বাজেট ২০২০ : কর আদায়ে ২ লক্ষ কোটি ঘাটতি, ব্যক্তিগত করে ছাড়ের সম্ভাবনা ক্ষীণ
মধ্যবিত্তদের চাপ কমাতে আয়কর ও ব্যক্তিগত করের উপর ছাড় দেওয়ার একটি সম্ভাবনা দেখি দিয়েছিল ২০২০-২১ অর্থবর্ষের বাজেটে। তবে বর্তমান পরিস্থিতিতে কর আদায়ের ঘাটতির বিষয়টি সামনে রেখে সেই ছাড় দেওার বিষয়টি কার্যকর হবে না বলে মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। তাদের মতে চলতি অর্থবর্ষে কর আদায়ের ক্ষেত্রে প্রায় ২ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি দেখবে কেন্দ্র। সেই ক্ষেত্রে অর্থমন্ত্রীর কাছে আয়করে ছাড় দেওয়া সম্ভব হবে না।
লক্ষ্যমাত্রা থেকে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কম ঢুকবে
এর আগে ২০১৯-২০ অর্থবর্ষে কেন্দ্রের পকেটে লক্ষ্যমাত্রা থেকে আড়াই লক্ষ কোটি টাকা কম ঢুকতে পারে বলে আশঙ্কাবাণী শুনিয়েছিলেন প্রাক্তন অর্থ সচিব সুভাষ চন্দ্র গর্গ। এই পরিমাণটি দেশের জিডিপির মোট ১.২ শতাংশ। এছাড়া সব মিলিয়ে মোট প্রায় ৩.৫ থেকে ৩.৭৫ লক্ষ কোটি টাকার ঘাটতি দেখা যেতে পারে কর আদায়ের ক্ষেত্রে।
কেন্দ্রের আশঙ্কা
গত বাজেটের পূর্বাভাস থেকে কম কর আদায় করা আশঙ্কা করছে কেন্দ্রীয় সরকার নিজেও। এই বিষয়ে গত জুন মাসেই ১৫তম অর্থনৈতিক কমিশনকে জানিয়ে দিয়েছিল কেন্দ্র। এর জেরে সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করছে যে আগামী পাঁচ বছরে কর আদায়ের যেই লক্ষ্য কেন্দ্র স্থির করেছিল তা পূরণ করতে ব্যর্থ হবে কেন্দ্র। এই কারণেই সরকার আয়করে ছাড় দিলে কর আদায়ের ক্ষেত্রে তা তাদেরকেই চাপে ফেলবে।
কর আদায়ের পূর্বাভাস থেকে দূরে
২০১৯-২০ অর্থবর্ষের ক্ষেত্রে কেন্দ্রের কর আদায়ের পূর্বাভাস ছিল ২৫.৫২ লক্ষ কোটি টাকা। কিন্তু অর্থবর্ষের প্রায় তিন ভাগ পার করার পর এখন কেন্দ্রের অনুমান যে এই বছরে কর আদায়ের পরিমাণ নির্ধারিত অর্থের অনেক কম হবে। সরকার জানাচ্ছে এই বছর লক্ষ্যমাত্রা থেকে অনেকটাই পিছিয়ে মাত্র ২৩.৬১ লক্ষ কোটি টাকা আদায় করতে সক্ষম হবে সরকার। তবে সুভাষ চন্দ্র গর্গ সরকারের এই পরিমাণ থেকেও কম কর আদায় করা যাবে।
এই রেষ থাকবে পরবর্তী অর্থবর্ষগুলিতেও
পরবর্তী অর্থবর্ষগুলিতেও এই কর আদায়ের পরিমাণ আরও নামবে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করেছে কেন্দ্র। ২০২০-২১ অর্থবর্ষে নির্ধআরিত পরিমণের থেকে ২.১৬ লক্ষ কোটি টাকা কম কর আদায় হবে বলে সরকার আশঙ্কা প্রকাশ করেছে। ২০২৪-২৫ অর্থবর্ষে গিয়ে সেই ঘাটতি ৩.৭০ লক্ষ কোটি টাকার পরিমাণ ছোঁবে। এর জেরে আগামী পাঁচ বছরে নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা থেকে মোট ১৫ লক্ষ কোটি টাকা কম আদায় হবে।