বিহারে সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের দুর্ঘটনায় আতঙ্কের ঘোরে যাত্রীরা! রেল ঘোষণা করল ক্ষতিপূরণ
কিষাণগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠে ছিলেন ইমারতি দেবী। শনিবারের অভিশপ্ত রাতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও চোখের সামনে দেখেছএন রেল দুর্ঘটনার ভয়বহতা।
কিষাণগঞ্জ থেকে ট্রেনে উঠে ছিলেন ইমারতি দেবী। শনিবারের অভিশপ্ত রাতে তিনি প্রাণে বেঁচে গেলেও চোখের সামনে দেখেছএন রেল দুর্ঘটনার ভয়বহতা। ইমারতি দেবী জানান, রাতে খাওয়ার পর বাঙ্কে উঠে শোবার বন্দোবস্ত করছিলেন তিনি। আচমকাই একটি ভয়ঙ্কর শব্দে জেগে ওঠেন তিনি। ততক্ষণে কম্পনের জেরে তিনি পড়ে গিয়েছেন। চরিদিকে শুনতে পাচ্ছেন চিৎকার, হাহাকার.. । এরপর বুঝতে পারেন দুর্ঘটনার কবলে পড়েছে তাঁদের ট্রেন সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস।
বিহারের শাহাদাই বুজার্গ এলাকায় এই দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭ জনে। প্রাথমিকভাবে জানা গিয়েছিল , ঘটনায় মৃত্যু হয়েছে ৬ জনের। তারপর বেড়ে যার মৃতের সংখ্যা। বাড়তে থাকে আহতের সংখ্যাও। শেষ পাওয়া খবরে আহতের সংখ্যা পৌঁছেছে ২৯ জনে। জখমদের মধ্য়ে বহুজনের অবস্থাই আশঙ্কাজনক। রেলের তরফে একটি হেলপ লাইনও খোলা হয়েছে। তার নম্বর হল সোনপুর- ০৬১৫৮২২ ১৬৪৫, হাজিপুর- ০৬২২৪২৭২২৩০, বারাউনি- ০৬২৭৯২৩২২২। রেলের প্রাথমিক তদন্ত রিপোর্টে জানা গিয়েছে লাইনের ফাটলেই এই দুর্ঘটনা। রবিবার সকালেই এই প্রাথমিক তদন্তের খবর নিশ্চিত করেন রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক রাজেশ কুমার। তিনি জানিয়েছেন সিএমএস ক্রসিং-এ লাইনে ফাটল পাওয়া গিয়েছে।
[আরও পড়ুন:সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস দুর্ঘটনায় ৭ জনের মৃত্যু, রেলের তরফে ক্ষতিপূরণের ঘোষণা ]
জানা যায়, লাইনচ্যূত হওয়া সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ১১টি কামরার মধ্যে তিনটি জলে ডুবে রয়েছে। যেখানে দুর্ঘটনা ঘটেছে ঠিক তার পাশেই রয়েছে খাল। জানা গিয়েছে এই খালের মধ্যে তিনটি কামরা ছিটকে গিয়ে পড়ে। এই কামরার যাত্রীরা এই মুহূর্তে কে কোন অবস্থায় রয়েছেন তারা জানা যাচ্ছে না। এই তিনটি ডুবে যাওয়া কামরাই স্লিপার ক্লাসের বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যেই মৃতদের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকার ক্ষতিপূরণ ও আহতেদর ৫০ হাজার টাকা ক্ষতিপূরণের ঘোষণা করে রেলমন্ত্রক। ঘটনায় শোকপ্রকাশ করেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার।
[আরও পড়ুন: লাইনচ্যূত সীমাঞ্চল এক্সপ্রেসের ৩টি কামরা জলে ডুবে, বহু যাত্রীর ভয়াবহ পরিণতির আশঙ্কা ]
[আরও পড়ুন:রেল লাইনে ফাঁটলেই লাইনচ্যূত সীমাঞ্চল এক্সপ্রেস, জানাল রেল, ক্ষতিপূরণ ঘোষণা ]