মুখ্য বিচারপতিকে ক্লিনচিট মামলায় কী প্রতিক্রিয়া ইন্দিরা জয়সিংয়ের
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ইন হাউস কমিটি যৌন হেনস্থা মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-কে।
সুপ্রিম কোর্টের তিন সদস্যের ইন হাউস কমিটি যৌন হেনস্থা মামলায় ক্লিনচিট দিয়েছে মুখ্য বিচারপতি রঞ্জন গগৈ-কে। সেখানে রায়ের রিপোর্ট জনসমক্ষে আনা হবে না বলে জানানো হয়েছে। এক্ষেত্রে ২০০৩ সালের ইন্দিরা জয়সিং বনাম সুপ্রিম কোর্টের মামলার উল্লেখ করা বলা হয়, সেইসময় কমিটি তৈরি করে রিপোর্ট জমা করা হয়েছিল ইন-হাউস প্রক্রিয়া মেনে। যা জনসমক্ষে প্রকাশ করা যায় না।
যা সামনে আসার পরে সিনিয়র অ্যাডভোকেট ইন্দিরা জয়সিং নিজের প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, এটা দুর্নীতি। ইন্দিরা জয়সিং বনাম সুপ্রিম কোর্ট মামলাও যৌন হেনস্থা নিয়ে ছিল যেখানে কর্ণাটক হাইকোর্টের কথা উঠে এসেছিল। আরটিআই লাগু হওয়ার আগে এই মামলাটি হয়। ফলে জনস্বার্থে মামলার রায় সামনে আনা হোক।
#NotInMyName
— indira jaising (@IJaising) May 6, 2019
This is a scandal
Indira Jaising v Supreme Court of India was also a case of sexual harassment by a sitting High Court of Karnataka.
It is a pre RTI case and is bad in law
Demand the disclosure of the findings of the enquiry committee in public interest https://t.co/Saw07mBPhV
২০০৩ সালের সেই মামলায় ইন্দিরা জয়সিং রিপোর্ট জনসমক্ষে আনার দাবি জানিয়ে মামলা করেন। তবে সেই মামলা দুই বিচারপতি এস রাজেন্দ্র বাবু ও জিপি মাথুরের বেঞ্চে পাশ হয়। তার আগে তিন সদস্যের কমিটি কর্ণাটকের হাইকোর্টের বিচারপতিদের বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা নিয়ে তদন্ত করেছিল। এবং পরে ক্লিনচিট দেয়।
মুখ্য বিচারপতির বিরুদ্ধে যৌন হেনস্থা মামলায় তিন বিচারপতির বেঞ্চ রিপোর্ট তৈরি করে তাঁকেই ফেরত পাঠিয়েছে। এখন ঘটনা হল, যদি ফের এই মামলায় কোনও পদক্ষেপ করতে হয় তাহলে সেক্ষেত্রেও মুখ্য বিচারপতিকেই দায়িত্ব নিতে হবে।
ইন্দিরা জয়সিং মামলায় উচ্চ পর্যায়ের বিচারবিভাগীয় কমিটি তৈরি হয়। সেখানে ছিলেন বম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি সিকে ঠক্কর, কেরল হাইকোর্টের বিচারপতি জেএল গুপ্ত, ওড়িশা হাইকোর্টের বিচারপতি একে পট্টনায়েক। এই কমিটি তৈরি করে দেন তৎকালীন সুপ্রিম কোর্টের মুখ্য বিচারপতি জিবি পট্টনায়েক। তার বিরুদ্ধেই আদালতে আবেদন করেন ইন্দিরা জয়সিং।