সোশ্যাল মাধ্যমে ভাইরাল মোরাবি ব্রিজ দুর্ঘটনার শেষ মিনিটের ভিডিও, কী ঘটেছিল ? দেখে নিন
গুজরাতের মোরবিতে ঘটে ব্রিজ দুর্ঘটনা। মারা যান প্রায় ১৩২ জন। সেই ব্রিজ দুর্ঘটনার যে শেষ মিনিটের ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে যা চমকে যাবেন। পবন নারা এই ভিডিও শেয়ার করেছেন। তিনি লিখেছেন মারবি ব্রিজের দুর্ঘটনা ঘটার আগের সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মাধ্যমে। ব্রিজটি এমন ভাবে কাঁপছিল যে মনে হচ্ছিল ব্রিজটি যে কোনও মুহূর্তে ভেঙে পড়তে পারে। ঠিক সেটাই হয় কাঁপতে কাঁপতে তা ভেঙে পড়ে জলে।
मोरबी में पुल टूटने की की घटना से पहले का CCTV .इस हादसे में 140 लोगों की मौत हो चुकी है । pic.twitter.com/dpLixPqDma
— Pawan Nara (@pawan_nara) October 31, 2022
ওই ব্রিজে দেখা যাচ্ছে যে বহু মানুষ তখন দাঁড়িয়েছিলেন। তারা ভাবেননি যে এই মুহূর্তই তাঁদের জীবনের শেষ মুহূর্ত হয়ে যাবে। অনেকেই আবার সেলফি তুলছিলেন। সবাই বেশ আনন্দেই ছিলেন যা খুব স্বাভাবিক। আর তার পর মুহূর্তেই ঘটে দুর্ঘটনা। মারা যান একসঙ্গে প্রচুর সংখ্যক মানুষ
গুজরাতের অন্যতম ট্যুরিস্ট স্পট
মরবি
সাসপেনশোন
ব্রিজ
গুজরাতের
অন্যতম
ট্যুরিস্ট
স্পট।
এখানে
প্রচুর
মানুষ
প্রতিদিন
ঘুরতে
আসেন।
তবে
ব্রিজটি
বহু
পুরনো।
প্রায়
১৪০
বছরের।
ব্রিজটি
তৈরি
হয়েছিল
ওয়াঘজি
ঠাকোরের
রাজত্বের
সময়।
তিনি
১৮৭৯
থেকে
১৯৪৮
সাল
পর্যন্ত
এক
লম্বা
সময়ে
রাজত্ব
করেন।
এটি
তৈরি
হয়েছিল
তৎকালীন
শ্রেষ্ঠ
নির্মাণের
বস্তু
নিয়ে।
এটই
১.২৫
মিটার
চওড়া,
২৩৩
মিটার
লম্বা।
এটি
তৈরি
হয়েছিল
ব্রিটিশ
নির্মাণের
আধারে।
দরবারগড়
প্যালেস
ও
নজরবাগ
প্যালেসকে
সংযুক্ত
করত
এই
ব্রিজ।
সেটিই
গেল
ভেঙে।
সেতু দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্ত
গুজরাতের মরবিতে সেতু দুর্ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে উঠে আসছে একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য। জানা গিয়েছে সেফটি অডিট না করেই সাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছিল ব্রিজ। ইতিমধ্যেই ১৩২ জন মারা গিয়েছে। উদ্ধারকাজে সেনা নামানো হয়েছে। মৃতদের পরিবারের প্রতি শোক প্রকাশ করেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। আজ গুজরাতে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ব়্যালি বাতিল করা হয়েছে।
ব্রিজে সেদিন ৪০০ জন ছিলেন
কেবল ব্রিজে সেদিন ৪০০ জন ছিলেন বলে জানা গিয়েছে। এখনও চলছে উদ্ধারকাজ। সেনাবাহিনী-নৌসেনা উদ্ধার কাজ চালাচ্ছে। তার সঙ্গে হাত লাগিয়েছে জাতীয় বিপর্যয় মোকাবিলা বাহিনী। এনডিআরএফের ৫টি দল কাজ করছে। এখনও পর্যন্ত ২ জন নিখোঁজ বলে খবর। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।
অতিরিক্ত ভার
গত
৬
মাস
ধরে
ব্রিজটি
মেরামত
করা
হয়েছিল।
গত
৫
দিন
আগেই
সাধারণের
জন্য
খুলে
দেওয়া
হয়েছিল
ব্রিজটি।
কিন্তু
ছট
পুজোর
রাতে
হঠাৎ
করে
ব্রিজটি
ভেঙে
পড়ে।
সেসময়
ব্রিজে
৪০০
জন
লোক
ছিলেন
বলে
জানা
গিয়েছে।
অতিরিক্ত
ভারের
কারণেই
এই
দুর্ঘটনা
বলে
প্রাথমিক
অনুমান।
গত দুই দশকে বিশ্ব জুড়ে ঘটেছে বহু ব্রিজ বিপর্যয়, দেখে নিন সেই ঘটনাগুলি