পরিযায়ীদের চিহ্নিত করে বাড়ি পাঠানোর নির্দেশ রাজ্যগুলিকে! ১৫ দিনের আল্টিমেটাম দিল সুপ্রিমকোর্ট
পরিযায়ী শ্রমিকদের সমস্যায় চাপে রয়েছে কেন্দ্র ও রাজ্যগুলি। পরপর শ্রমিকদের মৃত্যুর খবর উঠে আসছে। আর তাই বিষয়টিতে হস্তক্ষেপ করে সুপ্রিমকোর্ট কেন্দ্র ও রাজ্যের সামনে বেশ কিছু কঠিন প্রশ্ন তুলে ধরে। এরই মাঝে এদিন এক রায়ের মাধ্যমে সমস্ত রাজ্যগুলিকে আদালত নির্দেশ দিয়ে জানায়, ১৫ দিনের মধ্যে সমস্ত শ্রমিকদের নিজ নিজ রাজ্যে ফেরত পাঠাতে হবে।
রাজ্যে ফেরাতে শ্রমিকদের থেকে ভাড়া নিতে পারবে না সরকার
এর আগে ২৮ মে এক নির্দেশ দিয়ে সুপ্রিমকোর্টের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়, নিজ নিজ রাজ্যে ফেরাতে শ্রমিকরা বাস বা ট্রেন যেই যানবাহনই ব্যবহার করুক, তাদের থেকে কোনও রকমের ভাড়া নিতে পারবে না কেউ। দায়িত্ব বর্তাবে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের উপর। পাশাপাশি বাকি সব শ্রমিকদের দ্রুত রেজিস্ট্রেশন শেষ করে তাদের রাজ্যে ফেরাতে নির্দেশ দিল সুপ্রিম কোর্ট।
পরিযায়ীদের বিরুদ্ধে মামলা প্রত্যাহারের নির্দেশ
কেন্দ্রের অনুমতি দেওয়ার পর শ্রমিক, পড়ুয়া ও অন্যান্যরা ট্রেন ও বাসে করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গিয়েছেন নিজের ঘরে৷ উত্তরপ্রদেশ, বিহার, পশ্চিমবঙ্গ, কেরল, মহারাষ্ট্র-সহ বিভিন্ন জায়গা থেকে নিজেদের বাড়িতে ফিরছেন তাঁরা। ফিরতে চাইছেন আপনজনদের কাছে। এরই মধ্যে বিভিন্ন রাজ্যে লকডাউন না মানায় পরিযায়ীদের উপর মামলা চলছে। সেই সব মামলা প্রত্যাহার করতে বলা হয়েছে আদালতের তরফে।
নিজ রাজ্যে ফিরতে গিয়ে পরিযায়ীদের মৃত্যু
ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের বাড়ি ফিরতে স্পেশাল ট্রেনের ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের তরফে। কিন্তু এই শ্রমিক স্পেশাল ট্রেনে সফর করার সময় সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন অনেকে। অনেকে ট্রেনে সফর করার সময় খিদে ও ধকলের জেরে মারাও গেছেন। আর এই বিষয়টি বর্তমানে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশ্যে আসছে।
২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণ
এদিকে সোমবার থেকে শিথিল করার অনুমতি মিলেছে চলমান লকডাউনের বিভিন্ন ক্ষেত্র। আর তার ঠিক ২৪ ঘণ্টার মধ্যে রেকর্ড সংখ্যক সংক্রমণের নজির গড়ে ভারত। একদিনে ৯,৯৮৭ জন কোভিড-১৯ আক্রান্ত হন এই দেশে।
দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২.৬৬ লক্ষ
এই নিয়ে সারা দেশে মোট সংক্রমণের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেল ২.৬৬ লক্ষ। এটিই সর্বাধিক একদিনে রেকর্ড লাফ সংক্রমণের, এবং এই নিয়ে টানা ৭ দিন নিজের রেকর্ড নিজেই ভেঙেছে করোনাভাইরাস। ভারতে আরোগ্যলাভের হার বর্তমানে ৪৮.৪৬ শতাংশ।
আশঙ্কা বাড়ছে ২৪টি রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে, সংক্রমণের হার ছাপিয়ে গেল জাতীয় গড়কেও