দিল্লিবাসীর কাছে ফিকে হল দিওয়ালি, আতশবাজির বিক্রিতে 'না' সুপ্রিমকোর্টের
দীপাবলির আগেই সবরকম আতশবাজির বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিমকোর্ট, ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি ও এনসিআর -এ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট
দীপাবলির আগেই সবরকম আতশবাজির বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল সুপ্রিমকোর্ট। ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত দিল্লি ও এনসিআর -এ এই নিষেধাজ্ঞা জারি থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট। ফলে এবারের দিওয়ালি দিল্লিবাসীর কাছে আতশবাজির রোশনাই ছাড়াই কাটতে চলেছে। মূলত দিল্লির দূষণ নিয়ন্ত্রণেই এই নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
২০১৬ সালেই সবরকম আতশবাজির বিক্রির ওপর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল সুপ্রিমকোর্ট। কিন্তু চলতি বছর ১২ই সেপ্টেম্বর সাময়িকভাবে সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে শীর্ষ আদালত। সোমবার এই মামলার শুনানিতে বিচারপতি একে সিকরির বেঞ্চ জানিয়ে দেয়, সুপ্রিমকোর্ট গত বছর যে রায় দিয়েছিল, সেই রায়কে আরও একবার কার্যকর করতে আরও একটা সুযোগ দেওয়ার প্রয়োজন। ফলে ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত আতশবাজির বিক্রিতে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও ১ লা নভেম্বর থেকে ফের দিল্লিতে বিক্রি হবে আতশবাজি। তবে দিওয়ালি পর দিল্লির বাতাস কেমন থাকে তা খতিয়ে দেখার পর এই রায় নিয়ে পুনর্বিবেচনা করা যেতেই পারে বলে জানিয়েছে সুপ্রিমকোর্ট।
তবে সুপ্রিমকোর্টের এই রায় এবারের দিওয়ালি একেবারেই মাঠে মারা গেল বলে মনে করছে দিল্লিবাসী। কারণ ১৯শে অক্টোবর দিওয়ালি, তার আগে রাজধানীতে আতশবাজি আর পাওয়া যাবে না বলেই ধরে নেওয়া যেতে পারে।
অপদিকে সুপ্রিমকোর্টের এই সিদ্ধান্তে মুখের হাসি উধাও হয়েছে তামিলনাড়ুর শিবকাশীর বাজি কারখানার শ্রমিকদের। শুধুমাত্র দিল্লি এবং এনসিআর-এ আতশবাজি বিক্রি বন্ধ হলে বাজি শিল্পে প্রায় ১০০০ কোটি টাকার লোকসান হবে বলে মনে করছেন শ্রমিকরা। এই শিবকাশী থেকেই সারা দেশের প্রায় ৮৫ শতাংশ বাজি সরবরাহ করা হয়। দিল্লি ও এনসিআর-এও আতশবাজির বিক্রি নেহাৎ কম নয়। এভাবেই দিল্লির মত অন্য বড় শহরগুলিতেও আতশবাজি বিক্রি বন্ধ করে দেওয়া হলে তাঁদের কাজ হারাতে হবে বলে আশঙ্কা করেছেনবাজি শ্রমিকরা।
তাঁদের দাবি, আতশবাজি থেকে হওয়া দূষণ খুব বেশি হলে এক সপ্তাহ স্থায়ী হয়, কিন্তু গাড়ির ধোঁয়া সারাবছরই থাকে।