ভারতে করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে দৌড়! আইসিএমআর-এর উল্টো সুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিমন্ত্রকের
দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে কার্যত উল্টো সুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের। এদিন তারা জানিয়েছে, ভারতে তৈরি কোনও ভ্যাকসিনই ২০২১-এর আগে পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করছেন না।
দেশে করোনার ভ্যাকসিন পাওয়া নিয়ে কার্যত উল্টো সুর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের। এদিন তারা জানিয়েছে, ভারতে তৈরি কোনও ভ্যাকসিনই ২০২১-এর আগে পাওয়া যাবে বলে তারা মনে করছেন না।
রাজ্যে একদিনে করোনা আক্রান্ত ও মৃত্যুতে নতুন রেকর্ড! মৃতের সংখ্যা পেরলো ৭৫০
আইসিএমআর-এর ঘোষণা
দিন কয়েক আগে আইসিএমআর জানিয়েছিল, করোনার ভ্যাকসিন, কোভ্যাকসিন তৈরির দৌড়ে অনেকটাই এগিয়ে গিয়েছে ভারত। এব্যাপারে ভারত বায়োটেকের নাম উল্লেখ করে বলা হয়েছিল, ৭ জুলাই থেকে এই ভ্যাকসিনের মানব দেহের ওপর ট্রায়ালের কাজ শুরু হবে। পাশাপাশি বলা হয়েছিল ১৫ অগাস্টে ট্রায়াল পর্ব শেষ করে মানব দেহে প্রয়োগের ব্যাপারে তা রেডি হয়ে যাবে। অনেকের মনে জল্পনা তৈরি হয়েছিল তাহলে লালকেল্লা থেকে ১৫ অগাস্টের ভাষণে প্রধানমন্ত্রী ওই ভ্যাকসিনের কথা উল্লেখ করবেন।
বিরোধীদের তরফে অভিযোগ
এব্যাপারে বিরোধীদের তরফে অভিযোগ তুলে বলা হয়েছিল, রাজনৈতিক ফায়দা তোলার জন্যই তাড়াগুড়ো করা হচ্ছে। তবে তা করতে গিয়ে যেন বিপদ ডেকে আনা না হয়, বলেছিলেন তাঁরা।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের বিবৃতি
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ছটি ভারতী সংস্থা করোনার ভ্যাকসিন নিয়ে কাজ করছে। এদের মধ্যে দুটি কোভ্যাকসিন এবং জাইকভ ডি-সহ সারা বিশ্বে ১১ টি সংস্থার ভ্যাকসিনের মানব দেহে ট্রায়ালের কাজ শুরু করেছে। তবে কোনও ভ্যাকসিনই ২০২১-এর আগে বড় সংখ্যায় ব্যবহারের জন্য রেডি হবে না বলেও জানানো হয়েছে।
বিভিন্ন ধাপে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা প্রমাণ করতে হয়
সাধারণ ভাবে প্রথম দুটি ধাপে ভ্যাকসিন মানব দেহে কতটা নিরাপদ তা প্রমাণ করতে হয়। পাশাপাশি তৃতীয় ধাপে ভ্যাকসিনের কার্যকারীতা প্রমাণ করতে হয়। এই তিনটি পর্যায়ে পেরোতে ২ থেকে ৩ মাস করে ছয় থেকে নয় মাস পর্যন্ত লেগে যায়। ফলে আইসিএমআর-এর ঘোষণা নিয়ে প্রশ্ন উঠে গিয়েছিল।