ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির নিম্নমুখী হার বাস্তব, অমিত শাহর বক্তব্যের বিরোধিতা এসবিআই রিপোর্টে
বর্তমানে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নগামী। চলতি আর্থিক বছরে পরপর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার নিম্নগামী। একটি রিপোর্টে এসবিআই এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে।
বর্তমানে ভারতের জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নগামী। চলতি আর্থিক বছরে পরপর দ্বিতীয় ত্রৈমাসিকে এই হার নিম্নগামী। একটি রিপোর্টে এসবিআই এমনই তথ্য প্রকাশ করেছে।
[আরও পড়ুন:চিনের কাছে জিডিপিতে হার, ক্ষুব্ধ মোদী ,তাই কি বাতিল জেটলির সঙ্গে বৈঠক ]
২০১৬-র নভেম্বর থেকে দেশের অর্থনীতিতে বারবার বাধা এসেছে। যার অনেকটাই প্রভাব পড়েছে এই জিডিপি বৃদ্ধির হারে। কিন্তু এই নিম্নগামী হারকেও অস্থায়ী বললে ভুল করা হবে বলেও রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে। বলা হয়েছে এই নিম্নগামী হারই বাস্তব। বেসরকারি ক্ষেত্রের মূলধনও পিছিয়ে পড়ছে বলেও রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে। এবিষয়ে এখনই সরকারের পদক্ষেপ করা উচিৎ এবং অর্থনীতি উন্নয়নে রাজস্বনীতির প্রয়োগ করা উচিৎ বলেই রিপোর্টে মন্তব্য করা হয়েছে। পরপর ছটি ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নগামী এবং তিনবছরের মধ্যে সর্বনিম্ন।
বিজেপি সভাপতি অমিত শাহ নিম্নগতি নিয়ে মন্তব্য করার দিন দশেক পরে এই রিসার্চ রিপোর্ট সামনে এল। প্রযুক্তিগত কারণেই জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নমুখী বলে মন্তব্য করেছিলেন অমিত শাহ।
৯ সেপ্টেম্বর নয়াদিল্লিতে বণিকসভা ফিকির সভায় অমিত শাহ বলেন, অটলবিহারী বাজপেয়ী প্রধানমন্ত্রী থাকার সময় জিডিপি বৃদ্ধির হার ছিল ৮ শতাংশ, ২০১৩-১৪-তে ইউপিএ-র সময়ে এই বৃদ্ধির হার ছিল ৪.৭ শতাংশ। একইসঙ্গে তিনি আরও বলেছিলেন, একমাত্র গত ত্রৈমাসিক বাদ দিলে, আমাদের জিডিপি বৃদ্ধির হার ৭.২ শতাংশ। যেটা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। গত ত্রৈমাসিকে জিডিপি বৃদ্ধির হার নিম্নগামী হওয়ার কারণকে তিনি প্রযুক্তিগত বলেই মন্তব্য করেছেন।
এসবিআই-এর রিপোর্টে সরকারকে সতর্কভাবে খরচের বিষয়ে পদক্ষেপ করতে বলা হয়েছে। ঋণের অঙ্ককে আঘাত না করেই এই পদক্ষেপের পক্ষে মত দেওয়া হয়েছে।
২০১৮-র আর্থিক বছরের জন্য মুদ্রাস্ফীতি জিডিপির ৩.২ শতাংশ ধার্য করেছিল। একইসঙ্গে পরের বছরের তা ৩ শতাংশে থাকবে বলে ভবিষ্যৎবাণী করা হয়েছিল। বিষয়টি নিয়ে সরকারের কাঙ্খিত ফল পাওয়া যাবে না বলে জানিয়েছে এসবিআই-এর রিপোর্ট।