করোনা সনাক্ত করতে এবার কি PCR টেস্টের বদলে X-ray? ফল ৯৮% সঠিক, দাবি বিজ্ঞানীদের
করোনা সনাক্ত করতে এবার কি PCR টেস্টের বদলে X-ray? ফল ৯৮% সঠিক, দাবি বিজ্ঞানীদের
একদিকে যখন সারা বিশ্ব করোনার (Coronavirus) তৃতীয় ঢেউয়ে ত্রস্ত, ঠিক সেই সময় রোগ নির্ণয়ে (detect) নতুন উপায় উদ্ভাবন বিজ্ঞানীদের। স্কটল্যান্টের একদন বিজ্ঞানী কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে এক্স-রের(x-ray) মাধ্যমে করোনা নির্ণয়ের উপায় উদ্ভাবন করেছেন। এই পদ্ধতি রোগ নির্ণয়ের ক্ষেত্রে ৯৮% সঠিক বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করবে
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট স্কটল্যান্ডের বিজ্ঞানীরা কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে স্বাস্থ্যকর্মীদের সাহায্য করার উপায় উদ্ভাবন করেছেন। যেখানে পিসিআর টেস্ট করা হয় না, সেখানেই আপাতত এই উদ্ধাবন সাহায্য করতে পারে স্বাস্থ্যকর্মীদের।
ইউনিভার্সিটি অফ ওয়েস্ট স্কটল্যান্ডের অ্যাফেক্টিভ অ্যান্ড হিউম্যান কম্পিউটিং ফর স্মার্ট এনভায়রনমেন্ট রিসার্চ সেন্টারের ডিরেক্টর নঈম রমজানের নেতৃত্বে তিন সদস্যের দল এই উদ্ভাবনের পিছনে রয়েছে। দলে রমজান ছাড়াও ছিলেন গ্যাব্রিয়েল ওকোলো এবং স্ট্যামোস কাটসিগিয়ানিস।
দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যাবে
বিজ্ঞানীরা দাবি করেছেন, নব উদ্ভাবিত উপায়ে পিসিআর টেস্টের থেকে দ্রুত রোগ নির্ণয় করা যাবে। সাধারণভাবে পিসিআর টেস্টে ফলাফল আশতে দু-ঘন্টা সময় নিয়ে থাকে। এই প্রক্রিয়ায় ৯৮% নির্ভুল ফলাফল পাওয়া যায় বলেও দাবি করেছেন বিজ্ঞানীরা।
কীভাবে কাজ করে
করোনা আক্রান্ত, সুস্থ, এবং ভাইরাল নিউমোনিয়ার আক্রান্ত রোগীদের প্রায় তিন হাজার তথ্যভাণ্ডার স্ক্যান করে এই প্রযুক্তি একটি সঙ্গে অপরটির তুলনা করবে। এরপর কৃত্তিম বুদ্ধিমত্তাকে ব্যবহার করে তারপর অ্যালগোরিদমের ব্যবহার করবে।
ডিরেক্টর নঈম রমজান জানিয়েছেন, করোনা নির্ণয়ে তাড়াতাড়ি এবং বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়েছিল। আর ওমিক্রন সংক্রমণের ক্ষেত্রে আরও বেশি করে প্রয়োজন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেছেন, বিশ্বের অনেক দেশেই সীমিত সংখ্যক সরঞ্জাম থাকায় বেশি সংখ্যায় করোনা নির্ণয়ের পরীক্ষা করা যায় না। তাঁদের উদ্ভাবিত পদ্ধতি সেক্ষেত্রে সাহায্য করবে বলে দাবি করেছেন তিনি।
পিসিআর টেস্ট চলতে থাকবে
তবে
বিজ্ঞানীরা
বলেছেন,
কোভিডের
উপসর্গগুলি
সংক্রমণের
একেবারে
প্রথমের
দিকে
এক্সরে
তে
পাওয়া
যায়
না।
সেই
কারণে
নতুন
এই
পদ্ধতি
পুরোপুরি
পিসিআর
টেস্টের
জায়গা
নিতে
পারবে
না।
তবে
ভাইরাসের
সংক্রমণ
রুখতে
এই
পদ্ধতি
সাহায্য
করবে
বলে
দাবি
করেছেন
বিজ্ঞানীরা।
বিশেষ
করে
যেখানে
পিসিআর
টেস্ট
হয়
না।
ডিরেক্টর
নঈম
রমজান
বলেছেন,
গুরুতর
পরিস্থিতিতে
রোগ
নির্ণয়ে
এবং
জীবন
রক্ষাকারী
হিসেবে
নতুন
এই
উদ্ভাবন
কাজে
লাগবে।
ইউনিভার্সিটি
অফ
ওয়েস্ট
স্কটল্যান্ডের
রিসার্চ,
ইনোভেশন
এবং
এনগেজমেন্টের
ভাইস
প্রিন্সিপাল
মিলান
রাডোসাভলজেভিক
বলেছেন,
এই
গবেষণা
করোনা
বিরুদ্ধে
লড়াইয়ে
বড়
হাতিয়ার
হয়ে
উঠতে
পারে।