সব ধরনের গুটখা ও নিকোটিনজাত পণ্য বিক্রি বন্ধের কড়া নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের
নয়াদিল্লি, ২৫ সেপ্টেম্বর : চেবানো যায় এমন সমস্ত ধরনের গুটখা ও নিকোটিনজাত পণ্য বিক্রি বন্ধ করতে অবিলম্বে নির্দেশ দিল দেশের সর্বোচ্চ আদালত। কিছু কোম্পানি পান মশলার মোড়কে তামাকজাত পণ্য আলাদা প্যাকেটে বিক্রি করছিল বলে অভিযোগ উঠেছিল। সেজন্য সমস্ত স্তরের কর্তৃপক্ষকে এই বিষয়ে কড়া পদক্ষেপ করতে এবং ভারতের ফুড সেফটি অ্যান্ড স্ট্যান্ডার্ড অথরিটিকে নির্দেশ দিয়েছে সর্বোচ্চ আদালত। [শুধু পুত্রবধূই নন, গার্হস্থ্য হিংসার অভিযোগ আনতে পারবেন মা-বোনেরাও]
সুপ্রিম কোর্টের বিচারপতি ভি গোপাল এবং আদর্শ কে গোয়েলের নেতত্বাধীন বেঞ্চ খাবারের গুণমানের নিয়ামক সংস্থা ফুড সেফটি কর্তৃপক্ষের তৈরি ২০১১ সালের নিয়মিবিধির উল্লেখ করে। জানায়, তামাকজাত ও নিকোটিন মিশ্রিত পণ্যের বিক্রি অবিলম্বে বন্ধ হওয়া উচিত। [এফআইআর দায়েরের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে ওয়েবসাইটে আপলোড করতে হবে, সব রাজ্যকে নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
এই প্রসঙ্গে আদালতের আরও বক্তব্য, যে ধরনের পানমশলা বাজারে বিক্রি হচ্ছে, তাতে কোনওভাবেই তামাক বা নিকোটিনের মিশ্রণ থাকলে চলবে না। কোনও ধরনের খাবারেই এই দ্রব্যগুলি যাতে না থাকে তা নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। [স্ত্রীর অকালমৃত্যু হলে সম্পত্তিতে অধিকার থাকবে না স্বামীর : সুপ্রিম কোর্ট]
আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী বলা হয়েছে, ২০১১ সালে আইন বলবৎ হওয়ার পরও কোন কোন সংস্থা সেই আইনকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ব্যবসা চালিয়েছে, তাদের খুঁজে বের করে কড়া ব্যবস্থা নিতে হবে। [ইন্টারনেটে বিতর্কিত মন্তব্য, পোস্ট করলেই গ্রেফতার নয়, নির্দেশ সুপ্রিম কোর্টের]
আদালতের কড়া নির্দেশ সত্ত্বেও বেশ কিছু কোম্পানি পানমশলার মোড়কে গুটখা বিক্রি করে চলেছে। এক বরিষ্ঠ আইনজীবী এই বিষয়টিতে আদালতের মনোযোগ আকর্ষণ করেন। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকের নিয়ম না মেনে কীভাবে তামাক কোম্পানিগুলি ব্যবসা করছে, সেটাও তুলে ধরেন তিনি। সবকিছু শুনে তারপরই আদালত এই বিষয়ে কড়া সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
প্রসঙ্গত, বিশ্বের মধ্যে যত মানুষ তামাকজাত পণ্যের ফলে মুখের ক্যানসারে আক্রান্ত হন তার সিংহভাগই ভারতীয়। ২০১০ সালের সমীক্ষা অনুযায়ী দেশের ৩৫ শতাংশ প্রাপ্তবয়স্ক তামাকে আচ্ছন্ন। মোট সংখ্যাটা ২৭.৫ কোটি। যার মধ্যে ১৬.৩৭ কোটি মানুষ গুটখা খান। ৬.৯ কোটি মানুষ সিগারেট বা বিড়ি খেয়ে নেশা করেন। আর ৪.২৩ কোটি মানুষ তামাক ও সিগারেট দুটো নেশাই একসঙ্গে করেন।
এই কয়েকবছরে সংখ্যাটা আরও বেড়েছে সন্দেহ নেই। ২০১৪ সালের হিসাব বলছে, সারা পৃথিবীতে যত মানুষ ধোঁয়াবর্জিত তামাকের নেশা করেন, তার ৮০ শতাংশই ভারত ও বাংলাদেশের বাসিন্দা।