অপেক্ষার অবসান! সুপ্রিম কোর্টে নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনের শুনানি বুধবার
অপেক্ষার অবসান! সুপ্রিম কোর্টে নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনের শুনানি বুধবার
সুপ্রিম কোর্টের সাংবিধানিক বেঞ্চ বুধবার নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করা আবেদনের শুনানি হবে। বিচারপতি আবদুল নজরিরের নেতৃত্বে পাঁচ বিচারপতির সাংবিধানিক বেঞ্চে নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার শুনানি শুরু হবে। সুপ্রিম কোর্টে সাংবিধানিক নতুন বেঞ্চে রয়েছেন বিচারপতি এস আব্দুল নাজির, বিআর গাভাই, এএস বোপান্না, ভি রামাসুব্রমানিয়ান এবং বিভি নাগারথনা।
নোটবন্দিকে চ্যালেঞ্জ করা মামলার শুনানি
২৭ অগাস্ট বিচারপতি ইউইউ ললিত দেশের প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নেন। তারপর থেকেই সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি থাকা একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলার শুনানি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সুপ্রিম কোর্টের তরফে জানানো হয়, মুলতুবি থাকা মামলাগুলোকে প্রথমে তালিকাভুক্ত করা হবে। তারপর তার শুনানি শুরু হবে। কেন্দ্র সরকারের নোটবন্দির সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে ২০১৬ সালে সুপ্রিম কোর্টে মামলার আবেদন করা হয়েছিল। সেই মামলার শুনানি পাঁচ বিচারপতির সংবিধানিক বেঞ্চে বুধবার থেকে শুরু হচ্ছে বলে জানা গিয়েছে।
সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপর গুরুত্ব
শপথ নেওয়ার আগেই সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি ইউইউ ললিত স্থায়ী সাংবিধানিক বেঞ্চের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেছিলেন, সুপ্রিম কোর্টের পাঁচ সদস্যের স্থায়ী সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজন রয়েছে। পাশাপাশি তিনি গুরুত্বপূর্ণ একাধিক মুলতুবি থাকা মামলা এগিয়ে আনার পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। দায়িত্ব নেওয়ার পরেও বিচারপতি ইউইউ উমেশ গুরুত্বপূর্ণ নোটবন্দি মামলার শুনানি এগিয়ে এনেছে। এই মামলার শুনানি বুধবার হবে।
মুলতুবি রয়েছে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা
নোটবন্দি ছাড়াও একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা সুপ্রিম কোর্টে এখনও মুলতুবি রয়েছে নয়তো বিচারাধীন রয়েছে। অসমের ন্যাশনাল রেজিস্ট্রার অফ সিটিজেনকে চ্যালেঞ্জ করে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ মামলা এখনও সুপ্রিম কোর্টে মুলতুবি রয়েছে। তবে এই মামলাগুলোর ক্ষেত্রে পাঁচ সদস্যের সাংবিধানিক বেঞ্চের ওপর গুরুত্ব দেওয়া হবে বলেই মনে করা হচ্ছে।
সুপ্রিম কোর্টের স্থায়ী সাংবিধানিক বেঞ্চের প্রয়োজনীয়তা
সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি হিসেবে মনোনীত হওয়ার পর ইউ উমেশ ললিত দেশের শীর্ষ আদালতে স্থায়ী সংবিধানিক বেঞ্চের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন। তিনি বলেন, 'যখন সুপ্রিম কোর্টে সাত আট জন বিচারপতি ছিলেন, আদালত পাঁচ সদস্যের বেঞ্চ গঠন করতে পারত। কিন্তু এখন সুপ্রিম কোর্টে ৩৪ জন বিচারপতি রয়েছে। তবে এখন কেন পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ গঠন করা সম্ভব নয়। বর্তমান পরিস্থিতি ও সুপ্রিম কোর্টের অবস্থানের ভিত্তিতে পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চের প্রয়োজন। অতীতের দিকে তাকালে দেখা যাবে, বিচারপতি ভি কৃষ্ণ আইয়ার তাঁর সাত বছরের মেয়াদে ৫৫টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। বিচারপতি পিএন ভগবতী ১১৩টি সাংবিধানিক বেঞ্চের রায়ে অংশগ্রহণ করেছিলেন। আমার মনে হয়েছে, সুপ্রিমকোর্টে আমরা পাঁচ বিচারপতির স্থায়ী বেঞ্চ তৈরি করতে পারি।'