ঘুষ দেওয়া-নেওয়ায় যৌন সম্পর্ক করলে জেল হতে পারে ৭ বছর
ঘুষ হিসাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে নতুন দুর্নীতি বিরোধী আইনে জেল হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত।
ঘুষ হিসাবে যৌন সম্পর্ক স্থাপনের প্রস্তাব দিলে নতুন দুর্নীতি বিরোধী আইনে জেল হতে পারে সাত বছর পর্যন্ত। ঘুষ দেওয়া-নেওয়ায় দুই ক্ষেত্রেই এই আইন লাগু করা হয়েছে। শনিবার সরকারি সূত্রে একথা জানা গিয়েছে।
প্রিভেনশন অব কোরাপশন অ্যাক্ট ২০১৮ মোতাবেক অবৈধ উপায়ে সুবিধা নিতে চাইলে বা দিলে, দুই ক্ষেত্রেই শাস্তিযোগ্য অপরাধের ধারা রাখা হয়েছে। যার অর্থ আইনি উপায়ে কারও কোনও কিছু প্রাপ্য হলে তাতে বেআইনি কিছু নেই। তবে ঘুষের ক্ষেত্রে এবার কড়া নিয়ম লাগু করা হয়েছে। এর মধ্যে দামী ক্লাব মেম্বারশিপ ও নানা ধরনের সেবাকেও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
নতুন সংশোধনীতে স্পষ্ট বলা হয়েছে, ঘুষ মানেই তা সবসময় অর্থের সঙ্গে সম্পর্কিত হবে তার কোনও মানে নেই। গত জুলাইয়েই আইন তৈরি হয়ে গিয়েছিল। রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দের ছাড়পত্রও চলে এসেছে।
১৯৮৮ সালের আইনে ২০১৮ সালে সংশোধনী আনা হয়েছে। সরকারি কর্মীরা এর আওতায় রয়েছেন। আইন মোতাবেক ঘুষের বদলে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করতে চাইলে, দামী ক্লাবের মেম্বারশিপ পেলে বা অন্য কোনও সেবা যেমন বন্ধু বা আত্মীয়ের চাকরির ব্যবস্থা, ইত্যাদিকেও ঘুষের আওতায় এনে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে বিবেচনা করা হয়েছে। সর্বোচ্চ শাস্তি ৭ বছর পর্যন্ত হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
পাঁচ বছর আগে ২০১৩ সালে কেন্দ্র সরকার বেসরকারি ক্ষেত্রে কর্মীদের ঘুষ মামলায় সাজা দিতে আইন করে। আগে ঘুষ দিলে সাজা হতো না। তবে নতুন আইনে সেই সংস্থান যুক্ত করা হয়েছে। নতুন আইনের ফলে সব ধরনের অবৈধ লেনদেনকে আতসকাঁচের তলায় আনা সম্ভব হবে বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন। কোনও রকম অস্পষ্টতা না রেখেই শাস্তির বিষয়টি নির্দিষ্ট করা হয়েছে। ফলে এতে সামগ্রিকভাবে ইতিবাচক প্রভাব পড়বে বলেও বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন।