স্পিকারের আর্জি খারিজ সুপ্রিম কোর্টের, চরম রাজনৈতিক অস্থিরতা কর্নাটকে
বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শীর্ষ আদালতে কাছে বাড়তি সময় চেয়েছিলেন কর্নাটকের স্পিকার রমেশ কুমার। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্পিকারের সেই আর্জি খারিজ করে দেন।
বিদ্রোহী বিধায়কদের সঙ্গে দেখা করার জন্য শীর্ষ আদালতে কাছে বাড়তি সময় চেয়েছিলেন কর্নাটকের স্পিকার রমেশ কুমার। কিন্তু শীর্ষ আদালত স্পিকারের সেই আর্জি খারিজ করে দেন। শীর্ষ আদালতে আজ কর্নাটকের বিদ্রোহী বিধায়করা আবেদন জানিয়েছিল স্পিকারের কাছে তাঁদের পদত্যাগ পত্র জমা দিতে দেওয়া হোক। তাতে সম্মতি জানায় শীর্ষ আদালত। তার প্রেক্ষিতেই তরিঘড়ি শীর্ষ আদালতে পাল্টা আবেদন করে স্পিকার জানান, একদিনের মধ্যে সব পদত্যাগ পত্র খতিয়ে দেখা সম্ভব নয়। তাঁকে কিছু সময় দেওয়া হোক কিন্তু স্পিকারের সে আবেদন খারিজ করে দিয়ে শীর্ষ আদালত জানিয়েছে, আগামিকাল তাঁর আবেদনের শুনানি হবে। এদিকে আদালতের নির্দেশ মেনেই আজ সন্ধে ৬টা নাগাদ স্পিকারের সঙ্গে দেখা করতে যাবেন কর্নাটক কংগ্রেসের বিদ্রোহী বিধায়করা।
এই পরিস্থিতি কর্নাটক বিধানসভা সংলগ্ন এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। ইতিমধ্যেই মুম্বই থেকে কর্নাটকের পথে রওনা হয়েছেন বিদ্রোহী কংগ্রেস বিধায়করা। এদিকে এইচ ডি কুমারস্বামীর পদত্যাগ করা উচিত বলে যে দাবি উঠেছিল তা খারিজ করে দিেয় মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছে সেরকম কোনও সম্ভাবনাই নেই।
[আরও পড়ুন: আর্থিক তছরূপের অভিযোগ, সুপ্রিম কোর্টের দুই আইনজীবীর বাড়িতে সিবিআই হানা ]
জুলাইয়ের ৬ তারিখ কর্নাটক বিধানসভার ১৩ বিধায়ক স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। তাঁদের মধ্যে কংগ্রেসের ১০ বিধায়ক এবং জেডিএসের ৩ বিধায়ক। মঙ্গলবার আরও এক কংগ্রেস বিধায়ক পদত্যাগ করেন। বুধবার আরও দুই কংগ্রেস বিধায়ক এমটিবি নটরাজ এবং সুধাকর স্পিকারের কাছে পদত্যাগ পত্র জমা দেন। এই নিয়ে মোট ১৬ জন বিধায়ক পদত্যাগ করেছেন। চরম রাজনৈতিক সংকট তৈরি হয়েছে কর্নাটকে। যেকোনও মুহুর্তে সরকার পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। আজকের সন্ধে ৬টায় স্পিকারের সঙ্গে বিদ্রোহী বিধায়কদের সাক্ষাতের পর এই চরম উত্তেজনাপূর্ণ পরিস্থিতি কিছুটা হলে স্পষ্ট হবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
[আরও পড়ুন:অযোধ্যা নিয়ে সুপ্রিমকোর্টের শুনানি, একনজরে টাইম লাইন]