ফের জঙ্গি নিশানায় মুম্বইয়ে তাজ হোটেল! করাচি হামলার 'বদলা' নিতে বড়সড় নাশকতার ছক
মুম্বইয়ের তাজ হোটেল উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি। সোমবার করাচি থেকে তাজ হোটেলে একটি হুমকি ফোন আসে। হোটেল বোমা মেরে উড়িয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হয়। এরপরই কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে তাজ হোটেল ও তার পার্শ্ববর্তী এলাকা। করোনাতে এমনিতেই জর্জরিত মুম্বই। এহেন পরিস্থিতিতে এই হুমকি বেশ নাড়িয়ে দিয়েছে গোটা শহরকে।
হুমকি দিয়ে কী বলা হয়?
জানা গিয়েছে সোমবার রাত ১২টা নাদাগ করাচি থেকে একটি ফোন আসে হোটেল তাজে। যে ফোনটা করে সে হুমকি দিয়ে বলে, 'করাচি স্টক এক্সচেঞ্জের হামলার ঘটনা সবাই দেখেছে। এবার ২৬/১১-র তাজের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হবে।'
করাচিতে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা
সোমবার করাচিতে পাকিস্তান স্টক এক্সচেঞ্জে হামলা চালায় একদল দুষ্কৃতী। পরে বালোচ লিবারেশন আর্মি সেই হামলার দায় স্বীকার করে। জানা গিয়েছে ঘটনায় মোট ১১ জন মারা গিয়েছে। পাকিস্তানের স্টক এক্সচেঞ্জ বিল্ডিংটি একটি হাই সিকিউরিটি জোনের অন্তর্গত। স্টক এক্সচেঞ্জ ছাড়াও সেই বিল্ডিংয়ে আরও অনেক প্রাইভেট ব্যাঙ্কের হেডকোয়ার্টার রয়েছে। সেখানে এরম হামলা কী করে কেউ করল তা ঠাওর করতে পারছে না পাক কর্তৃপক্ষ।
জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তা
এদিকে এর আগে থেকেই জঙ্গি অনুপ্রবেশ নিয়ে চিন্তার রেখা কেন্দ্রের কপালে। লাদাখে ভারত-চিন সীমান্তে উত্তেজনা এখন চরমে। পরিস্থিতি এতটাই গম্ভীর যে সাখানে এয়ার ডিফেন্স মিসাইল সিস্টেম বসানে হয়োছে লাদাখে। এহেন পরিস্থিতিতে ভারতের নজর যখ পূর্ব দিকে, তখন পশ্চিমে কাশ্মীর সীমান্তে তৎপরতা বাড়িয়েছে পাক মদতপুষ্ট জঙ্গিরা। জানা গিয়েছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই-এর মদতেই এই কার্যকলাপ বেড়েছে।
দিল্লি, কাশ্মীর জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট
দিল্লি বা কাশ্মীরে বড়সড় নাশকতার ছক কষা হচ্ছে বলে জানিয়েছে এনআইএ। আর এর জেরে দিল্লি, কাশ্মীর সহ বিহারে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট। জানা গিয়েছে কাশ্মীর সীমান্ত দিয়ে ২০ জন জঙ্গি ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা চালাচ্ছে। আর তাদের সাহায্য করতেই বারংবার সংঘর্ষবিরতি চুক্তি লঙ্ঘন করছে পাক সেনা।
নেপাল সীমান্তে কড়া নজরদারি
এদিকে কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণরেখায় অনুপ্রবেশের চেষ্টা যদি অসফল হয়, তবে দ্বিতীয় রাস্তাও খোলা রাখছে আইএসআই। জানা গিয়েছে নেপাল সীমান্ত দিয়ে রাজ্যে ঢুকতে পারে তালিবান ও জইশ-ই-মহম্মদের জঙ্গি৷ পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই নেপাল সীমান্ত দিয়ে বিহারে ৫ থেকে ৬ জন তালিবান ও জইশ জঙ্গি পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে৷ তারা পাকিস্তান সেনার থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত৷
২০০৮ সালের বিভীষিকা
প্রসঙ্গত, এর আগে ২০০৮ সালে তাজে জঙ্গি হামলা হয়েছে। সেই ঘটনায় মারা গেছিলেন ১৬৬ জন ও ৩০০-র বেশি মানুষ জখম হয়েছিলেন। তাজ হোটেল ছাড়াও ছত্রপতি শিবাজি রেলওয়ে টার্মিনাস , ট্রাইডেন্ট হোটেলে জঙ্গি হামলা হয়েছিল। ঘটনায় জঙ্গি আজমল কাসবকে জীবিত অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়েছিল। ২০১২ সালের ২১ সেপ্টেম্বর পুনের ইয়েরওয়াড়া জেলে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়।
ভারতে নিষিদ্ধ হতেই চিনা সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরির চেষ্টা টিকটক-এর