মোদীর বাবা কে, প্রশ্ন তুললেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী! বেফাঁস মন্তব্যে বিপাকে কংগ্রেস
রাহুল বলেছিলেন, কোনওভাবেই কোউ আঘাত পান, কোনও জাতি আঘাত পান, এমন মন্তব্য করা যাবে না। সেই বার্তা শিকেয় তুলে কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিতৃপরিচয় নিয়ে।
রাহুলের নিষেধাজ্ঞার কথা কানেই করলেন না কেউ। ফের কংগ্রেস নেতার বেফাঁস মন্তব্যে বিদ্ধ হলেন নরেন্দ্র মোদী। রাহুল বলেছিলেন, কোনওভাবেই কোউ আঘাত পান, কোনও জাতি আঘাত পান, এমন মন্তব্য করা যাবে না। সেই বার্তা শিকেয় তুলে কংগ্রেস নেতার প্রশ্ন তুললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর পিতৃপরিচয় নিয়ে।
|
কংগ্রেস নেতার তোপে মোদীর বাবা
রাজ বব্বরের পর প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী বিলাস মুত্তেমওয়া। মহারাষ্ট্রের প্রবীণ এই নেতার প্রশ্ন, রাহুল গান্ধীর পাঁচ পুরুষের নাম সবাই জানে, কিন্তুর মোদীর বাবার নাম কি কেউ জানেন? মোদীর বাবার নাম কী? কেউ জানেন না তাঁর বাবার নাম। তাই তাঁর কোনও অধিকারই নেই কংগ্রেসের কাছে হিসেব চাওয়ার।
রাজ বব্বরের নিশানার মোদীর মা
দিন কয়েক আগে উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজবব্বর একটি জনসভায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মাকে নিয়ে প্রশ্ন করে বসেন। তিনি বলেন, দিনের পর দিন টাকার দাম যেভাবে পড়ছে তা খুব শীঘ্রই প্রধানমন্ত্রীর মায়ের বয়সকে ছুঁয়ে যাবে। এরপরই তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েন রাজবব্বর। এমনকী মোদী নিজেও জনসভা এই প্রসঙ্গ উত্থাপন করে রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করেন।
বেফাঁস মন্তব্যে কংগ্রেসেরই ক্ষতি
কিন্তু রাজবব্বরের ভুল থেকে শিক্ষা নেননি কংগ্রেস নেতারা। তাহলে একজন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী তথা প্রবীণ নেতা প্রধানমন্ত্রীর বাবাকে নিয়ে এ প্রশ্ন তুলতে পারতেন না। অথর কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধী টুইট করে বার্তা দিয়েছিলেন এ ধরনের বেফাঁস মন্তব্য দলের ক্ষতি করছে, তা সত্ত্বেও কংগ্রেস নেতারা কর্ণগোচর করছেন না সে কথা।
[আরও পড়ুন:মোদী নিজের মুখেই স্বীকার করে নিয়েছেন চার বছরের ব্যর্থতা, পাল্টা প্রচারে কংগ্রেস]
মোদীকে নিশানায় জোশী
সম্প্রতি রাজস্থানে ভোটপ্রচারে গিয়ে প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সিপি জোশী প্রধানমন্ত্রী মোদীকে নিশানা করে জাতিবিদ্বেষমূলক কথা বলেন। তিনি বলেন, হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলার কোনও যোগ্যতা নরেন্দ্র মোদীর নেই। হিন্দুত্ব নিয়ে কথা বলতে পারেন একমাত্র ব্রাহ্মণরা। তাঁর এই মন্তব্য নিয়েই ঝড় ওঠে রাজনৈতিক মহলে।
[আরও পড়ুন:ইমরানের ডাকে সাড়া দিলেন না সুষমা, তবে মোদী সরকারের দুই মন্ত্রী যাচ্ছেন পাকিস্তানে]
রাহুলের টুইট-বার্তার পরও
রাহুল গান্ধী টুইটার হ্যান্ডেলে সুস্পষ্ট ভাষায় লেখেন, কংগ্রেসের আদর্শ বিরোধী মন্তব্য করেছেন প্রবীণ কংগ্রেস নেতা। সমাজের কোনও অংশ আঘাত পেতে পারে, এমন বক্তব্য রাখা অনুচিত। তা কংগ্রেসের আদর্শবিরোধীও। কংগ্রেসের কখনও তা করেনি, ভবিষ্যতেও করবে না। তাই কংগ্রেস নেতার উচিত ক্ষমা চাওয়া। রাহুল গান্ধী টুইটারে উষ্মাপ্রকাশ কররা পর ক্ষমা চান সিপি জোশী।
[আরও পড়ুন: ইন্দিরাকে ‘প্রতারক' তকমা মোদীর! রাহুলের বাণ রুখতে এবার নয়া ‘ঢালে'র প্রয়োগ]