সেপ্টেম্বর নাকি অক্টোবর, কবে খুলবে স্কুল–কলেজ, দেখে নিন কী বলছে কেন্দ্র
সেপ্টেম্বর নাকি অক্টোবর, কবে খুলবে স্কুল–কলেজ, দেখে নিন কী বলছে কেন্দ্র
করোনা ভাইরাস লকডাউনের কারণে দেশের সমস্ত স্কুল–কলেজ ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি বন্ধ করে রাখা হয়েছে। কেন্দ্র সরকার এবার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্কুল ও অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি ১ সেপ্টেম্বর থেকে ১৪ নভেম্বরের মধ্যে পর্যায়ক্রমে খোলা হবে।
চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত রাজ্য সরকারের
স্বাস্থ্যমন্ত্রী হর্ষ বর্ধনের সভাপতিত্বে, কোভিড-১৯ পরিচালন বিষয়ক মন্ত্রীদের সঙ্গে যুক্ত সচিবদের দলের সঙ্গে এই পরিকল্পনার রূপগুলি নিয়ে আলোচনা করেছে। এই সিদ্ধান্তের বিজ্ঞপ্তি চূড়ান্ত আনলক নির্দেশিকা জারি হওয়ার পরই তা প্রকাশ করা হবে। জানা গিয়েছে এ মাসের শেষ অর্থাৎ ৩১ অগাস্ট আনলকের চূড়ান্ত নির্দেশিকায় কী কী খোলা হব তা জানানো হবে। যদিও এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য সরকারই, তারাই ঠিক করবে কীভাবে ও কবে থেকে পড়ুয়ারা ক্লাসরুমে ফিরতে পারবে। স্কুল ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের জন্য ব্রড স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং পদ্ধতি (এসওপিএস) জারি করা হবে। এটি স্কুলশিক্ষা বিভাগ কর্তৃক জুলাইয়ের প্রথম দিকে পরিচালিত একটি দ্রুত সমীক্ষা অনুসরণ করে।
অভিভাবকরা স্কুলে পাঠানোর পক্ষে নয়
এই সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে অভিভাবকরা এই সময় শিশুদের স্কুল পাঠানোর পক্ষে নয়, যদিও রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে কেন্দ্রকে যুক্তি দেওয়া হয়েছিল যে অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল শ্রেণী শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। আলোচনার অংশ নেওয়া একজন প্রবীণ কর্মকর্তা বলেছিলেন, ‘যে সব রাজ্যে, করোনা কেসের বোঝা কম, তারা উচ্চ শ্রেণির শিক্ষার্থীদের ফিরিয়ে আনতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে।'
বদল আনা হয়েছে স্কুলের সময়ে
মানব সম্পদ উন্নয়ন মন্ত্রক ও স্বাস্থ্য মন্ত্রকের দ্বারা জারি করা নির্দেশিকায় বলা হয়েছে যে স্কুল খোলার পর তা পর্যায়ক্রমে চালানো হবে। প্রথম ১৫ দিন স্কুলে ক্লাস করবে দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর পড়ুয়ারা। একটি শ্রেণীর বিভিন্ন বিভাগ স্কুলে পড়ার জন্য বিশেষ দিন পাবে। উদাহরণস্বরূপ বলা যায়, যদি দশম শ্রেণীর চারটে বিভাগ থাকে স্কুলে, তবে এ ও সি বিভাগের অর্ধেক পড়ুয়া বিশেষ দিনে ক্লাস করতে পারবে এবং বাকিরা অন্য দিনে। স্কুলের সময়ের ক্ষেত্রেও বদল আনা হয়েছে। ৫-৬ ঘণ্টার বদল তা ২-৩ ঘণ্টা করে দেওয়া হয়েছে। সব স্কুলই চলবে শিফটিং-এর ওপর, সকাল আটটা থেকে ১১টা ও দুপুর ১২টা থেকে ৩টে পর্যন্ত। তবে এই সময়ের মাঝে একঘণ্টা স্যানিটাইজেশনের জন্য দিতে হবে। স্কুলগুলিকে বলা হয়েছে শিক্ষা কর্মী ও পড়ুয়া সহ ৩৩ শতাংশ ক্ষমতা নিয়ে চালনা করতে।
সুইজারল্যান্ডের মডেল অনুসরণ হবে ভারতে
সচিবদের দলের সঙ্গে হোয়া আলোচনায় এটা জানা গিয়েছে যে প্রি-প্রাইমারি বা প্রাইমারি স্কুলগুলিকে খোলার পক্ষে নয় তারা বরং অনলাইনে শিশু পড়ুয়াদের ক্লাস নেওয়া হোক। দশম ও দ্বাদশ শ্রেণীর শারীরিকভাবে স্কুলে উপস্থিত হওয়ার বিষয়ের পর ষষ্ঠ ও নবম শ্রেণীর পড়ুয়াদের সময়ও বেঁধে দেওয়া হবে। যদি স্কুলের একাধিক শাখা থাকে, তবে ক্লাসগুলিকে ছড়িয়ে দেওয়া এবং প্রাইমারি বিভাগরে সিনিয়র বিভাগের জন্য ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হবে। এক কর্মকর্তা বলেন, ‘সুইজারল্যান্ডের মতো দেশগুলি কীভাবে শিশুদের নিরাপদে স্কুলে ফিরিয়ে এনেছে তা আমরা অধ্যয়ন করেছি। একই ধরণের মডেল ভারতে নিয়োগ করা হবে'।
উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের পার্বত্য রাজ্যগুলি এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি স্কুল এবং শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান পুনরায় চালু করতে পারে।
নীতীশ কুমার মুখ্যমন্ত্রী মুখ, কিন্তু মোদীর নামেই বিহারের নির্বাচন লড়বে বিজেপি