বিজেপি নেতার খুনের নেপথ্যে একাধিক রুদ্ধশ্বাস ঘটনা! তদন্ত ঘিরে সুপ্রিম কোর্টের নয়া নির্দেশ
গুজরাতের রাজনৈতিক আঙিনায় কান পাতলে একটা সময় শোনা যেত হরেন পাণ্ড্য মোদী বিরোধী বিজেপি নেতা।
গুজরাতের রাজনৈতিক আঙিনায় কান পাতলে একটা সময় শোনা যেত হরেন পাণ্ড্য মোদী বিরোধী বিজেপি নেতা। বলা হত, মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে মোদীর নির্বাচিত হয়ে আসার সময় বরেন পাণ্ড্যকে তাঁর বিধানসভা আসন ছেড়ে দিতে বলে বিজেপি, কারণ সেই আসন থেকে বিজেপি মোদীকে প্রার্থী হিসাবে দাঁড় করানোর পরিকল্পনা নিয়েছিল। কিন্তু বেঁকে বসেন হরেন। এরপর গুজরাত দাঙ্গি নিয়েও মিডিয়ার কাছে হরেনের একাধিক মন্তব্য নিয়ে গুজরাত বিজেপি অসন্তুষ্ট ছিল। এরপরবর্তীরকালে ২০০৩ সালে গুলি করে হত্যা করা হয় গুজরাতের বিজেপি মন্ত্রী হরেন পণ্ড্যকে।
হরেন পাণ্ড্য হত্যা মামলায় ফের একবার নতুন তদন্তের নির্দেশ দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। আমেদাবাদের ল গার্ডেনে মর্নিং ওয়াকের সময় হরেন পাণ্ড্যকে হত্যা করে কয়েকজন আততায়ী। বিভিন্ন সূত্রের দাবি, হরেনকে গুলি করে হত্যা করার জন্য সোহরাবুদ্দিনকে 'সুপারি' দেওয়া হয়। যদিও পরবর্তীকালে সোহরাবুদ্দিনেরও এনকাউন্টারে মৃত্যু হয়। এদিকে, হরেন পাণ্ড্যর মৃত্যুর ঘটনায়তদন্ত প্রক্রিয়া সঠিক হচ্ছে বলে দাবি করেন তাঁর স্ত্রী। এরপর সুপ্রিমকোর্টে এ নিয়ে একটি পিটিশন দায়ের করা হলে , নতুন করে তদন্তের নির্দেশ দেয় সুপ্রিমকোর্ট।
উল্লেখ্য, এই খুনের ঘটনার নেপথ্যে একাধিক অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ রয়েছে। অনেকেই সোহরাবুদ্দিন এনকাউন্টারের সঙ্গে এর যোগ খুঁজছে। অন্যদিকে, অনেকেরই দাবি কোনও এক আইপিএস অফিসার এই হত্যাকাণ্ডের রহস্য নিয়ে মুখ খুলতে চাইছেন না। অন্যদিকে হরেন পাণ্ড্যর পরিবারের দাবি, খুনের ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে ঘাটতি ছিল। পাশাপাশি সিবিাই তদন্ত ঘিরেও রয়েছে অসন্তোষ। এমন এক পরিস্থিতিতে ফের নতুন করে তদন্তের নির্দেশ আসায়,ঘটনাক্রম কোনদিকে গড়ায় সেদিকে তাকিয়ে গুজারাতের রাজনৈতিক মহল।