অযোধ্যা রাম মন্দির-বাবরি মসজিদ মামলার টাইমলাইন একনজরে
শেষ হয়েও শেষ করা যাচ্ছে না। অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করার চরম সময়সীমা দিয়েও মধ্যস্থতার সময় বাড়াল শীর্ষ আদালত। গত ৮ মার্চ এই মধ্যস্থতাকারী দলটি তৈরি করে গিয়েছিল শীর্ষ আদালত, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচার
শেষ হয়েও শেষ করা যাচ্ছে না। অযোধ্যা মামলার শুনানি শেষ করার চরম সময়সীমা দিয়েও মধ্যস্থতার সময় বাড়াল শীর্ষ আদালত। গত ৮ মার্চ এই মধ্যস্থতাকারী দলটি তৈরি করে গিয়েছিল শীর্ষ আদালত, যার নেতৃত্বে রয়েছেন বিচারপতি কাইফুল্লা। কিন্তু কোনও ভাবেই মধ্যস্থতা করতে পারেনি এই কমিটি। বেঁকে বসেছে হিন্দু মামলাকারী দলটি।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর
১৯৯২ সালে ঘটেছিল সেই ঘটনা। ডিসেম্বর মাসের ৬ তারিখে প্রায় ২কর সেবক গুঁড়িয়ে দিয়েছিল অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। ডিসেম্বরের ১৬ তারিখ ঘটনার তদন্তে অযোধ্যা কমিশন তৈরি করেছিল তখনকার কংগ্রেস সরকার।
১৯৯৩ সালের ৩ এপ্রিল
অযোধ্যার সেই বিতর্কিত এলাকায় জমি অধিগ্রহনের বিল পাস হয় এই বছর। সেই বিলকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে আদালতের দ্বারস্থ হয় ইসমাইন ফারুকি সহ বেশ কয়েকজন।
১৯৯৪ সাল
সেই বছরই শীর্ষ আদালত জানায় মসজিদ না থাকলেও নমাজ পড়া যায়।
২০০২ সাল
২০০২ সালে তিন বিচারপতির বেঞ্চে শুরু হয় বিতর্কিত জমি মামলার শুনানি। বাবরি মসজিকে স্থানে রামমন্দির ছিল কিনা সেটা খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেওয়া হয় আর্কিয় লজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়াকে।
২০০৩ সাল
অযোধ্যায় কোনও রকম ধর্মীয় আচরণ নিষিদ্ধ করে সুপ্রিম কোর্ট। আর্কিওলজিকাল সার্ভে অব ইন্ডিয়া তল্লাশি চালিয়ে সেখানে মন্দিরের অস্তিত্বের সন্ধান পায়। এবং আদালতকে জানায় মুসলিমরা সেই অংশ নষ্ট করেছে।
২০০৯ সাল
কংগ্রেস সরকারের গঠিক অযোধ্যা কমিশন এই নিয়ে রিপোর্ট জমা দেয় আদালতে। কিন্তু সেই রিপোর্ট কখনও প্রকাশ্যে আনা হয়নি।
২০১০ সাল
এলাহাবাদ হাইকোর্ট রায় দেয় অযোধ্যার বিতর্কিত জমিকে তিনটি ভাগে ভাগ করা হবে। এক তৃতীয়াংশ জমি যাবে রাম লাল্লা বিরাজমানের কাছে। এক তৃতীয়াশ জমি দেওয়া হবে সুন্নি ওয়াকফ বোর্ডকে এবং বাকি জমি দেওয়া হবে নীলমনি আখারাকে। হাইকোর্টের রায়ের পরেই সুপ্রিম কোর্টে যায় মামলাটি।
২০১১ সাল
৯ মে সুপ্রিম কোর্ট এলাহাবাদ হাইকোর্টের রায়ের উপর স্থগিতাদেশ দেয়।
২০১৬ সাল
বিজেপি সাংসদ সুব্রহ্মণ্যম স্বামী অযোধ্যার বিতর্কিত জমিতে রাম মন্দির নির্মাণের জন্যে আবেদন জানায়।
২০১৭ সাল
২১
মার্চ
সুপ্রিম
কোর্ট
আদালতের
বাইরে
মিটিয়ে
সমস্যা
মিটিয়ে
নেওয়ার
কথা
বলে।
৩০
মে
এল
কে
আদবানী,
উমা
ভারতী,
মুরলি
মনোহর
জোশী,
বিনয়
কাটারিয়ার
বিরুদ্ধে
বাবরি
মসজিদ
ধ্বংসের
ষড়যন্ত্রের
অভিযোগ
দায়ের
হয়।
৮
অগস্ট
সুন্নি
ওয়াকফ
বোর্ড
শীর্ষ
আদালতকে
জানায়
বিতর্কিত
জমির
কিছু
দূরে
মসজিদ
তৈরি
হতে
পারে।
১১
অগস্ট
সুপ্রিম
কোর্ট
এই
মামলার
১৩
জন
আবেদনকারীর
শুনানি
শুরু
করে।
ডিসেম্বরের
৫
তারিখ
অযোধ্যা
মামলার
চূড়ান্ত
শুনানি
শুরু
হয়।
তারপর থেকে ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে এখনও পর্যন্ত এই মামলার শুনানি চলছে। মধ্যস্থতাকারী প্যানেল গঠন করার পরেও কোনও সমাধান সূত্র মেলেনি।
[ 'অমর্ত্য সেনের সঙ্গে প্রায়ই কথা হয়', নোবেলজয়ী অভিজিতের প্রতিক্রিয়ায় আরও যা উঠে এলো]