সুপ্রিম কোর্টে নির্ভয়া মামলা চলাকালীন আচমকাই এজলাসে জ্ঞান হারালেন বিচারপতি
নির্ভয়ার দোষীদের মামলা চলাকালীন বড়সড় বিপত্তি ঘটে গেল সুপ্রিম কোর্টে। চার দোষীকে আলাদা আলাদা ফাঁসিতে ঝোলানোর বিষয়ে কেন্দ্রের আবেদনের প্রেক্ষিতে নির্দেশ দেওয়ার সময় অচৈতন্য হয়ে গেলেন শীর্ষ আদালতের বিচারপতি আর ভানুমতি। বেশ কয়েক মিনিট অজ্ঞান অবস্থায় থাকার পর জ্ঞান ফিরে পান তিনি। আদালতের বাকি বিচারপতিরা তাঁকে ধরাধরি করে নিয়ে যান বিচারপতিদের ঘরে। সূত্রের খবর, বেশ কিছুক্ষণ পর তিনি সুস্থ হয়ে ওঠেন। ওঁনার জ্বর ছিল, প্রতিক্রিয়া সলিসিটর জেনারেলের।
বিনয় মানসিক দিক দিয়ে সুস্থ
অন্যদিকে এদিন আদালতের শুনানিতে ফের একবার ব্যর্থ হয় এই মামলার দোষী বিনয় শর্মার ফন্দি। রাষ্ট্রপতির তরফে প্রাণভিক্ষার যে আবেদন খারিজ হয়েছিল, তার পাল্টা ফের প্রশ্ন তোলার চেষ্টা করা হয়। কিন্তু সুপ্রিম কোর্ট সেই আবেদনে কর্ণপাত করেনি। আবেদন খারিজ হয়ে যায়। নিজেকে মানসিকভাবে অসুস্থ বলেও ফাঁসির সাজা পিছিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করে বিনয়। কিন্তু শীর্ষ আদালত জানিয়ে দেয় যে সে মানসিকভাবে একদম সুস্থ। একই সঙ্গে এই মামলার রায নিজের কাছে সুরক্ষিত রেখে দেয়। বিচারপতি অশোক ভূষণ, এ এস বোপান্না ও আর ভানুমতির ডিভিশন বেঞ্চ এই সিদ্ধান্ত নেন।
ফাঁসির তারিখ পিছিয়ে দেওয়া
দিল্লি কোর্ট এর আগে চার সাজাপ্রাপ্ত বিনয় শর্মা, অক্ষয় ঠাকুর, পবন গুপ্ত ও মুকেশ সিংয়ের বিরুদ্ধে ৭ জানুয়ারি মৃত্যু পরোয়ানা জারি করেছিল, যা ২২ জানুয়ারি ফাঁসি হওয়ার কথা ছিল তিহার জেলে। কিন্তু তা পিছিয়ে ১ ফেব্রুয়ারি করে দেওয়া হয় এবং পরে সেই দিনটাও স্থগিত করে দেয় আদালত।
বোমাতঙ্ক সুপ্রিম কোর্টে
শুক্রবার দুপুরে আচমকাই বোমাতঙ্ক ছড়ালো সুপ্রিম কোর্টে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, আদালত চত্ত্বরে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি ব্যাগ পড়েছিল। তার ভিতরে ছিল মোবাইল চার্জ দেওয়ার একটি পাওয়ার ব্যাঙ্ক। সেটি থেকেই একটি অদ্ভুত আওয়াজ আসছিল বলে জানিয়েছেন উপস্থিত আদালতে মানুষ। আর এই ব্যাগটি নিয়েই ব্যাপক আতঙ্ক তৈরি হয় আদালতের কর্মীবৃন্দ এবং আইনজীবীদের মধ্যে।