'মসিহা' থেকে এখন কয়েদি নং ১৯৯৭ বাবা রাম রহিম
কোনও ভিআইপি ব্যবস্থা নয়, ধর্ষণের অপরাধী রাম রহিম সিংকে আর পাঁচটা কয়েদির মতই রাখা হয়েছে রোহতকের সুনারিয়া জেলে, এমনই দাবি করেছে জেল কর্তৃপক্ষ।
কয়েদি নং ১৯৯৭। রোহতকের সুনারিয়া জেলে এটাই এখন গুরমিত রাম রহিমের নয়া পরিচয়। কোনও ভিআইপি ব্য়বস্থা নয়, ধর্ষণের অপরাধী রাম রহিম সিংকে আর পাঁচটা কয়েদির মতই রাখা হয়েছে রোহতকের সুনারিয়া জেলে। এমনই দাবি করেছে জেল কর্তৃপক্ষ। জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, জেলের নিয়ম মেনে মেঝেতেই বিছানা পেতে শুতে হচ্ছে ডেরা সাচ্চা সওদা প্রধানকে। বাইরে তাঁর ভক্তকুলের সংখ্যা যাই হোক না কেন, জেলের ভিতরে তিনি একজন আসামী ছাড়া অন্য কিছু নন। তাই তাঁকে কোনও শীততাপ নিয়ন্ত্রিত সেলও দেওয়া হয়নি।
[আরও পড়ুন:রাম রহিমের বিরুদ্ধে চলা তদন্ত ঘিরে বিস্ফোরক স্বীকারোক্তি সিবিআই আধিকারিকের]
সুনারিয়া জেল সূত্রে জানা গিয়েছে, রাম রহিমের সেলের সামনে ৪ জন প্রহরী মোতায়েন করা হয়েছে। সেলের ভেতরে তাঁর সঙ্গে রয়েছে আরও দুই বন্দি। প্রথম রাতটা অবশ্য তিনি না ঘুমিয়েই কাটিয়েছেন। হরিয়ানার ডিজিপি (কারা) কেপি সিং জানিয়েছেন, শুক্রবার রাতে রাম রহিম সিংকে জেলের রান্নাঘরে তৈরি ডাল ও রুটি দেওয়া হয়েছিল। তবে এক গ্লাস দুধ ছাড়া আর কিছু মুখে তোলেননি তিনি। হরিয়ানা সরকার অবশ্য আগেই ঘোষণা করে দিয়েছিল, রাম রহিম সিংকে কোনও বিশেষ সুবিধে দেওয়া হবে না।
এদিকে সোমবারই তাঁর সাজা ঘোষণা করবে সিবিআই বিশেষ আদালত। সাজা ঘোষণার পর নতুন করে পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কায় দুর্ভেদ্য দুর্গে পরিণত করা হয়েছে সুনারিয়া জেলকে। ২ কিমি বৃত্তাকারে ঘিরে ফেলা হয়েছে সুনারিয়া জেলকে। মোতায়েন করা হয়েছে সেনা, আধাসামরিক বাহিনী ও প্রচুর পুলিশ। এদিকে শুক্রবারই পরিস্থিতি সামলাতে না পারার জন্য মুখ পুড়েছে হরিয়ানার মনোহরলাল খট্টর সরকারের। ঘরে বাইরে সমালোচনার মুখে পড়েছে তাঁর প্রশাসন। এমনকী শুক্রবার রাজ্য সরকারের ভূমিকায় অসন্তুষ্ট খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীও। সোমবারও নতুন করে পরিস্থিতি অশান্ত হয়ে ওঠার আশঙ্কা রয়েছে। মান বাঁচাতে এবার কী তাহলে গোড়াতেই কঠোর ব্যবস্থা নেবে প্রশাসন। প্রশ্ন কিন্তু থেকেই যাচ্ছে।