আসছে ৫০ হাজার কৃষকের বিশাল মিছিল, রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলল দিল্লি পুলিশ
আসছে ৫০ হাজার কৃষকের বিশাল মিছিল, রাজধানীকে নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলল দিল্লি পুলিশ
করোনা সংক্রমণের বাড়বাড়ন্তের জেরে গত কয়েকমাস আন্দোলনের ঝাঁজ খানিক কমলেও ফের কোমড় বেঁধে নেমেছেন প্রতিবাদী কৃষকরা। এমনকী আন্দোলনের গতিপ্রকৃতি ঠিক করতে ইতিমধ্যেই বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক সেরেছেন কৃষক নেতা রাকেশ টিকাইত। এদিকে এমতাবস্থায় দিল্লি পুলিশের কাছে খবর আসে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি কৃষক ঢুকতে পারে দিল্লি সীমান্ত দিয়ে।
নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ
এই খবর পাওয়ার পরেই নড়েচড়ে বসে দিল্লি পুলিশ। বাড়ানো হয় নিরাপত্তা। এমনকী বৃহঃষ্পতিবার উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা থেকে দিল্লিতে আসার সমস্ত বড় রাস্তাতেই পুলিশি প্রহরা বাড়ানো হয়েছে। এদিকে গোয়ান্দা সূত্রে খবর, ওই রাস্তাতেই মিছিল করে রাজধানীতে আসতে পারেন প্রতিবাদী কৃষকেরা। যদিও কৃষক সংগঠনগুলির তরফে স্পষ্ট ভাষায় জানানো হয়েছে। আপাতত তাদের এরকম কোনও পরিকল্পনাই নেই।
নভেম্বরের শেষার্ধ থেকেই চলছে বিক্ষোভ
এদিকে এদিকে গত বছরের নভেম্বরের শেষার্ধ থেকে তিন কৃষি আইনের বিরুদ্ধে বিক্ষোভ প্রদর্শন করে চলেছেন পাঞ্জাব, উত্তরপ্রদেশের কৃষকরা। এমনকী নয় কৃষি আইন বাতিলের দাবি শুরু থেকেই সরব ছিলেন হরিয়ানা, দিল্লির কৃষকেরা। একটানা বিক্ষোভ চলছে টিকরি, সিঙ্ঘু, গাজীপুর সীমান্তে। বিক্ষোভের আঁচ ছড়িয়েছে দেশের প্রায় প্রতিটি প্রান্তে। এমনকী গতকালই কৃষকদের পাশে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সুর চড়াতে দেখা যায় কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীকে।
নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টা নজরদারি
এদিকে গোয়েন্দা সূত্রে খবর, কৃষক নেতারা তাঁদের অনুগামীদের সিংঘু সীমান্তের কাছে পানিপথ টোল প্লাজার কাছে জমায়েতের নির্দেশ দিয়েছেন। ওই রাস্তাতেই দিল্লিতে মিছিল করে ঢোকার চেষ্টা হতে পারে। এমনকী কৃষক সংগঠনগুলি পোস্টার একেঁও দিল্লির চলোর ডাক দিয়েছে বলে দিল্লি পুলিশের দাবি। এমতবস্থায় দিল্লি ঢোকার নির্দিষ্ট কয়েকটি পয়েন্টে ২৪ ঘণ্টা প্রহরার ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে জানাচ্ছে দিল্লি পুলিশ।
বিক্ষোভে সামিল দেশের বড় অংশের কৃষক সমাজ
এদিকে গত সেপ্টেম্বরে তিন কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই বিক্ষোভে সামিল হয়েছেন দেশের একটা বড় অংশের কৃষক সমাজ। কৃষকদের দাবি এই নতুন বিলের হাত ধরে এমএসপি ও সরকারি মান্ডি অবলুপ্তির চেষ্টা করছে সরকার। যার ফলে অচিরে কালোবাজারি বাড়ার সাথে সাথে একাধিক পণ্যে কৃষকেরা যে নূন্যতম সহায়ক মূল্যও পাবেন না তা বলাই বাহুল্য। হাত শক্ত হবে পুঁজিপতিদের।