সুশান্ত সিং মৃত্যু কাণ্ডে দিদি প্রিয়াঙ্কার আবেদন খারিজ, হাইকোর্টের নির্দেশ বহাল সুপ্রিম কোর্টের
সুশান্ত সিং মৃত্যু কাণ্ডে দিদি প্রিয়াঙ্কার আবেদন খারিজ
সুশান্ত সিং রাজপুতের মৃত্যুর মামলায় এবার বিপাকে পড়লেন অভিনেতার দিদি প্রিয়াঙ্কা সিং। তাঁর বিরুদ্ধে বম্বে হাইকোর্টের আদেশকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে একটি আবেদনে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন সুশান্তের দিদি। শুক্রবার সেই আবেদনই খারিজ করে দিল সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে প্রিয়াঙ্কার বিরুদ্ধে অভিনেত্রী রিয়া চক্রবর্তীর করা এফ আই আরটি বজায় রাখল শীর্ষ আদালত। মুখ্য বিচারপতি এস এ বোবদে ও সহ বিচারপতি এ এস বোপান্না এবং ভি রামাসুব্রহ্মণ্যমের নেতৃত্বে বেঞ্চ স্পষ্ট করে বলেন, 'এ ধরনের আবেদনকে আমরা কোনওভাবেই ক্লিনটিট দিতে পারি না।’
প্রিয়াঙ্কার
পক্ষে
থাকা
বরিষ্ঠ
আইনজীবী
বিকাশ
সিং
শীর্ষ
আদালতকে
জানান
যে
সংবাদমাধ্যমের
রিপোর্টের
ওপর
ভিত্তি
করে
পুলিশের
রিপোর্ট
অনুযায়ী
হাইকোর্ট
তার
ক্ষমতা
অতিক্রম
করেছে।
সিং
এদিন
জানান,
সুশান্ত
সিং
রাজপুতকে
ডাক্তার
কর্তৃক
কোনও
অবৈধ
ওষুধ
দেওয়া
হয়নি।
তবে
আদালত
এই
আবেদনটি
খারিজ
করে
জানিয়েছে,
বিষয়টি
এখনও
শুনানির
দিকে
যাচ্ছে
না।
প্রসঙ্গত,
সুশান্তের
আত্মহত্যার
ঘটনার
কিছুমাসের
মধ্যেই
অভিনেতার
দুই
দিদির
বিরুদ্ধে
অভিযোগ
দায়ের
করে
রিয়া
চক্রবর্তী।
রিয়ার
সেই
অভিযোগ
থেকে
এক
দিদি
মিতু
সিংয়ের
নাম
খারিজ
করে
দেয়
বম্বে
হাইকোর্ট।
তবে
প্রিয়াঙ্কা
সিংয়ের
বিরুদ্ধে
আনা
রিয়ার
অভিযোগকে
সম্পূর্নরূপে
উড়িয়ে
দেয়নি
আদালত।
জানুয়ারির
প্রথম
সপ্তাহে
বম্বে
হাইকোর্টে
এই
মামলার
শুনানি
শেষ
হয়েছিল।
পরে
ফেব্রুয়ারি
মাসে
বম্বে
হাইকোর্ট
এই
মামলার
রায়ে
মিতু
সিংকে
ক্লিনচিট
দেয়।
রিয়া তাঁর অভিযোগে জানিয়েছিলেন যে প্রয়াত অভিনেতার দুই দিদি আত্মহত্যায় প্ররোচনা দেন। রিয়ার অভিযোগ, ৮ জুন সুশান্তের মৃত্যুর ৬ দিন আগে হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দিদি প্রিয়াঙ্কা অভিনেতাকে ভুয়ো ওষুধ পাঠায়। যেখানে নেক্সিটো (৫ মিলিগ্রাম), লিব্রিয়াম (১০ মিলিগ্রাম) এবং লোনাজেপ (০.৫ মিলিগ্রাম) সেবনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। প্রত্যেকটি সাইকোট্রপিক ড্রাগ সমন্বিত ওষুধ এবং এনডিপিএস আইন, ১৯৮৫-এর আওতাধীন। সুশান্তের দিদিরা তাঁদের আইনজীবী বিকাশ সিংয়ের মাধ্যমে আদালতকে পাল্টা জানান, তাঁদের কোনওরকম অপরাধমূলক কাজের জন্য দায়ি করা যেতে পারে না কারণ সেই অভিযোগের ভিত্তি একমাত্র একটি প্রেসক্রিপশন যা এক চিকিৎসকের দেওয়া। রিয়ার এফআইআর সম্পর্কে গত বছর অক্টোবরে বম্বে হাইকোর্টকে সিবিআই জানায়, শুধু শুধু এই বিষয়টি নিয়ে জলঘোলা করা হচ্ছে।
গত বছরের ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় সুশান্ত সিং রাজপুতের দেহ। প্রাথমিক তদন্ত ও ময়নাতদন্তের রিপোর্টে এটি আত্মহত্যা বলে জানায় পুলিশ। যদিও এই তত্ত্বে সন্তুষ্ট ছিলেন না সুশান্তের পরিবার গোটা দেশজুড়ে থাকা অভিনেতার ভক্তরা। গত অগাস্ট মাসে এই মামলার তদন্তভার চলে যায় সিবিআইয়ের হাতে। এমনকী এনসিবি ও ইডিও এই মামলার তদন্ত করছিল। তবে এখনও কি কারণে আত্মহত্যা নাকি এটা খুন তা স্পষ্ট করে জানায়নি সিবিআই।
ভোটের আবহে তপ্ত তামিলভূমি, নির্বাচনী প্রচারে একাধিক বড়সড় চমক শাসক-বিরোধী সব পক্ষের