মণিকার রূপের মোহ কাটিয়ে এখন কৌসরেই জীবনের ঘর বেঁধেছে আবু সালেম
আবু সালেমের জীবনের নতুন নারী। আর এই নারী নাকি এখন আবু সালেমের ঘরণী। তাঁর নাম সৈয়দ বাহার কৌসর
আবু সালেমের বউ-কে। গুগল সার্চে লিখলে একটা নামই সবার আগে সামনে আসে, আর সেই নামটা হল মণিকা বেদী। কিন্তু, কোথায় মণিকা? জেল থেকে ছাড়া পাওয়ার পর এখন তাঁর গ্ল্যামারের দুনিয়া-বলিউড এবং পরিবারের ঘেরাটোপেই ফিরে গিয়েছেন তিনি। শোনা যায় আবু সালেমের নামটাও তাঁর সামনে উচ্চারণ করাটাই নিষেধ।
[আরও পড়ুন:সালেমের দুনিয়া ও তাঁর জগৎ যে আলাদা, বুঝিয়ে দিলেন মনিকা বেদী]
তাহলে আবুর পাশে রইল কে? আসলে মাফিয়া দুনিয়ার সৈনিক হলেও আবু সালেমের জীবনে কখনও সুন্দরী নারীদের অভাব হয়নি। তেমনি আবু সালেমের জীবনেও এখন রয়েছেন এক নারী- নাম সৈয়দ বাহার কৌসর। ২০১৫ সালে কৌসর এবং আবু সালেমের কথা প্রকাশ্যে আসে। বর্তমানে খবর এই সৈয়দ বাহার কৌসরকেই বিয়ে করেছে আবু সালেম। আর্থার রোড জেলেই এই কৌসরের সঙ্গে আবু সালেম দিনের পর দিন এবং রাতের পর রাত নাকি কাটিয়েছ বলেও একটা সময়ে অভিযোগ উঠেছিল।
আসলে আবু সালেমের ক্যারিশ্মা এমনই যে মামলার জন্য যখন তাকে মুম্বই থেকে অন্যত্র নিয়ে যাওয়া হত তখন ট্রেন সফরে সঙ্গিনী হতেন কৌসর। চলন্ত ট্রেনে আবু সালেমের সঙ্গে কৌসরের ছবিও ২০১৬সালে প্রকাশ্যে আসে। টাডা আইনে বন্দি এক অপরাধী কীভাবে কঠোর নিরাপত্তা বলয়ে বাইশ বছরের বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে ট্রেন সফর করে তা নিয়েও কম বিতর্ক হয়নি।
সৈয়দ বাহার কৌসর একটা সময় টাডা আদালতেও হুমকিভরা আবেদন করেছিলেন। ছয় পাতার এই আবেদনে রীতিমতো হুমকি দিয়ে বলেছিলেন, আবু সালেমকে বিয়ে করতে না দিলে তিনি আত্মহত্যা করবেন। সেই আবেদনের পরে কি হাল হয়েছিল তা জানা যায় না। তবে, জেলের বাইরে আবু সালেমের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীদের দাবি,বছর খানেক আগেই ট্রেনের মধ্যেই কৌসরকে বিয়ে করে আবু সালেম। সেই বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিল দুই পরিবারের লোকজন। চলন্ত ট্রেনে বিয়ের খাওয়াও খাইয়ে ছিল আবু সালেম। নিরাপত্তা রক্ষীরাও সেই ভুরিভোজের নিমন্ত্রণ পেয়েছিল।
আর্থার জেলের একটা সূত্রে দাবি করা হয়েছিল, কৌসর ভালমাতই জানেন আবু-কে এবং তার জীবনের পরিণতি কীভাবে লেখা আছে। তাই, স্বামী আবু সালেমের জেলবন্দি জীবন নিয়ে তিনি চিন্তিত নন। কারণ, জেলকেই আপাতত জীবনের ঘর বানিয়ে ফেলেছে আবু সালেম। আর মাঝে-মধ্যেই যখন এই জেল-জীবনের টুকরো খবর বেরিয়ে আসে সংবাদমাধ্যমে তখন সেখানে স্থান পায় কৌসরের কাহিনিও।
বৃহস্পতিবার, টাডা আদালতে যখন সাজা ঘোষণা হচ্ছিল তখনও হেসে চলেছিল আবু সালেম। কারণ, সে জানে পরের করণীয় কী। সুপ্রিম কোর্টের দরজায় কড়া নাড়া। সেটা কাজে এল ভাল, না হলে তো দিব্য চলছে জীবনটা। জেলের সংসার-কৌসরের সঙ্গ। সরকার ইচ্ছা করলেও পর্তুগাল সরকারের প্রত্যপর্ণ চুক্তির জন্য ফাঁসির কাঠে আবু সালেমকে ঝোলাতে পারবে না। তাই বাকি জীবনের হিসেবটা জেলে বসেই কষে ফেলেছে একটা সময়ে দাউদ ইব্রাহিমের এই ঘণিষ্ট। তাই জেলের অন্ধকারকেই বাসযোগ্য করার চেষ্টায় রয়েছে সে। কারণ, মণিকাদের চকচকে দুনিয়াটা যে তার মতো টাডা অপরাধীর জন্য নয় আবু সালেম তা জানে। তাই তার সঙ্গে মণিকাদের মতো গ্ল্যামার-গার্লদের নাম জোড়ার পরও সেখানে স্থান হয়ে যায় সৈয়দ বাহার কৌসরদের মতো নারীদের।