অযোধ্যা মামলার রায় ঘোষণার আগে বাড়তি নিরাপত্তা পাঁচ বিচারপতিকে
বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যা মামলার রায় আজ। শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এই মামলার রায়দান সুপ্রিম কোর্টে। এই রায় ঘোষণার আগে বাড়ানো হল পাঁচ বিচারপতির নরাপত্তা ব্যবস্থা।
বহু প্রতীক্ষিত অযোধ্যা মামলার রায় আজ। শনিবার সকাল ১০টা ৩০ মিনিটে এই মামলার রায়দান সুপ্রিম কোর্টে। রায় শোনাবেন প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈয়ের নেতৃত্বাধীন পাঁচ বিচারপতির বেঞ্চ। এই রায় ঘোষণার আগে বাড়ানো হল পাঁচ বিচারপতির নরাপত্তা ব্যবস্থা। এর মধ্যে প্রধান বিচারপতিকে দেওয়া হচ্ছে জেড প্লাস ক্যাটাগরির নিরাপত্তা।
প্রধান বিচারপতি রঞ্জন গগৈ ছাড়াও এই মামলার বিচারের দায়িত্বে ছিলেন বিচারপতি এস এ বোবদে, বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি অশোক ভূষণ ও বিচারপতি এস আবদুল নাজির। এদেরকেও বাড়তি নিরাপত্তা দেওয়া হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
দীর্ঘ ৪০ দিনের টানা শুনানির পর ১৬ অক্টোবর অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ হয়। এরপর ৪০ দিন স্থগিত রাখা হয়েছিল রায়দান। অযোধ্যা মামলার রায়ের দিন যত এগিয়ে আসছিল তত বেড়েছে এই মামলা ঘিরে উত্তেজনা।
অযোধ্যায় অবস্থিত বাবরি মসজিদটি ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ভেঙেছিল করসেবকরা। সেই মসজিদের জমি সহ মোট ২.৭৭ একর জমি নির্মোহী আখড়া, সুন্নি সেন্ট্রাল ওয়াকফ বোর্ড, উত্তরপ্রদেশ ও রামলালা বিরাজমানের মধ্যে ভাগ করে দেওয়ার কথা বলা হয়েছিল এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ে। সেই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তিন পক্ষই। মধ্যস্থতা করার চেষ্টাও করা হলেও তা বিফল হয়। তারপরেই শুরু হয় ম্যারাথন শুনানি। সেই শুনানির প্রেক্ষিতেই আজ শনিবার রায় শোনাবেন এই পাঁচ বিচারপতি।
অযোধ্যা মামলার রায় নিয়ে যাতে কোনও অশান্তির পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয় তার জন্য আগেই গাজিয়াবাদে ১৪৪ ধারা জারি করে দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া অযোধ্যা, মথুরা, বারাণসী সহ উত্তরপ্রদেশের বেশ কিছু শহরে কড়া সতর্কতা জারি করা হয়েছে। অযোধ্যা, বারাণসী ও মথুরার মতো গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় স্থানের নিরাপত্তা বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। অযোধ্যা রায়কে মাথায় রেখে পুলিশ-প্রশাসনের ছুটি বাতিল করা হয়েছে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত। গোটা রাজ্য জুড়ে আঁটোসাটো নিরাপত্তা ব্যবস্থার বন্দোবস্ত করা হয়েছে। প্রয়োজনে রাজ্যজুড়ে এনএসএ (ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট) লাগু করা হবে বলে জানিয়ে দিয়েছেন উত্তরপ্রদেশের ডিজিপি ওপি সিং।