করোনার প্রজাতি ভেদে শরীরে ভিন্ন মানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার খোঁজ বিজ্ঞানীদের, চলছে গবেষণা
করোনার প্রজাতি ভেদে শরীরে ভিন্ন মানের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতার খোঁজ বিজ্ঞানীদের, চলছে গবেষণা
সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এল করোনা ভাইরাসের ভিন্ন ভিন্ন প্রকারভেদ অনুযায়ী শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার কথা। এই গবেষণার ভবিষ্যতে করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ের জন্য প্রতিষেধকের প্রয়োজন অনুসারে আণবিক বদল ঘটাতে সহায়তা করবে বলে জানিয়েছেন গবেষকরা। করোনার বিরুদ্ধে শুধুমাত্র 'হালকা' ও 'তীব্র' ছাড়াও আরও প্রায় পাঁচরকমের প্রতিক্রিয়ার কথা জানতে পেরেছেন বিজ্ঞানীরা।
রোগীদের রক্তের জিন পরীক্ষা করে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার যাচাই
বিজ্ঞানীরা ভিন্ন ভিন্ন মানুষের মধ্যে 'হালকা' ও 'সুতীব্র' প্রতিক্রিয়ার কারণ খুঁজতে বেরিয়ে রক্তের 'ট্রান্সক্রিপটোম'-এর বিষয়ে গবেষণা শুরু করেন। এই ধরনের গবেষণায় মূলত রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধকারী রক্তের অন্তঃস্থিত জিনগুলিকে নিয়ে পরীক্ষানিরীক্ষা করা হয়। গবেষণার সহ-পরিচালক বন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ডঃ জোয়াচিম স্কাল্টজ জানিয়েছেন, "ক্যানসারের ন্যায় করোনারও ভিন্ন ভিন্ন 'ফ্লেভার' রয়েছে।"
রোগীর জিন অনুসারে ওষুধের প্রকরণ নির্ধারণের চিন্তাভাবনা
ডঃ স্কাল্টজ জানান, রোগীর শরীরে রক্তের অন্তঃস্থিত জিনের আচরণ সম্বন্ধে পূর্ণ অবগত হতে পারলে রোগীর জিন অনুসারে প্রতিষেধকের প্রকরণ নির্ধারণ সম্ভব হবে। অন্যদিকে গবেষকদলের মতে, করোনার বিরুদ্ধে এই অসম লড়াইয়ে স্টেরয়েড ডেক্সামিথানোজ হতে পারে তুরুপের তাস। ইতিমধ্যেই বেশ কিছু রোগীর শরীরে আশাতীতভাবে কাজ করে তাক লাগিয়েছে ডেক্সামিথানোজ। উক্ত গবেষণায় আবিষ্কার হয়েছে শ্বেতরক্তকণিকা 'গ্র্যানুলোসাইটিস'-এর নতুন ক্ষমতা। আর তাই স্বভাবতই আশাবাদী বৈজ্ঞানিকমহল।
করোনার বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে পারে গ্র্যানুলোসাইটিস
ডঃ স্কাল্টজের মতে, ভাইরাসের বিরুদ্ধে দুর্বল বলে প্রমাণিত গ্র্যানুলোসাইটিস করোনার বিরুদ্ধে চমকপ্রদ কাজ করেছে এবং গ্র্যানুলোসাইটিসের এই নবতম রূপ আবিষ্কারের পর প্রতিষেধক তৈরি ও নতুন চিকিৎসা পদ্ধতি আবিষ্কারে সুবিধা হবে। অপরদিকে অন্য একটি গবেষণা মৃত করোনা আক্রান্তদের শরীরে রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার বিষয়ে নতুন দিক উন্মোচিত করেছে। গবেষণায় প্রাপ্ত ফলাফলের ভিত্তিতে বিখ্যাত বিজ্ঞান ভিত্তিক জার্নাল 'নেচার'-এ প্রকাশিত হয়েছে, করোনা ভাইরাসের থেকেও শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতাই রোগীর মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
করোনা আক্রান্ত ১ কোটি ২৬ লক্ষেরও বেশি মানুষ
নেচার-এর প্রবন্ধ অনুযায়ী, ভিন্ন ভিন্ন গবেষণায় জানা গেছে যে শরীরের রোগ প্রতিরোধী ক্ষমতার অধিক হস্তক্ষেপ অঙ্গ বিকল হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় ১ কোটি ২৬ লক্ষ মানুষ করোনায় আক্রান্ত, মারা গেছেন ৫ লক্ষের বেশি মানুষ। আশার কথা এই যে, বিশ্বের প্রায় ৭ লক্ষ মানুষ ইতিমধ্যে করোনাকে হারিয়ে সুস্থ হয়ে উঠেছেন।
করোনা পজিটিভ স্ত্রী, হোম কোয়ারেন্টাইনে গেলের রাজ্যের মন্ত্রী লক্ষ্মীরতন শুক্লা