'যাঁরা হেঁটে চলতে চাইছেন তাঁদের কীভাবে রুখবেন!' পরিযায়ীদের ঘরে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের
'যাঁরা হেঁটে চলতে চাইছেন তাঁদের কীভাবে রুখবেন!' পরিযায়ীদের ঘরে ফেরা নিয়ে উদ্বেগ শীর্ষ আদালতের
কেউ গর্ভবতী অবস্থায় হাঁটঠেন, কেউ কোলে সন্তান নিয়ে, কারোর পায়ে আর চলার ক্ষমতা নেই, কারোর পায়ের জুতো ক্ষয়ে যাচ্ছে, কারোর কাছে আবার জুতোও নেই। তবুও মাথায় পিঠে, বড়বড় ব্যাগ নিয়ে তাঁরা ঘরে ফেরার আশায় হেঁটে চলেছেন। করোনাপর সংকটকালে এই পরিযায়ী শ্রমিকদের নিয়ে রীতিমতো উদ্বিগ্ন দেশ। আর এদিন তাঁদের নিয়ে বক্তব্য রেখেছে সুপ্রিম কোর্ট।
সুপ্রিম কোর্টের বক্তব্য
পরিযায়ী শ্রমিকরা যাঁরা পায়ে হেঁটে ঘরে ফিরছেন, তাঁদের সম্পর্কে বক্তব্য রাখতে গিয়ে সুপ্রিম কোর্ট এদিন বলে, যাঁরা হাঁটতে চাইছেন তাঁদের কী করে রোখা সম্ভব? আদালতের প্রশ্ন, যখন কেউ রেলের লাইনে শুয়ে পড়েন , তাঁদের কীভাবে রোখা সম্ভব?
শীর্ষ আদালতের বক্তব্য
শীর্ষ আদালত এদিন পরিযায়ী শ্রমিকদের আশ্রয় কিম্বা বিনামূল্যের খাবার নিয়ে কোনও নতুন নির্দেশ দেয়নি। জাস্টিস এল সঞ্জয় কউল ও নাগেরশ্বর রাওয়ের বেঞ্চ এমনই বার্তা দেয়
মহারাষ্ট্রের ঘটনা
উল্লেখ্য কয়েকদিন আগেই মহারাষ্ট্রের অউরাঙ্গাবাদে রেল লাইনে শুয়ে ছিল পরিযায়ী শ্রমিকদের একটি দল। রেল লাইনে শুয়ে থাকা অবস্থাতেই তাঁদের পিষে দিয়ে চলে যায় একটি ট্রেন। ঘটনাস্থলে ১৭ জন শ্রমিক মারা যান।
পরিযায়ীদের নিয়ে উদ্বেগ
এদিন আদালতে সলিসিার জেনারেল তুষার মেহতা বলেন, পরিযায়ী শ্রমিকদের উচিত একটু ধৈর্য ধরা। তা না হলে পরিস্থিতি আরও খারাপের দিকে যেতে পারে। উল্লেখ্য , শ্রমিকদের বাড়ি ফেরার জন্য দেশে অকাধিক শ্রমিক স্পেশ্যাল ট্রেন চালু করেছে সরকার। যাতে শ্রমিকদের পায়ে হেঁটে বাড়ি ফিরতে না হয়।
'সুন্দর বক্তৃতায় মুড়ে ফাঁকা প্যাকেজ ধরিয়েছে কেন্দ্র’, অর্থমন্ত্রীকে তোপ কংগ্রেসের