স্কুলের পিয়নকে চড় মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীর বাবার, ছবি হল ভাইরাল
স্কুলের পিয়নকে চড় মারার ছবি মোবাইল বন্দি। অভিযুক্ত মহারাষ্ট্রের আকোলার প্রাক্তন এমএলএ তথা বর্তমান মন্ত্রীর বাবা। আধিকারিকদের সঙ্গে জোর করে স্কুলে ঢুকতে বাধা দেওয়ায় চড় বলে অভিযোগ কর্তৃপক্ষের
স্কুলের পিয়নকে চড় মারলেন মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন এমএলএ ভিএন পাটিল। তার অবশ্য অন্য পরিচয়ও রয়েছে। মহারাষ্ট্র্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রঞ্জিত পাটিলের বাবা তিনি। পিওন অমল কালেকে মারধরের এই ছবি ধরা পড়েছে মোবাইল ক্যামেরায়।
আকোলা জেলার মুরতুজাপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করে স্কুলের প্রিন্সিপাল সঞ্জয় আটবালে জানিয়েছেন, স্কুলের স্বীকৃতি বাতিল করতে, মহারাষ্ট্রের শিক্ষা দফতরের অফিসারদের সঙ্গে প্রাক্তন এমএলএ ভিএন পাটিল গিয়েছিলেন ওই স্কুলে।
স্কুলের মালিক সঞ্জয় দেশমুখ জানিয়েছেন, সরকার স্বীকৃত হলেও, সরকারি সাহায্য় ছাড়াই ২০০৮ সাল থেকে স্কুল এবং জুনিয়র কলেজ চালাচ্ছেন। মহারাষ্ট্রে জুনিয়র কলেজ বলতে একাদশ এবং দ্বাদশ শ্রেণিকেই বোঝায়।
মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী রঞ্জিত পাটিলের বাবা, প্রাক্তন ওই এমএলএ বেশ কয়েকবার জুনিয়র কলেজটি বন্ধ করার চেষ্টা চেষ্টা করছিলেন বলে অভিযোগ। বিষয়টি নিয়ে তিনি পিটিশনও দাখিল করলেও আদালতের নির্দেশ পেতে তিনি ব্যর্থ হন বলে জানিয়েছেন জুনিয়র স্কুলের মালিক।
এবার মহারাষ্ট্রের শিক্ষা দফতরের আদেশনামা নিয়ে স্কুলে যান প্রাক্তন ওই এমএলএ। সঙ্গে যান শিক্ষা দফতরের আধিকারিকরা। স্কুলের তরফে প্রিন্সিপালকেও স্কুলে পাঠানো হয়। স্কুলে গিয়ে তারা স্কুলের কর্মীকে মারধর করেন এবং রেকর্ড নিয়ে চলে যান বলে অভিযোগে করেছেন স্কুলের মালিক।
প্রিন্সিপাল সঞ্জয় আটবালে জানিয়েছেন, সরকারি আধিকারিকদের সঙ্গে এসেছিলেন প্রাক্তন এমএলএ তথা রাজ্যের মন্ত্রীর বাবা। তার বয়সের কথা বিবেচনা করে এবং আগেকার খারাপ ব্যবহারের কথা জেনেই তাকে স্কুলে ঢুকতে বারণ করেন তারা।
প্রাক্তন এমএলএ দাঁড়িয়ে থেকে আলমারি খুলতে বলেন সরকারি আধিকারিকদের। যেহেতু তার স্কুলে যাওয়াটাই অবৈধ, তাই মোবাইলে সেই ঘটনার তুলে রাখতে শুরু করে স্কুল কর্তৃপক্ষ। এই সময়ই প্রাক্তন এমএলএ স্কুলের পিয়নকে চড় মারেন। এমনটাই দাবি কর্তৃপক্ষের।
শিক্ষা দফতরের অফিসাররা স্কুল পরিদর্শনের পরে স্কুলের স্বীকৃতি বাতিলের কথা জানিয়েদেন। তবে কী কারণে স্বীকৃতি বাতিল, তা নিয়ে কোনও ব্যাখ্যা দেননি তারা।
বিষয়টি নিয়ে মহারাষ্ট্রের স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রীর তরফে কোনও বিবৃতি পাওয়া যায়নি।