আধিকারিক। যদিও প্রেসিডেন্ট ইতিমধ্যেই সেই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি শ্রীলঙ্কার উত্তরে
যে বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি নিয়ে অভিযোগ উঠেছে, সেটি দ্বীপরাষ্ট্রের মান্নার উত্তর জেলায়। বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি ৫০০ মেগাওয়াটের এবং পুনর্নবীকরণযোগ্য শক্তি প্রকল্পের সঙ্গে সম্পর্কিত।
শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্ট এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রীর দিকে অভিযোগ
শ্রীলঙ্কার সিলন ইলেকট্রিসিটি বোর্ডের (সিইবি) চেয়ারম্যান, এমএমসি ফার্দিনান্দো কলম্বোয় এক সংসদীয় প্যানেলের সামনে উপস্থিত হয়ে দাবি করেছেন, প্রেসিডেন্ট রাজাপক্ষের সঙ্গে কথোপকথনের সময় তিনি বলেছিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী মোদী তাঁকে ওই প্রকল্পে ভার আদানি গ্রুপকে দেওয়ার জন্য চাপ দিয়েছিলেন। পরিষ্কার করেই তিনি বলেছেন, প্রেসিডেন্ট তাঁকে ওই প্রকল্পের ভার ভারতীয় কোম্পানিকে দিতে বলেছিলেন। শ্রীলঙ্কার ওই আধিকারিক দাবি করেছেন, ভারতের প্রধানমন্ত্রী চেয়েছিলেন আদানি গ্রুপ যাতে ওই প্রকল্প পায়।
অভিযোগ অস্বীকার শ্রীলঙ্কার প্রেসিডেন্টের
এক
সর্বভারতীয়
সংবাদ
মাধ্যমে
প্রকাশিত
খবর
অনুযায়ী,
এই
অভিযোগ
ওঠার
সঙ্গে
সঙ্গে
শ্রীলঙ্কার
প্রেসিডেন্ট
গোটাবায়া
রাজাপক্ষে
তা
অস্বীকার
করেছেন।
তিনি
বলেছেন,
শ্রীলঙ্কার
সিলন
ইলেকট্রিসিটি
বোর্ড
এব্যাপারে
যেমন
কোনও
প্রস্তাব
দেয়নি,
ঠিক
তেমনই
দুই
দেশের
সরকারের
মধ্যে
আলোচনার
সময়ও
এরকম
কোনও
প্রস্তাবের
কথা
ওঠেনি।
শ্রীলঙ্কার
সিলন
ইলেকট্রিসিটি
বোর্ডের
(সিইবি)
চেয়ারম্যান,
এমএমসি
ফার্দিনান্দো
প্রেসিডেন্ট
রাজাপক্ষের
সঙ্গে
যে
বৈঠকের
কথা
বলছেন,
সেখানে
তাঁকে
(ফার্দিনান্দো)
পরে
ডাকা
হয়েছিল
বলেও
দাবি
করেছেন
শ্রীলঙ্কার
প্রেসিডেন্ট।
শ্রীলঙ্কার
প্রেসিডেন্ট
রাজাপক্ষে
প্রথমে
টুইটারে
অভিযোগ
অস্বীকার
করেন।
সেখানে
তিনি
বলেন,
মান্নারে
বিদ্যুৎ
প্রকল্প
নির্দিষ্ট
কোনও
গোষ্ঠী
কিংবা
ব্যক্তির
হাতে
তুলে
দেওয়ার
অভিযোগ
তিনি
অস্বীকার
করছেন।
পরে
প্রেসিডেন্টের
কার্যলয়
থেকেই
অব্যাপারে
বিবৃতি
জারি
করে
কাউকে
প্রভাবিত
করার
অভিযোগ
অস্বীকার
করা
হয়েছে।
প্রেসিডেন্টের
অফিসের
বিবৃতিতে
বলা
হয়েছে,
মান্নারে
কোনও
ব্যক্তি
কিংবা
প্রতিষ্ঠানকে
কোনও
বিদ্যুৎ
প্রকল্প
তুলে
দেওয়ার
অনুমোদন
তিনি
দেননি।
অভিযোগকারীই সরেছেন অবস্থান থেকে
এব্যাপারে
শ্রীলঙ্কার
বিরোধী
শিবির
থেকে
দুর্নীতির
অভিযোগ
তোলা
হয়েছে।
তারা
বলেছে
শ্রীলঙ্কার
আদানি
গ্রুপকে
জায়গা
করে
দিতে
প্রতিযোগিতামূলক
বিডিং
বন্ধ
করে
দেওয়া
হয়েছে।
যার
জেরে
দেশে
বিদ্যুৎ
ক্ষেত্রে
দুর্নীতির
পথ
খুলবে
বলেও
অভিযোগ
করেছে
তারা।
অন্যদিকে
প্রথমে
অভিযোগ
করলেও,
পরের
দিনই
নিজের
ব্যক্তব্য
প্রত্যাহার
করে
নেন
শ্রীলঙ্কার
সিলন
ইলেকট্রিসিটি
বোর্ডের
(সিইবি)
চেয়ারম্যান,
এমএমসি
ফার্দিনান্দো।
তিনি
বলেন,
আবেগপ্রবণ
হয়ে
বিষয়টি
নিয়ে
মন্তব্য
করেছিলেন
তিনি।
সোমবার ইডির দফতরে হাজিরা দেবেন রাহুল! কংগ্রেসের প্রতিবাদ কর্মসূচিতে না দিল্লি পুলিশের