অযোধ্যার বিতর্কিত জমি মামলার রায়দান করে দাঙ্গার কথা স্মরণ করাল সুপ্রিম কোর্ট
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি হিন্দুদের দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে আগেও ২ বার দাঙ্গা বেঁধেছে অযোধ্যায়। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট।
অযোধ্যার বিতর্কিত জমি হিন্দুদের দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। এই মন্দির নির্মাণ নিয়ে আগেও ২ বার দাঙ্গা বেঁধেছে অযোধ্যায়। সেকথা স্মরণ করিয়ে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। কারণ এই বিতর্কিত জমিতে হিন্দুদের মন্দির তৈরি করা নিয়ে আগেও দুবার দাঙ্গা, অশান্তি, সংঘর্ষ ঘটেছে। ১৯৩৪ সালে একবার হয়েছে দাঙ্গা। আরেকবার অশান্তি হয়েছে ১৯৪৯ সালে।
১৯৩৪ সালে ব্রিটিশ জমানায় ঘটেছিল প্রথম দাঙ্গা। অযোধ্যায় গো হত্যার অভিযোগে হিন্দুরা বাবরি মসজিদ ধ্বংস করতে উদ্যত হয়েছিল। এই নিয়ে তুমুল অশান্তি শুরু হয়। শেষে ব্রিটিশ সরকার এই অশান্তি ছড়ানোর জন্য হিন্দুদের ৮৪,০০০ টাকা জরিমানা করে। এক বৃদ্ধা হিন্দুদের পক্ষে সেই টাকা ব্রিটিশ সরকারকে দিয়েছিলেন। সেই টাকা দিয়ে মসজিদ সারাই করা হয়।
দ্বিতীয় দাঙ্গাটি ঘটেছিল ১৯৪৯ সালে ২২ ডিসেম্বর এবং ২৩ ডিসেম্বর। সেদিন মসজিদের ভেতরে রামের মূর্তি স্থাপন করেছিল হিন্দুরা। ঘটনার জানা জানি হতেই অযোধ্যার সাব ইন্সপেক্টর এই নিয়ে এফআইআর দায়ের করেছিল। ফৈজাবাদ সিটি ম্যাজিস্ট্রেট মার্কন্ডেয় সিং ভারতীয় দণ্ডবিধির ১৪৫ ধারায় হিন্দু এবং মুসলিম দুই পক্ষকেই ১৯৫০ সালে ১ জানুয়ারি তাঁর কাছে হাজিরার নির্দেশ দেন। ১৯৫০ সালের ১৬ জানুয়ারি গোপাল সিং বিশারদের ফৈজাবাদের নগর দায়রা আদালতে আবেদন জানান মসজিদের ভেতরে যেখানে রামের মূর্তি স্থাপন করা হয়েছে সেখানে প্রার্থনা করার অনুমতি দেওয়া হোক হিন্দুদের।
অযোধ্যা মামলার পূর্ণাঙ্গ রায় একনজরে
১৯৫৯
সালে
নীলমনি
আখারা
দল
দাবি
জানায়
মসজিদ
সরিয়ে
সেখানে
মন্দির
তৈরি
করা
হোক।
১৯৬১
সালে
সুন্নি
ওয়াকফ
বোর্ডের
তরফ
থেকে
দাবি
জানানো
হয়
বাবরি
মসজিদ
মুসলিমদের
হাতে
তুলে
দেওয়া
হোক।
তারপরে
দফায়
দফায়
এই
নিয়ে
মামলা
এবং
শুনানি
চলেছে।
শেষ
পর্যন্ত
শীর্ষ
আদালত
বিতর্কিত
জমি
হিন্দুদের
হাতে
তুলে
দিয়ে
চূড়ান্ত
রায়
দিয়েছে।
আর
আলাদা
করে
৫
একর
জমি
মসজিদ
তৈরির
জন্য
সুন্নি
ওয়াফ
বোর্ডকে
দেওয়া
হয়েছে।