রাজস্থানের স্কুল শিক্ষকদের আদেশ দেওয়া হল কোয়ারেন্টাইন রোগীদের মনোরঞ্জন করতে
রাজস্থানের স্কুল শিক্ষকদের আদেশ দেওয়া হল কোয়ারেন্টাইন রোগীদের মনোরঞ্জন করতে
রাজস্থানের বিভিন্ন জেলা প্রশাসক সরকারি স্কুল শিক্ষকদের বেশ কিছু কাজের দায়িত্ব দিয়েছেন। যার মধ্যে কোভিড–১৯ রোগীদের মনোরঞ্জন করা, রাস্তার প্রাণীদের গণনা, বিয়ে বা ব্যক্তিগত অনুষ্ঠানে সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে কিনা এবং পঙ্গপাল হামলা নিয়ে সচেতনতা বাড়ানো প্রধান।
অদ্ভুত নির্দেশ জেলা প্রশাসকদের কাছ থেকে
এই অদ্ভুত নির্দেশ এসেছে গত সপ্তাহেই। যা শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভের সৃষ্টি করেছে। এমনকি শিক্ষকরা এই কাজের দায়িত্ব পালন করছেন এমন একটি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়াতেও। এরপরই শিক্ষকরা রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী গোবিন্দ সিং দোতাসারাকে এ বিষয়ে আবেদন করার পর এই আদেশ তুলে নেওয়া হয়। দোতাসারা টুইটে বলেন, ‘আমরা অযৌক্তিক আদেশ বাতিল করে দিয়েছি এবং কর্মকর্তাদের কোনও লিখিত নির্দেশিকা ছাড়াই এ জাতীয় আদেশ না দেওয়ার জন্য বলা হয়েছে।'
শিক্ষকদের মনোরঞ্জন করার আদেশ
এই অদ্ভুত আদেশ বেশ কিছু মহকুমা আধিকারিক দেন। এ ধরনের এক আদেশে বলা হয়েছে, কারাউলির মুখ্য শিক্ষা অফিসার গণপত লাল মিনাকে আদেশ দেওয়া হয়েছিল যে মন্দারায়ান ও টোডাভীমের ১২টি কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রে সকালে যোগা ও বিকেলে গান-নাচের মতো সৃজনশীল কর্মকাণ্ড করার জন্য ১২ জন শারীরশিক্ষা ও সঙ্গীত শিক্ষকের আয়োজন করতে। সব শিক্ষকদের মধ্যে এক শিক্ষিকাকে বলা হয় কোয়ারেন্টাইন কেন্দ্রের রোগীদের মনোরঞ্জন করার জন্য। তাঁদের এই কর্মকাণ্ডের ভিডিও করে তা অতিরিক্ত জেলা শিক্ষা আধিকারিক ধরম সিং মিনাকে পাঠানোর জন্য বলা হয়।
শিক্ষকদের বিয়ের ওপর নজরদারি করার আদেশ
বরণ জেলার কিশানপুরার পঞ্চায়েত প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের জারি করা দ্বিতীয় আদেশ অনুযায়ী, স্কুলের প্রধান শিক্ষক মহকুমা শাসকের নির্দেশ উল্লেখ করে অন্য শিক্ষকদের গ্রামে বিয়ের সময় সামাজিক দুরত্ব বজায় থাকছে কিনা ও বিয়েতে ৫০ জনের বেশি অতিথি আসছে কিনা সে বিষয়টির ওপর নজর রাখবেন।
মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ
করোনা ভাইরাস মহামারির ফলে শিক্ষকদের ওপর এ ধরনের আদেশের কোপ পড়ছে। এর আগেও ঢোলপুরের জেলা শাসক শিক্ষকদের এমজিএনআরইজিএ-এর পর্যবেক্ষণের কাজে লাগিয়ে দেন। এছাড়াও কোটার এটাওয়া উপ মহকুমার মহকুমা শাসক শিক্ষকদের পঙ্গপাল নিয়ন্ত্রণের দলে যোগ দিতে বলায় তা নিয়ে হইচই বেধে যায়।
রাজস্থান প্রাথমিক ও মধ্য শিক্ষক সমিতির সভাপতি শশীভূষণ শর্মা, রাজস্থান শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি রবি আচার্য্য এবং রাজস্থান শিক্ষক ইউনিয়নের সভাপতি রামকৃষ্ণ আগরওয়াল মুখ্যমন্ত্রীকে অনুরোধ করেছেন যেন তাঁদের এ জাতীয় অশিক্ষামূলক কর্মকাণ্ড না দেওয়া হয়।
ভারত সেরা মুখ্যমন্ত্রী কে, সি ভোটারের সমীক্ষায় সব শেষে রইলেন কোন মুখ্যমন্ত্রী