দিল্লি জুড়ে ১৪৪ ধারা, প্রতিবাদী কৃষকদের উপর নজরদারি চালাতে ব্যবহৃত হবে ড্রোন
কৃষি আইনের বিরোধিতায় আজ দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। সকাল থেকেই দেশে বনধ পালন শুরু হয়েছে। সারাদিন ধরেই শান্তিপূর্ণভাবে বনধ পালন করা হবে বলে জানিয়েছে কৃষক সংগঠনগুলি। কেন্দ্রের কৃষি আইন পাশ হওয়ার পর থেকেই এই আইনের বিরোধিতায় কৃষকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেছিল। এরপর আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দিল্লি চলো অভিযানে ডাক দেয় কৃষক সংগঠনগুলি।
আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার ব্যবস্থা
এই কৃষি আন্দোলনকে কেন্দ্র করে কড়া নিরাপত্তার চাদরে মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লি সহ উত্তর ভারতের একাধিক রাজ্য। দিল্লিতে অন্ততপক্ষে ৪০০০ ট্রাফিক পুলিশ ছাড়াও কয়েক হাজার পুলিশকর্মী মোতায়েন করার হয়েছে। বিক্ষোভকারীদের নজরে রাখতে ড্রোনের ব্যবহার করা হবে বলেও জানা গিয়েছে। এছাড়া দিল্লি পুলিশের তরফে ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে।
সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হোক তা চান না কৃষকরা
কৃষকদের তরফে জানানো হয়েছে, দেশজুড়ে তাঁরা যে বনধ ডেকেছেন, তার আসল উদ্দেশ্য কৃষি আইনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানানো৷ তবে, এর জন্য সাধারণ মানুষের কোনও ক্ষতি হোক তা তাঁরা চান না৷ যাতে সাধারণ মানুষ সময়ে অফিস-কাছারিতে পৌঁছাতে পারেন তার জন্য় এগারোটার পর থেকে শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে নামবেন কৃষকরা৷ এদিকে বিভিন্ন দল তাঁদের বনধকে সমর্থন জানালেও, কৃষকরা এবিষয়ে কোনও রাজনৈতিক দলের হস্তক্ষেপ চাইছেন না।
১৩ দিন ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন কৃষকরা
আজ ১৩ দিন ধরে দিল্লি-হরিয়ানা সীমান্তে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে তারা। এর মাঝে কেন্দ্রের সঙ্গে বেশ কয়েকবার বৈঠকে বসলেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি। এরপর আজ তারা আইন প্রত্যাহারের দাবিতে দেশজুড়ে বনধের ডাক দিয়েছে। তাদের এই বনধকে সমর্থন জানিয়েছে ১১টি রাজনৈতিক দল। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও কৃষকদের বনধকে নৈতিক সমর্থন জানিয়েছেন।
দিল্লিতে খাদ্য সামগ্রী সরবরাহ ব্যহত
এদিকে এশিয়ার বৃহত্তর পাইকারি বাজার আজাদপুর মান্ডির চেয়ারম্য়ান জানিয়েছেন, কৃষকদের বনধের কারণে দিল্লিতে সবজি, ফলের জোগানে ঘাটতি দেখা দেবে৷ তবে শুধু দিল্লি নয়, মহারাষ্ট্রের ভাসি শস্য় মান্ডিও মঙ্গলবার বন্ধ রাখা হবে বলে জানানো হয়েছে৷ অন্য়দিকে, কৃষক সংগঠনগুলি দিল্লিতে জাতীয় সড়ক অবরোধ করবে বলে জানিয়েছে৷ তারা রাজধানীতে প্রবেশের পথে পড়া টোলপ্লাজাগুলিতে অবরোধ করবে।
বনধ থেকে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হবে
তবে আন্দোলনকারী কৃষকনেতারা জানিয়েছেন, বনধ থেকে জরুরি পরিষেবাকে ছাড় দেওয়া হবে। আন্দোলনকারী কৃষকদের বলে দেওয়া হয়েছে কাউকে যেন জোরজবরদস্তি না করা হয়। মানুষের স্বতঃস্ফূর্ততার উপর ভরসা রাখুন। এদিকে আজ আন্দোলনকারীদের সঙ্গে সিঙ্ঘু সীমানায় দেখা করেন অল ইন্ডিয়া রেলওয়ে মেনস ফেডারেশনের জেনেরাল সেক্রটারি শিবগোপাল মিশ্রা। তিনি ভারত বনধের পূর্ণ সমর্থন জানান।