ফিউচার-রিয়ালেন্স চুক্তি মামলায় আমাজনের পক্ষে রায় এল সুপ্রিম কোর্টের তরফে
ফিউচার-রিয়ালেন্স চুক্তি মামলায় অ্যামাজনের পক্ষে রায় এল সুপ্রিম কোর্টের তরফে
ঘটনার সূত্রপাত গত ফেব্রুয়ারি মাসে। ব্যবসায়িক পার্টনার ফিউচার গ্রুপের সঙ্গে মুকেশ আম্বানির রিলায়েন্সের ২৪,৭১৩ কোটি টাকার চুক্তি নিয়ে অ্যামাজন ভারতের সুপ্রিম কোর্টে একটি মামলা দায়ের করে। জেফ বেজোসের মালিকনাধীন এই সংস্থা আমাজনের দায়ের করা মামলায় এদিন , আমাজনের পক্ষেই রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। প্রসঙ্গত, ভারতের বকে সাম্প্রতিক সময়ে ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে এটি অন্যতম বড় ঘটনা ও আইনি মামলা।
এদিন সুপ্রিম কোর্ট কার্যত জেফ বেজোসের সংস্থার যুক্তিতেই সায় দিয়েছে। সাফ বার্তায় আদালত বোঝাতে চেয়েছে যে, সিঙ্গাপুরের ইমার্জেন্সি আরবিট্রেটারের বা সিঙ্গাপুরের শালিশি আদালতের নির্দেশই ফিউচার রিটেল সংস্থাকে রিলায়েন্সের সঙ্গে সংযুক্ত হওয়া থেকে রুখে দেবে। ভারতীয় আইন এমনই মতে বিশ্বাসী। এই বার্তায় যুক্তি আগেই দিয়েছিল অ্যামাজন। আর এদিন কার্যত তাতেই শিলমোহর দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর আগে এই মামলায় দিল্লি হাইকোর্ট স্থগিতাদেশ দেয়। 'স্টেটাস কো' ধরে রাখার বার্তা দেয় দিল্লি আদালত। এরপর দিল্লি আদালতের পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয় আমাজন। পরে সেই মামলায় সুপ্রিম কোর্ট আমাজনের সপক্ষেই রায় দেয়। প্রসঙ্গত আমাদনের দাবি ফিউচার কুনের কিছুটা অংশ যেহেতু তাদের মালিকানাধীন, তাই ফিউচার রিটেলের কোনও শেয়ার বিক্রি হতে তা কেনার সুযোগ সবচেয়ে আগে যাওয়া উতিত জেফ বেজোসের সংস্থার কাছে।
মূলত, এদিনের আইনি লড়াই ছিল মুকেশ আম্বানির নেতৃত্বাধীন সংস্থার এক চুক্তির সঙ্গে জেফ বেজোসের সংস্থার পার্চনার সংস্থার চুক্তি ঘিরে। মার্কিন সংস্থার দাবি ছিল যে, ভারতীয় সংস্থাগুলি আইনতভাবে একাধিক নিয়ম লঙ্ঘন করে এই চুক্তিতে এসেছে। ভারতীয় সংস্থা রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজ কার্যত অ্যামাজনের প্রতিপক্ষ হিসাবে পরিগণিত হয়ে থাকে। সেই জায়গা থেকে এই ডিল নিয়ে মামলা রীতিমতো হাইপ্রোফাইল জায়দায় ছিল। কার্যত জেফ বেজোস ও মুকেশ আম্বানির মতো ধনকুবেরের কাছে এটি এক ধরনের প্রেস্টিজ ফাইট ছিল বলেও অনেকে দাবি করেছেন।
পিটিআইয়ের খবর অনুযায়ী সিঙ্গাপুরের ইমার্জেন্সি আরবিট্রেটার গত অক্টোবরেই এই চুক্তিকে কার্যত নস্যার করে দেয়। সুপ্রিম কোর্ট এদিন সেই প্রসঙ্গকে তুলে রায় দেয় এই মামলায়। এদিন আদালতের রায়দানের সময় এই বিষয়ে একাধিক বক্তব্য রাখেন আর এফ নারিমন। বিদেশা কনও দেশের ইমার্জেন্সি আরবিট্রোর ভারতের 'ইন্ডিয়ান আরবিট্রেশন অ্যান্ড কনসিলিয়েশন অ্যাক্ট' এ ধার্য। এর আগে দিল্লি কোর্টের অর্ডার এই ইস্যুতে রিজার্ভ রাখে শীর্ষ আদালত। তারপরই এমন বার্তা দেয় তারা। এর আগে এই চুক্তিতে যাতে ছাড়পত্র না দেওয়া হয়, তার জন্য, সেবির কাছেও দরবার করেছে অমাজন। এর আগে ২১ ডিসেম্বর দিল্লি হাইকোর্টের নির্দেশে ফিউচার-রিলায়েন্স চুক্তির বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার অধিকার নিয়ামক সংস্থাগুলির উপরেই ছেড়ে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট। এরপর ফিউচার আর্জি করে যে আমাজন নিয়ামক সংস্থাগুলির কাছে নাও যেকে পারে এই চুক্তির বিরুদ্ধে গিয়ে। ফিউচারের সেই আবেদন দিল্লি হাইকোর্ট খারিজ করে।