সুনন্দা হত্যাকাণ্ডে শীর্ষ আদালতে স্বামী, দিল্লি পুলিশকে আইনি নোটিস, কী বলছেন শশী
কংগ্রেস সাংসদ শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যু রহস্য নিয়ে শুক্রবার সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হন বিজেপি নেতা তথা বিশিষ্ট আইনজীবী সুব্রহ্মমণ্যম স্বামী ।
সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যু রহস্য়ে তদন্তের জন্য এবার সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হলেন সুব্রহ্মমণ্যম স্বামী। এই আবেদন পত্রে সুব্রহ্মমণ্য স্বামী সিট গঠনের দাবি জানিয়েছেন। যদিও সুনন্দা মৃত্যু রহস্য়ের তদন্তে সিট গঠনের দাবি নিয়ে আগেই দিল্লি হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন এই বিজেপি নেতা। কিন্তু সুব্রহ্মমণ্য স্বামীর সেই আবেদনকে খারিজ করে দেয় দিল্লি হাইকোর্ট।
এদিনের সুপ্রিমকোর্টে করা তাঁর আবেদনে মূলত দিল্লি হাইকোর্টে রায়কেই চ্যালেঞ্জ করেছেন সুব্রহ্মমণ্যম স্বামী। সুপ্রিমকোর্ট এই আবেদন গ্রহণ করার সঙ্গে সঙ্গে দিল্লি পুলিশকে একটি নোটিশ জারি করেছে।
এদিকে, সুব্রহ্মমণ্যম স্বামীর সুপ্রিমকোর্টের দ্বারস্থ হওয়া নিয়ে শশী থারুরের প্রতিক্রিয়াও এসে পৌঁছেছে সংবাদ মাধ্যমের হাতে। সুনন্দা পুষ্করের স্বামী শশী থারুর জানিয়েছেন, 'সুপ্রিমকোর্ট একটি নির্দেশ দিয়েছে, বিচারবিভাগ নিজের কাজ করুক।' এমনকি তিনি আরও প্রতিক্রিয়া দিতে গিয়ে জানিয়েছেন দিল্লি পুলিশ এই বিষয়ে আদালতকে যে রিপোর্টই দিক না কেন, তাকে তিনি স্বাগত জানাবেন। সেই সঙ্গে তাঁর দাবি, এই মৃত্য়ুর ঘটনায় হয়তো এবার একটা 'উপসংহার' বেরিয়ে আসতে পারে।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির এক পাঁচ তারা হোটেলের ঘর থেকে উদ্ধার হয় সোশিয়ালিট তথা তৎকালীন ইউপিএ সরকারের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুষ্করের দেহ। এরপর থেকেইসুনন্দার মৃত্যু নিয়ে বহু বিতর্ক তৈরি হয়। অভিযোগ, সুনন্দাকে খুন করা হয়েছে। এরজন্য অনেকেই শশী থারুরের দিকে আঙুল তুলে ছিলেন। যদিও ইউপিএ সরকারেরক আমলে এই মৃত্যুর ঘটনায় ক্লিন চিট পান শশী থারুর। ২০১৪ সালে কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসে এনডিএ , এরপর সুনন্দা পুষ্কর মৃত্যুর ফাইল নতুন করে খোলা হয়। দিল্লি পুলিশ সুনন্দা পুষ্করের মৃত্যুর ঘটনাকে হত্যা বলে নথিবদ্ধ করে। এরপর থেকেই বহুবার শশী থারুরকে জেরা করেছে দিল্লি পুলিশ। কিন্তু এখনও পর্যন্ত, এই হত্যাকাণ্ডে কারা দোষী তা জানাতে পারেনি দিল্লি পুলিশ। এই পরিস্থিতিতে সিট গঠনের দাবি নিয়ে সরব সুব্রহ্মমণ্যম স্বামী।