'মুখ্যমন্ত্রিত্ব আর ভালো লাগছে না, ইস্তফা দিতে পারেন নীতীশ' দাবি জোটসঙ্গীর
জেডিইউ প্রধান তথা বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমার ২০২০ সালের পর আর বিহারের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য লড়াই করবেন না। সরে দাঁড়াবেন। এই আভাস পাওয়া গিয়েছে। ভূমিপুত্র নীতীশ বেশ কয়েকবার বিহারের মুখ্যমন্ত্রিত্বের গদিতে বসেছেন। বছর দুয়েক পর সেই পদের দিকেও তিনি ফিরে তাকাতে আগ্রহী নন বলে খবর।

তবে আরএলএসপি প্রধান তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী উপেন্দ্র কুশওয়াহার দাবি, নীতীশ ক্ষমতার একেবারে শীর্ষে পৌঁছে গিয়েছেন। এবং আর তা উপভোগ করছেন না। ফলে সরে যেতে চাইছেন।
একইসঙ্গে কুশওয়াহা একথাও বলেছেন যে, তার মানে এটা নয় যে ৬৭ বছর বয়সী মুখ্যমন্ত্রীকে তিনি সরে যেতে বলছেন। কেউ তাঁকে জোর করে সরাতে পারবে না। তাঁ ইচ্ছা হলে তিনি সরে যাবেন। এমনটাই বলেছেন কুশওয়াহা।
কুশওয়াহার দল ও নীতীশের দল দুটিই বিজেপির সঙ্গী হলেও দুজনের সম্পর্ক ভালো নয়। একদিন আগেই বিজেপি ও জেডিইউ আসন সমঝোতা কে ১৭টি করে আসনে লড়বে বলে জানিয়ে দেয়। ফলে কুশওয়াহার ছোট দল আরএলএসপি-কে অনেক কম আসনে লড়তে হবে। তা নিয়ে নিজের ক্ষোভ গোপন করেননি এই নেতা।
শুধু নীতীশের প্রতি রাগই নয়, গত মাসে তাঁর নাম না করে আর একটি বিতর্কিত মন্তব্য করেন তিনি। বলেন, ২০১৩ সালে নরেন্দ্র মোদীকে প্রধানমন্ত্রী পদে দেখতে চাননি এক নেতা। তিনি এনডিএ-তে ফের যোগ দিয়েছেন।
ঘটনা হল, ২০১৪ সালের ভোটে কুশওয়াহার দল ৩টি আসনে জেতে। নীতীশের দল জেতে মাত্র ২টি আসনে। আর এবার আরএলএসপি-কে সম্ভবত ২টি আসন দেওয়া হবে। যা নিয়ে কুশওয়াহার রাগ হওয়া স্বাভাবিক।