ট্রাক আটকাতেই গুলিবর্ষণ! বড়সড় জঙ্গিহানার ছক বানচাল, এনকাউন্টারে খতম সন্ত্রাসীরা
ট্রাক আটকাতেই গুলিবর্ষণ! বড়সড় জঙ্গিহানার ছক বানচাল, এনকাউন্টারে খতম সন্ত্রাসীরা
নিরাপত্তা বাহিনী ট্রাক আটকাতেই গুলিবর্ষণ শুরু করেছিল জঙ্গিরা। সঙ্গে সঙ্গেই কাউন্টার অ্যাটাক। নিরাপত্তা বাহিনী প্রতিরোধে পিছু হটতে বাধ্য হয় জঙ্গিরা। বড়সড় জঙ্গিহানার ছক বানচাল করে এনকাউন্টারে সন্ত্রাসীদের খতম করে দিলেন ভারতের নিরাপত্তা বাহিনী। নতুন বছরের আগে বুধবার জম্মু-কাশ্মীরে বড়সড় সাফল্য পেল ভারত।
পুলিশ জানিয়েছে, বুধবার সকালে ট্রাকে চড়ে জম্মু থেকে শ্রীনগর যাচ্ছিল চার জঙ্গি। সিধরা এলাকায় হাইওয়ের উপর নিরাপত্তা বাহিনী ট্রাক আটকাতেই জঙ্গিরা গুলি বর্ষণ করতে শুরু করে। পাল্টা জবাব দেয় নিরাপত্তা বাহিনী। শুরু হয়ে যায় গুলির লড়াই। খানিকক্ষণ গুলির লড়াই চলার পর জঙ্গিদের প্রতিরোধ থেমে যায়।
শেষমেশ জওয়ানদের গুলিতে মৃত্যু হয় চার জঙ্গির। পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, গুলির লড়াই চলাকালীন জঙ্গিদের ট্রাকে আগুন লেগে যায়। জঙ্গিদের ধরাশায়ী করার পর আগুন নেভানোর জন্য জমকলের ইঞ্জিন আনা হয়। জম্মুর এডিজিপি মুকেশ সিং জঙ্গি নিকেশের ঘটনার কথা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, জম্মুর সিধরা এলাকার একটি ট্রাকের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করা যাচ্ছিল। চেক পোস্টের কাছে ট্রাকটিকে থামায় পুলিশ। সেই সময় লুকিয়ে থাকা জঙ্গিরা নিরাপত্তারক্ষীদের লক্ষ্য করে গুলি চালায়। নিরাপত্তা বাহিনীও পাল্টা গুলির লড়াইয়ে নেমে চার জঙ্গিকে নিকেশ করে।
চার জঙ্গিকে নিকেশ করা সম্ভব হলেও পালিয়ে যায় ট্রাক ড্রাইভার। জ্বলন্ত ট্রাক থেকে প্রচুর পরিমাণ আগ্নেয়াস্চত্র ও গোলা-বারুদ উদ্ধার হয়েছে। এডিজিপি জানান ৭টি একে-৪৭ রাইফেল, একটি এম-৪ কার্বাইন, তিনটি পিস্তল ও অন্যান্য অনেক আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়েছে।
এখানে উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগে বিশাল পরিমা আগ্নেয়ান্ত্র ও গোলাবরুদ উদ্ধার হয়। ওই এলাকায় যুদ্ধকালীন তৎপরতায় মজুত রাখা হয়েছিল ওই বিপুল পরিমাণ অস্ত্রশস্ত্র। তার মধ্যে ছিল একে-৪৭ রাইফেল, পাকিস্তানে তৈরি হ্যান্ড গ্রেনেড ও বেলুন। তাতে লেখা ছিল আই লাভ পাকিস্তান। তারপর জম্মু-কাশ্মীরের বারমুল্লা জেলার উরি সেক্টরে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখা বরাবর ওই আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার হয়।
পাকিস্তানের দিক থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ হয়েই চলেছে জম্মু-কাশ্মীরে। যুদ্ধের জন্য প্রয়োজনীয় আগ্নেয়াস্ত্র, গোলা-বারুদ নিয়ে তাঁরা হানা দিচ্ছে। সেনার ১৯ ইনফ্যান্ট্রি ডিভিশনের মোজর জেনারেল অজয় চন্দপুরিয়া বলেন, বিভিন্ন এজেন্সির তরফে গত দুই সপ্তাহ ধরে তাঁরা জানতে পারেন জঙ্গি হামলা হতে পারে। সে জন্য আমরা সতর্ক ছিলাম। তৈরি হয়েই আমরা সন্দেহজনক ট্রাকটিকে আটকাই আমরা।