রাহুলের কথা শুনতে শুরু করেছেন দেশের মানুষ, সেনা-সাংসদের প্রশস্তিতে উদ্বেগে বিজেপি
কিছুদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দীর্ঘদিনের শরিক শিবসেনা। এখন আবার শিবসেনার সাংসদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ।
কিছুদিন আগেই বিজেপির সঙ্গে কেন্দ্রে সম্পর্ক ছিন্ন করেছে দীর্ঘদিনের শরিক শিবসেনা। এখন আবার শিবসেনার সাংসদ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর প্রশংসায় পঞ্চমুখ। তবে কি ২০১৯-এ দেশের রাজনৈতিক সমীকরণ অন্যদিকে মোড় নিতে চলেছে। কর্ণাটক ভোটের প্রাক্কালে শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউতের মুখে শোনা গেল রাহুল গান্ধীর প্রশস্তি। তারপর থেকেই জল্পনা শুরু হয়েছে বিজেপি বিরোধিতায় শরিক-বিদ্রোহ নিয়ে।
[আরও পড়ুন: কর্ণাটক ভোটে জিতবে কংগ্রেসই, দাবি বিজেপির দীর্ঘদিনের শরিক শিবসেনা সাংসদের ]
শিবসেনা সাংসদ সঞ্জয় রাউত মনে করেন, কর্ণাটকে রাহুল গান্ধীই শেষ হাসি হাসবেন। কর্ণাটকে জয়ী হবে কংগ্রেসই। সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও সর্ববহৎ দল হবে কংগ্রেস। ধুলো ঝড় থেমে গেলে দেখা যাবে কর্ণাটক রাহুল-ময় হয়ে গিয়েছে। শিবসেনা সাংসদের এভাবে রাহুল-বন্দনা শুধু কর্ণাটক ভোটেই নয়, ২০১৯-এর আগেও বিজেপির কাছে যথেষ্ট উদ্বেগের।
একদা বিজেপির শরিক শিবসেনা। এখনও মহারাষ্ট্র বিধান পরিষদে শিবসেনা-বিজেপি বোঝাপড়া রয়েছে। সেই দলেরই সাংসদ সঞ্জয় রাউত বলছেন, এ কথা আজ অনস্বীকার্য যে দেশজুড়ে মানুষ কংগ্রেস সভাপতি রাহুল গান্ধীর কথা শুনতে শুরু করেছেন। ফলে তার একটা প্রভাব তো পড়বেই। রাহুল গান্ধীর কাছে নরেন্দ্র মোদী পিছিয়ে পড়ছেন বলেও তিনি মনে করেন। তাই কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারে বিভিন্ন বিজেপি-শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী, কেন্দ্রীয় মন্ত্রীদের আনা হচ্ছে বলে তাঁর অভিমত।
সম্প্রতি বিজেপির বিরুদ্ধে বিষোদ্গার করে এনডিএ থেকে সরে দাঁড়িয়েছেম চন্দ্রবাবু নাইড়ুর তেলেগু দেশম পার্টি। দেশজুড়ে বিজেপি বিরোধী জোটের আবহ তৈরি হয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে ফেডেরাল ফ্রন্টের বাতাবরণের মাঝেই চলছে ইউপিএকে আরও শক্তিশালী করার প্রয়াস। এই পরিস্থিতিতে শিবসেনা সাংসদের রাহুল-প্রশস্তি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্যে পঞ্চায়েত! উন্নয়নের খতিয়ান নিয়ে কোন জেলায় কে, স্থির করে দিলেন মমতা স্বয়ং]